ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

‘ব্যাক বেঞ্চারের’ উদ্যোগ যশোর বাজারমূল্যের অর্ধেকে পণ্য পেল ৩৫০ পরিবার

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫০ এএম
আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫০ এএম
যশোর বাজারমূল্যের অর্ধেকে পণ্য পেল ৩৫০ পরিবার
ছবি : খবরের কাগজ

যশোর শহরের রবীন্দ্রনাথ সড়কের নতুন বাজারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বসে অস্থায়ী দোকান। এখানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বিকিকিনি। চাল, আটা, সয়াবিন তেল, সেমাই, চিনি, দুধ, মুরগির মাংসসহ  ৯টি পণ্য পাওয়া যায় এই দোকানে। তবে বাজারমূল্যের থেকে অর্ধেক দামে কিনতে পারেন দরিদ্র, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। পণ্য পেয়ে আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ক্রেতারা। ব্যতিক্রমী এই বাজারের আয়োজন করে যশোরের এসএসসি ১৯৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সামাজিক সংগঠন ‘ব্যাক বেঞ্চার’। এদিন বাজার দরের চেয়ে অর্ধেক দামে সুলভমূল্যে ঈদ বাজার করেছেন ৩৫০ পরিবার। 

আয়োজকরা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ব্যাক বেঞ্চার’ সদস্য সংখ্যা ১৯ জন। সদস্যরা কেউ চাকরিজীবী কেউ বা ব্যবসায়ী। এই সদস্যদের চাঁদার টাকা দিয়ে চলে নানামুখী স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড। সংগঠনটি মূলত দরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, সামাজিকভাবে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড করে আসছেন। করোনাকালে সংগঠনটি অক্সিজেন সেবা, খাদ্যসামগ্রী বিতরণের মধ্যে দিয়ে মানুষের পাশে ছিলেন। 

সংগঠনের সদস্যরা জানান, দরিদ্র, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষরা দ্রব্যমূল্যের এ বাজারে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তাদের জন্য আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ বাজারের ব্যবস্থা করার জন্যই এই উদ্যোগ। এরপর যশোর শহর ও শহরতলী বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় জরিপ চালিয়ে ৩৫০ জন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে শনাক্ত করে সংগঠনটি। তাদের ঈদে দরকারি এমন ৮২৭ টাকা মূল্যের ৯টি পণ্য তারা মাত্র ৪০০ টাকাতে কিনতে পেরেছেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, আরএন রোড এলাকায় নতুন বাজার প্রাঙ্গণে নারী-পুরুষের লম্বা লাইন। বিভিন্ন পণ্যের স্টলও রয়েছে। ওই সব স্টলের টেবিলে সাজিয়ে রাখা হয়েছে পণ্য। ক্যাশ কাউন্টারে পণ্যের দাম পরিশোধ করে একটি স্লিপ নিয়ে লাইন থেকে একজন একজন করে স্টলে গিয়ে পছন্দের পণ্য ব্যাগে ভরে নিচ্ছেন।

মণিহার এলাকা থেকে বাজার করতে আসা প্রতিবন্ধী আলমগীর বলেন, ‘রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। জিনিসপত্রের এখন যে দাম, সংসার চালানো কঠিন। এরমধ্যে রোজা ঈদ উপলক্ষে সকল পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। চিন্তায় ছিলাম কীভাবে ঈদে করব। এই বাজার থেকে অর্ধেক দামে জিনিসপত্র কিনতে পেরে ঈদের আগেই খুশি হলাম।’ 

গৃহকর্মী সফুরা বেগম বলেন, ‘কম দামে পণ্য পেয়ে আমার মতো গরিব মানুষের অনেক উপকার হইছে। এই সংগঠনের মতো আরও দুটো সংগঠন হলে এই অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের খুব উপকার হতো।’ 

সংগঠনটির সভাপতি জাকিউল ইসলাম পিংকু বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা কষ্টে আছে। তারা কষ্টে থাকলেও কারও কাছে হাত পাততে পারে না। তাদের জন্য আমাদের এই বাজার। তারা যেন ঈদের দিন পরিবার নিয়ে ভালো থাকতে পারেন।’

সংগঠনটির উপদেষ্টা শাহনেওয়াজ আনোয়ার লেনিন বলেন,  ‘দরিদ্র, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ ঈদের দিন পোলাও-মাংস খেতে পারে না। তাদের কথা মাথায় রেখে আমরা মুরগির মাংস, পোলাও চালসহ দরকারি ৯টি পণ্য কম মূল্যে বিক্রি করেছি, যাতে তারা আনন্দের সঙ্গে ঈদ করতে পারেন।’ 

দুর্নীতির মামলায় তিতাস গ্যাসের অফিস সহায়কের ৩ স্ত্রী কারাগারে

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ এএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:০৬ এএম
দুর্নীতির মামলায় তিতাস গ্যাসের অফিস সহায়কের ৩ স্ত্রী কারাগারে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কুমিল্লায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের তিন স্ত্রীকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার এ রায় দেন। 

দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন, জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী সেলিনা আক্তার, দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তার ও তৃতীয় স্ত্রী আছমা আক্তার। জহিরুল ইসলাম কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনিও ওই তিন মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলাগুলো থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় জহিরুল ও তার তিন স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক।

২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জহিরুল ইসলাম ও তার তিন স্ত্রীর নামে মামলা করেন দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান। এ ব্যাপারে দুদক জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের ঢাকা অফিসের অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকার অর্থদণ্ড, দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকার অর্থদণ্ড এবং তৃতীয় স্ত্রী আছমা আক্তারকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আসামিদের অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে জহিরুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়। 

 

সিলেটে রথমেলা থেকে ২৪ দেশীয় পাখি জব্দ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
সিলেটে রথমেলা থেকে ২৪ দেশীয় পাখি জব্দ
ছবি : খবরের কাগজ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম একটি প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে সিলেট নগরীতে রথমেলা শুরু হয়েছে। আর এই মেলায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ২৪টি দেশীয় পাখি জব্দ করেছে বন বিভাগ।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।  

সিলেট বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন বিভাগের সিলেট রেঞ্জের দায়িত্বরতরা এই ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ২৪টি দেশীয় পাখি জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ১৪টি ঘুঘু, ৯টি শালিক ও একটি টিয়া পাখি ছিল।

সিলেটে প্রতিবছরই রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে নগরীর রিকাবীবাজারে গড়ে উঠে মেলা। সেই মেলায় অবাধে বিক্রি হয় দেশীয় পাখিসহ নানা প্রজাতির বিদেশি পাখি। আইন অনুযায়ী দেশি-বিদেশি সব ধরনের পাখি বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও এই রথমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই দেশি-বিদেশি পাখি বিক্রির জমজমাট আসর বসে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রতিবছরই রথমেলায় দেশীয় ও পরিযায়ী পাখি বিক্রির চেষ্টা করে থাকে একটি চক্র। এবার মেলার প্রথমদিনই বন বিভাগ এই পাখি বিক্রি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ থাকবে বন্যপ্রাণী ও পাখি বিক্রিরোধে মেলার যেন সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়। পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকেও মেলায় নিয়মিত নজরদারি রাখা হবে।’

সিলেট বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা (টাউন রেঞ্জ) শহিদুল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘রথমেলাকে কেন্দ্র করে পাখি বিক্রি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। তাই মেলার প্রথমদিনই আমরা ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ২৪টি দেশীয় পাখি জব্দ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযান দেখে বিক্রেতারা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। পাখিগুলো শেখঘাট এলাকায় সুরমা নদীর পাড়ে অবমুক্ত করা হয়। প্রতিদিনই মেলায় আমাদের টহল অব্যাহত থাকবে। ঝটিকা অভিযানও চলবে।’

শাকিলা ববি/সালমান/

সিরাজগঞ্জে ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
সিরাজগঞ্জে ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক। ছবি : খবরের কাগজ

সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এর ফলে জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালি ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলবেষ্টিত ৩৪টি ইউনিয়নের ১৮ হাজার পরিবারের প্রায় ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকে আশ্রয়কেন্দ্র, অনেকে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে। সেই সঙ্গে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। এর পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্য নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে বন্যায়কবলিতরা। 

