![রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, স্কুল বন্ধ](uploads/2024/01/21/1705832072.school.jpg)
রাজশাহীতে চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার (২১ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে জেলায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ অবস্থায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহীতে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, ‘রবিবার ভোর ৬টা এবং সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা ছিল। এ সময় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। শনিবার থেকেই উত্তরের এ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।’
এদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামলে সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা যাবে। তাই শীতের এই তীব্রতায় রাজশাহীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো দুই দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে শনিবার সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার (মাউশি) রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ডিডি) ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী রবিবার ও সোমবার (২১ ও ২২ জানুয়ারি) রাজশাহীর তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে। তাই মাউশির পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী এ দুদিন রাজশাহীর সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, তারা শুধু রবিবার (২১ জানুয়ারি) প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবারের (২২ জানুয়ারি) আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে সেই ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি দেখা যায় সোমবারও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকতে পারে, সেই ক্ষেত্রে এদিনও রাজশাহীর প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রবিবার ভোরেও প্রধান সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। টানা শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
এনায়েত/সালমান/