![সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ ২ বোনের মৃত্যু](uploads/2024/01/30/1706623760.Sheikh_Hasina_Burn_Institud.jpg)
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি বাসায় জমে থাকা গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে দগ্ধ জান্নাতি আক্তার (১৮) মারা যান। তার আগে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে মারা যান জান্নাতির ফুফাতো বোন রহিমা আক্তার (৩২)।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রহিমা আক্তারের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর জান্নাতি ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।
গত ২৪ জানুয়ারি রাতে নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘপাড়া এলাকায় একটি টিনশেড বাসায় জমে থাকা গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। এ ঘটনায় এখনো শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সুখী আক্তার (৩৩), তার কন্যা সাদিয়া আক্তার (১০), ভাই আরিফ হাওলাদার (২১), মৃত রহিমার মেয়ে রিতু (১৩)। এর মধ্যে সুখীর ১৭ শতাংশ, সাদিয়ার ৫ শতাংশ, আরিফের ৩ শতাংশ এবং রিতুর শরীরের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে সুখীকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নারায়ণগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহাম্মেদ জানান, টিনশেড বাড়িটির পাশ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। সেই লাইনের পাইপ ফাটা ছিল। সেখান থেকে গ্যাস বেরিয়ে ওই বাসার টয়লেটের ভেতর দিয়ে রুমে গিয়ে জমাট বাঁধে। ধারণা করা হচ্ছে রাতে কয়েল জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর পুরো রুমে আগুন ধরে যায়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রহিমার স্বামী জাহাঙ্গীর হাওলাদার জানান, তার আত্মীয় সুখী বাঘপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িটিতে থাকতেন। দুই সপ্তাহ আগে সুখী একটি সন্তানের জন্ম দেন। সেই সন্তান দেখতে রহিমা ও তার মেয়ে সুখীর বাসায় গিয়েছিলেন। রাতে বাসায় কয়েল ধরাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।