রবিবার (৭ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জ কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ থেকে আগামী তিন-চার দিন পানি কমবে। এরপর আবারও পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান খবরের কাগজকে জানান, আগামী তিন-চার দিন পর্যন্ত যমুনার পানি কমবে। এরপর ফের বাড়তে পারে। আপাতত ভারী বন্যার সম্ভাবনা নেই। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ভাঙন রোধে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও টিউব ও বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বন্যার পানিতে জেলার ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর জমির পাট, তিল, কালাই, কলা, মরিচ, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলের খেত প্লাবিত হয়েছে। তবে পানি কমলে ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলার ৫টি উপজেলার ১৮ হাজার পরিবারের মোট ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা বন্যাকবলিতদের মাঝে ৯৫ টন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছি।’

কাউন্সিলর আজাদের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
কাউন্সিলর আজাদের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবি
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন শেখ তাহমিনা রহমান। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের টানা পাঁচবারের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার ঘটনাকে ‘নাটক’ দাবি করে স্থানীয় এক শ্রমিকের স্ত্রী বলেছেন, ‘গরুর হাটের টাকা ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঝামেলা শ্রমিকদের ওপর চাপাতে কাউন্সিলর আজাদ নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। তার বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলে সত্য জানা যাবে।’ এ সময় তিনি ওই ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানান। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন টিলাগড়ের কল্যাণপুর এলাকার শেখ নাঈমুর রহমান রাব্বির স্ত্রী শেখ তাহমিনা রহমান। 

তার দাবি অনুযায়ী, কোরবানির পশুর হাটের পারিশ্রমিক চাওয়ায় কাউন্সিলরের লোকজন হামলা করে শিশুসহ কয়েকজনকে আহত করেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে কাউন্সিলরের বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করতে হবে। যদিও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গত ২৭ জুন তার বাড়িতে হামলা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন কাউন্সিলর আজাদ। তবে খবরের কাগজের অনুসন্ধানে উঠে এসেছিল, কোরবারির হাটের চোরাই গরুর লাভের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলা।

লিখিত বক্তব্যে তাহমিনা রহমান বলেন, ‘টিলাগড় গরুর বাজারের শ্রমিক হিসেবে আমার স্বামী শেখ নাঈমুর রহমান রাব্বি এবং স্থানীয় সামাদ, নাসির, রিয়াজ, বুরহান, রুবেলসহ আরও অনেকে কাজ করেছেন। কিন্তু বাজারের মূল ব্যক্তি কাউন্সিলর আজাদ তাদের পারিশ্রমিক দেননি। টাকা চাওয়ায় উল্টো ক্ষিপ্ত হন।’

শেখ তাহমিনার অভিযোগ, ‘এরই জের ধরে গত ২৭ জুন কাউন্সিলরের ভাতিজা চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাদিকুর রহমান আজলার নেতৃত্বে আমাদের বাসাসহ অন্তত তিন শ্রমিকের বাসায় হামলা হয়। এমনকি আমার কোলের শিশুকে কেড়ে নিয়ে মাটিতে ছুড়ে মারে।’ 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাত প্রায় ২টার দিকে হঠাৎ করে আজলা, অনিল, আজিজুর, নাঈম, জুনেদ, আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের বাসার দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। সম্ভ্রমহানির চেষ্টা চালায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরদিন প্রাণভয়ে আমরা সুনামগঞ্জে বাবার বাড়িতে চলে যাই। সেখানেও তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আবারও সিলেট শহরে এসে গোপনে এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিই।’ একই রাতে সন্ত্রাসীরা গরুর বাজারের বকেয়া টাকা চাওয়া শ্রমিক সামাদের শাপলাবাগের বাসায় ও নাসিরের বাসায় একইভাবে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদার

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে পাঁচগাঁও আলহাজ ওয়াহিদ আলী উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল ১০টা থেকে পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন চলছিল। নির্বাচনে বিজয়ী সভাপতি প্রার্থী দেওয়ান মনিরুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদার। অপর প্রার্থী মিলনের সমর্থক নূর মোহাম্মদ ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে ইউপি চেয়ারম্যান সুমনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাকে মাঠে ফেলে দিয়ে প্রকাশ্যে বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। সুমনকে প্রথমে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে বেলা ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান। 

তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রকাশ্যে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেননি পুলিশ সুপার।