![কারাগারে কয়েদির ঝুলন্ত মরদেহ, কারারক্ষীসহ বরখাস্ত ৩](uploads/2024/06/03/Sylhet_Jail-1717428140.jpg)
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সোমবার (৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মো. ইউনুস আলী (২২) নামে এক কয়েদির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দুই কারারক্ষীসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইউনুস আলী সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালীবাড়ি গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। তিনি একটি মাদক মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হিসেবে কারাবন্দি ছিলেন।
কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মো. ইউনুস আলী প্রায় ৬ মাস ধরে কারাগারে বন্দি ছিলেন। আজ বেলা ১২টার দিকে কারাগারের অভ্যন্তরের একটি ওয়ার্ডে ইউনুস আলীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি অবহিত করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
কয়েদি ইউনুসের চাচা মো. ফয়জুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তারা দুপুরে কারাগারে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর তার ভাতিজা ইউনুস আলী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানানো হয়। পরে লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে হিমাগারে রাখা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন কারাগারের কর্মকর্তারা।
ফয়জুল ইসলাম আরও জানান, তার ভাতিজা একটু উচ্ছৃঙ্খল ছিল। প্রায় ৬ মাস ধরে একটি মামলায় ইউনুস কারাগারে ছিল। এর আগেও প্রায় দুই মাস কারাভোগ করে সে মুক্তি পেয়েছিল। এসব কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিল ইউনুস।
সিলেট বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক মো. ছগির মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘নিহত ব্যক্তি সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে তিনি নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এদিকে এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার দায়ে দুই কারারক্ষী এবং একজন সহকারী হেড ওয়ার্ডকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’