ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কক্সবাজারে জোয়ারের পানিতে ২০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ০৮:১১ পিএম
কক্সবাজারে জোয়ারের পানিতে ২০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ছবি: খবরের কাগজ

ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ফলে সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট বেড়ে যাওয়ায় ২০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। 

রবিবার (২৬ মে) দুপুরে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়া নিম্নাঞ্চলগুলো ডুবে যায়।

বিশেষ করে কক্সবাজার সদরের কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া, গোমাতলী, পোকখালী, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ জেলার ২০টি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। সন্ধ্যায় উপকূল এলাকায় ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

অন্যদিকে, সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। সৈকতে জেলা প্রশাসনের নিয়োজিত বিচকর্মী ফায়ার সার্ভিস ও লাইফগার্ড কর্মীরা পর্যটকদের সতর্কতার বিষয়ে মাইকিং করছে। 

অন্যদিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে সকাল থেকে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

এ ছাড়া কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গাছ ভেঙে পড়ায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। 

রবিবার দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক ব্রিফিংয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরসহ উপকূল ও নিম্নাঞ্চলের ঝুকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কক্সবাজারে ব্যপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

শনিবার (২৫ মে) রাত থেকেই কক্সবাজারে বাতাসের গতি বেড়েছে। রাতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। 

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

শনিবার চট্টগ্রামে কারফিউ বিরতি ১৪ ঘন্টা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
চট্টগ্রামে কারফিউ বিরতি ১৪ ঘন্টা
ছবি: খবরের কাগজ

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আজ কারফিউ’র বিরতি থাকবে ১৪ ঘন্টা। সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিরতি দিয়ে পরবর্তী সময় থেকে কারফিউ চলবে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র কাজী তারেক আজিজ। 

তিনি খবরের কাগজকে বলেন, শনিবার নগরীতে ১৪ ঘন্টা বিরতি থাকবে কারফিউতে। এরপর থেকে পুনরায় কারফিউ চলবে। পরের দিনের সিদ্ধান্ত শনিবার সন্ধ্যায় জানানো হবে।’

এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ বিরতি চলে নগরীতে। তার আগের দুইদিন ছিল সকাল ছয়টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতি। 

শুরুতে ১৯ জুলাই থেকে ৩ দিন চট্টগ্রামে কারফিউতে কড়াকড়ি ছিল। এই ৩ দিন বিরতি ছিল মাত্র ২ ঘন্টা। পরে ধীরে ধীরে বিরতি বাড়ায় নগর পুলিশ। ফলে জনজীবন স্বাভাবিক হতে থাকে।

মনির/ইসরাত চৈতী/

সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তনি চালু হলেও স্বাভাবিক হয়নি কার্যক্রম

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৮ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৮ এএম
আমদানি-রপ্তনি চালু হলেও স্বাভাবিক হয়নি কার্যক্রম
ছবি : খবরের কাগজ

কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্নে চার দিন বন্ধ থাকার পর গত বুধবার কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। তবে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় পণ্য বেচাকেনা হচ্ছে না। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন পাঁচ হাজার শ্রমিক। আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, চার দিনে প্রায় ২৫ লাখ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বলছেন, বেচাকেনা বন্ধ ও ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক এলেও ইন্টারনেট না থাকায় পণ্য খালাস করা যায়নি। ফলে খরচ বেড়েছে। ছিল না ব্যাংকিং সুবিধা। সব মিলে রাজস্বের সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে পরিবহনব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। আন্দোলনের পরিস্থিত খারাপ হওয়া সঙ্গে সঙ্গে বেচাকেনা কমে যায়। একপর্যায়ে কারফিউ জারি করে সরকার। তার আগে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট। ফলে গত শনিবার বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যাংকে আর্থিক লেনদেন করতে না পারায় নতুন করে এলসি খুলতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে আগের করা এলসির পণ্য (পাথর) এলেও ইন্টারনেটের অভাবে তথ্য নিশ্চিত হতে না পারায় সেসব পণ্য খালাস করা যায়নি। ফলে দীর্ঘসময় চালক-শ্রমিকসহ পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো অবস্থান করতে হয়।

