![বরিশালে ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ ষষ্ঠ আসরের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত](uploads/2024/07/05/Ispahani-mirzapur-1720172280.jpg)
বরিশাল মডেল সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ও ইউরো কনভেনশন হলে তিনটি সেশনে ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ ষষ্ঠ আসরের বরিশাল বিভাগের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে প্রায় এক হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হবে বিভাগের সেরা পাঁচ বাংলাবিদকে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) প্রাথমিক বাছাইপর্ব শেষে মূলপর্বে বরিশাল থেকে ঢাকায় যাওয়ার সুযোগ পাবে সেরা ৫ বাংলাবিদ। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান উন্মেষ রায় এবং প্রথিতযশা আবৃত্তিশিল্পী মাহীদুল ইসলাম।
শুদ্ধ ও সঠিক বাংলার চর্চা নিশ্চিত করতে এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে শুদ্ধ বাংলা ছড়িয়ে দিতে চ্যানেল আই আয়োজন করছে মেধাভিত্তিক টিভি রিয়ালিটি শো ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’। ইস্পাহানি মির্জাপুরের উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১৭ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদের পরিচালক তাহের স্বপন বলেন, ‘ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ের ৯০ জনকে বাছাই করা হয়। তাদের মধ্য থেকে ৪০ নম্বরের সাহিত্য ও ব্যাকরণভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও ৩০ নম্বরের অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় বিভাগীয় সেরা ২০ প্রতিযোগীকে। পরে উচ্চারণ, বানান ও ব্যাকরণের দক্ষতা যাচাইয়ের মাধ্যমে বিচারকদের চুলচেরা বিশ্লেষণে সেরা ৫ জন নির্বাচিত হয়ে ঢাকায় মূলপর্বে যাওয়ার সুযোগ পাবে।’
এ বিভাগে মোট ১৪ হাজার শিক্ষার্থী বাংলাবিদ প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন করেছিল। এর মধ্যে বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছে সহস্রাধিক প্রতিযোগী।
ইস্পাহানি টি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক এইচ এম ফজলে রাব্বি খবরের কাগজকে বলেন, ‘২০১৭ সালে বাংলাবিদ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর করোনা মহামারির কারণে দুই বছর আয়োজন করা যায়নি। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর, উচ্চারণ ও ব্যাকরণের দক্ষতার মধ্য দিয়ে সেরা ১০০ জনকে বাছাই শেষে ঢাকায় শুরু হবে মূলপর্ব। মূলপর্ব শেষে দেশসেরা বাংলাবিদ জিতে নেবে ১০ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবে যথাক্রমে ৩ লাখ ও ২ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। এ ছাড়াও প্রথম ১০ জন প্রতিযোগী পাবে একটি ল্যাপটপসহ ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার করার জন্য ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের বাংলা বই ও বইয়ের আলমারি।’
মঈনুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/