বুধবার বন্দর চালু হলেও সড়ক যোগাযোগও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় এখন পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে কিছু শ্রমিক কাজ পেলেও বেশির ভাগ এখনো বেকার সময় পার করছেন। বন্দরের শ্রমিক শাহজালাল মিয়া বলেন, ‘শ্রমিকরা দিন আয় করে দিন চালায়। কাজ ছিল না আয় ছিল না। ঋণ, ধারকর্জ ছাড়া বাঁচার উপায় নাই।’ 

সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আবু তাহের ফরাজী বলেন, বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বড় সমস্যায় পড়েছেন। একদিকে ইন্টারনেট নাই। পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। ব্যাংকিং করার সুযোগ নেই। অন্যদিকে সড়কে ট্রাক চলাচল করতে না পারায় কেনাবেচা বন্ধ ছিল। সব মিলে আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রাকীব আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার সুযোগ ছিল না। ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরাও কর্মহীন হয়ে পড়েন। তবে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’ 

সোনাহাট স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো. আতিকুল ইসলাম ইসলাম বলেন, ‘কারফিউর কারণে গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২৫ লাখ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বুধবার থেকে বন্দরের কার্যক্রম চালু হয়েছে। তবে এখনো পুরোদমে বা স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। সড়ক যোগাযোগ ভালো থাকলে এ অবস্থা কেটে যাবে।’

গাইবান্ধায় বেড়েছে সবজির দাম, স্বস্তি নেই ব্রয়লার মুরগিতেও

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
গাইবান্ধায় বেড়েছে সবজির দাম, স্বস্তি নেই ব্রয়লার মুরগিতেও
ছবি : সংগৃহীত

গাইবান্ধার বিভিন্ন হাট-বাজারে অস্বাভাবিক হারে চালসহ সবজির দাম বেড়েছে। প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও সবজির দাম। পাশাপাশি আদা, পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। কোটা সংস্কারের দাবিতে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও কারফিউ আতঙ্কে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে জিনিসপত্রের দাম আরও বেশি। ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগের থেকে গত এক সপ্তাহে বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে এসেছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নানা দামে চালসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বেচাকেনার চিত্র। প্রতি কেজি মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি আলু ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, আদা ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা ও পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, মসুর ডাল ১০৪ থেকে ১৫০ টাকা, সোয়াবিন তেল ১৬৭ থেকে ১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

শহরের হকার্স মার্কেটে যান রতন মিয়া (৫০)। তার বাড়ি সদর উপজেলার ফলিয়া গ্রামে। তিনি একটি বিদ্যালয়ে পিয়ন পদে চাকরি করেন। রতন মিয়া বলেন, ‘অল্প বেতনের চাকরি। যা বেতন পাই তা দিয়ে কোনো একরকম সংসার চলে। বেতনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে খরচ করি। কিন্তু চাল কিনতে এসে অবাক হলাম। প্রতি কেজি চালে ৩-৫ টাকা বেড়েছে। কারফিউর কারণে এ মাসে অতিরিক্ত টাকা খরচ হবে। এ জন্য ঋণ করতে হবে।’

একই মার্কেটে আসা শহরের সুখনগর এলাকার চাকরিজীবী হোসেন আলী বলেন, ‘আমরা চাকরিজীবী। সারা বছর চাল, ডাল, সবজি কিনে খেতে হয়। যে টাকা নিয়ে বাজারে কেনাকাটা করতে এলাম, এসে দেখি দাম বেশি। বাধ্য হয়ে কয়েক কেজি চাল কম কিনলাম। সবজিও কম নিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।’

এই বাজারের চাল ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চালের দাম বাড়াইনি। বেশি দামে চাল কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

কাঁচা সবজি বিক্রেতার একই ভাষ্য। এই বাজার থেকে শহরের পুরাতন বাজারে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেল। পুরাতন বাজারে আসা সদর উপজেলার খোলাহাটি গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাইকারি বাজারে এলাম। ভাবলাম দাম একটু কম পাব। কিন্তু ব্রয়লার মুরগি, মসুর ডাল, আলু, রসুন, সোয়াবিন তেল বেশি দামে কিনতে হলো। প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে দেখলাম।’

বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সাজু মিয়া বললেন, ‘এখন কারফিউ চলছে। ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করছি। বিক্রিও অনেক কম।’

গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর রহমান বলেন, ‘কোনো জিনিসের দাম বৃদ্ধির কারণ নেই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। মালবাহী পরিবহন চলছে। দাম বাড়ানোর প্রশ্নই উঠে না। কারফিউ দোহাই দিয়ে যাতে কেউ দাম বাড়াতে না পারে, সে জন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার।’

এ প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, ‘প্রতিদিনই বাজার মনিটর এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দামেই ব্যবসায়ীদের পণ্য বেচাকেনা করতে বলা হচ্ছে।’

মাধবদী পৌরসভা দুর্বৃত্তের আগুনে ৬ কোটি ২ লাখ টাকার ক্ষতি

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
দুর্বৃত্তের আগুনে ৬ কোটি ২ লাখ টাকার ক্ষতি
ছবি : খবরের কাগজ

নরসিংদীতে ১৯ জুলাই বিকেলে কোটা আন্দোলনের সময় মাধবদী পৌরসভায় তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ‘মেয়রকে হত্যার’ উদ্দেশ্য করে পৌর কার্যালয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মেয়রকে না পেয়ে আগুন জ্বালিয়ে পৌরসভার বিভিন্ন কক্ষ জ্বালিয়ে দেয় তারা। একই সময় পৌর ভবনের নিচতলায় থাকা দুটি গাড়ি, বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ পৌরসভার সবগুলো কক্ষ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এতে মূল্যবান নথিপত্রসহ প্রায় ৬ কোটি ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান পৌর মেয়র হাজি মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক।

ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পৌর মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোটাবিরোধীরা আন্দোলন করেছে মহাসড়কে। তাদের মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের কেউ ইন্ধন দিয়ে দেয় আমাকে হত্যার জন্য। তারা আমাকে না পেয়ে পৌর কার্যালয়ে তাণ্ডব চালায়। এ ছাড়া দুষ্কৃতকারীরা আমার বাড়িতে গিয়েও খোঁজে। সেখানে না পেয়ে তারা পৌর শহরের আনন্দি মোড়ে সোনালি টাওয়ারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা অস্ত্রধারী ছিল। তারা ককটেল ফোটায় ও গুলি করে। আমরা ভবনের ওপর থেকে খালি হাতে জীবন বাঁচাতে দুষ্কৃতকারীদের ইট-পাটকেল ছুড়ি।’ তিনি বলেন, ‘বাজারের ভেতরে এমবি টাওয়ারে যারা বসেছিল তারা যদি আসতো, আমাদের ওপর হামলা করতে পারত না তারা।’

মেয়র আরও বলেন, ‘মেহেপাড়ায় হুমায়ুনের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে হামলা করা হয়। তাদের একটি গ্রুপ আমার ওপরে হামলা করার চেষ্টা করে।’

এ ছাড়া পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেনকে সহযোগিতা করার জন্য পুলিশসহ স্থানীয় এমপিকে ফোন করেও কারও সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

গত ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর মাধবদী বড় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়কে যায় কোটা আন্দোলনকারীরা। এ সময় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে আগুন দেয় তারা। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মাধবদী থানা ঘেরাও করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কোটা আন্দোলনকারীদের। পরে শুক্রবার বিকেলে মাধবদী পৌর কার্যালয়, পোস্ট অফিস ও সোনালি টাওয়ারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

অরাজকতা রুখতে মাঠে ছিলাম, এখনো আছি : মেয়র লিটন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৩ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৩ এএম
অরাজকতা রুখতে মাঠে ছিলাম, এখনো আছি : মেয়র লিটন

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও যেকোনো অরাজকতা রুখতে আমরা মাঠে ছিলাম, এখনো আছি।’

ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে গতকাল শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীর বড় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
 
মেয়র বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমরা শুরু থেকেই পর্যবেক্ষণ করেছি। আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল, এটা হয়তো ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হবে এবং কয়েক দিন যেতে না যেতেই সেটা প্রমাণিত হতে শুরু করল। ওই সময় থেকেই আমরা সতর্ক হয়ে যাই। জনগণের জানমাল রক্ষা ও কেউ যাতে অরাজকতা করতে না পেরে, সে জন্য আমরা মাঠে ছিলাম। আমরা এতে সফল হয়েছি। জেলার শান্তিপ্রিয় মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়েছেন, সাধুবাদ জানিয়েছেন।’

এর আগে, বড় মসজিদে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। জুমার নামাজ শেষে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। এরপর দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুমারপাড়ার মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান।