ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

মানিকগঞ্জে বন্ধুকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১০:১৮ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১০:১৮ এএম
মানিকগঞ্জে বন্ধুকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে উত্তম আকাশ আলিফ হত্যা মামলায় তার বন্ধু ইমরান হোসেন বিশুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আসামির উপস্থিতে এই রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মথুরনাথ সরকার।

আলিফ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার লেমুবাড়ীর বাসিন্দা। তিনি ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার একটি ছাপাখানায় চাকরি করতেন। অন্যদিক ইমরানের বাড়ি সিংগাইর উপজেলার চর-গোলড়ায়। 

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাদক ব্যবসা ও পাওনা টাকা নিয়ে আলিফের সঙ্গে ইমরানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমরান তার পরনের বেল্ট দিয়ে আলিফকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর কেরোসিন ঢেলে লাশ পুড়িয়ে দেন। পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে সিংগাইরের চর-গোলড়া চকের ভেতর থেকে আলিফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন সিংগাইর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন তদন্ত শেষে আসামি ইরমান হোসেনকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ৬ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুরনাথ সরকার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষের আইনজীবী আফরাফ উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানান।

কাশিয়ানীর তারাইল উচ্চবিদ্যালয় কমিটির সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
কমিটির সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর তারাইল উচ্চবিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির দুই প্রতিনিধি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় চরমভাবে বিঘ্ন ঘটছে। এসব কারণে স্কুলটির ফলাফলেও প্রভাব পড়ছে। তাই সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া বাতিল করে আবার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রক্রিয়ার জোর দাবি জানান তারা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে যেকোনো সময় এলাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।  

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে রিপোর্টার্স ফোরামের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির দুই প্রতিনিধি মো. সাহের মোল্লা ও আরজ আলী বলেন, ‘গত ৯ জুন তারাইল উচ্চবিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক ক্যাটাগরিতে ৪ জন, সংরক্ষিত নারী অভিভাবক ক্যাটাগরিতে ১ জন, সাধারণ শিক্ষক ক্যাটাগরিতে ২ জন ও সংরক্ষিত নারী শিক্ষক ক্যাটাগরিতে ১ জনসহ মোট ৮ জন নির্বাচিত হন। কিন্তু গত ১৩ জুন অভিভাবক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত মো. সাহের মোল্লা, আরজ আলী ও সাধারণ শিক্ষক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত মো. ফুরকান শরীফকে না জানিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গজেন্দ্রমোহন বিশ্বাস গোপনে কাজী জহির আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তিকে সভাপতি বানিয়ে কমিটি বোর্ডে পাঠান।

গত ২৫ জুন প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুসারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনের ধারা ১৩-এর উপধারা-৩-এ বলা আছে, ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের সভায় নির্বাচিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে। অথচ ওই সভায় ৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রিসাইডিং অফিসার ৫ জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কাজী জহির আহম্মেদকে সভাপতি বানিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী।

তারা আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গজেন্দ্রমোহন বিশ্বাস ভোটার তালিকা প্রস্তুতকালে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান, বিদ্যালয় পরিদর্শক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাশিয়ানীকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ ছাড়া ওই বিষয় নিয়ে গত ১৮ জুন সাহেব মোল্লা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী আদালতে মামলা করেন।

‘খুব কষ্টের মইদ্দে আছি’

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
‘খুব কষ্টের মইদ্দে আছি’
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার দুর্গম সাপধরি ইউনিয়নের নামারচরের বাসিন্দা পানিবন্দি শাহ জামাল ও জমিলা খাতুন দম্পতির দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে/ খবরের কাগজ

‘সাত দিনের মইদ্দে (মধ্যে) এক দিন রান্দিছি (রান্না করেছি), খুব অভাব, খুব কষ্টের মইদ্দে আছি। গত পরশু দিন রান্দিছি, আর রান্দাবাড়ি করি নাই। বানের পানি বাড়তে বাড়তে টঙ (চৌকি) তলায় যায়, চুলা তলায় যায়, একেবারেই রান্দন যায় না। এহন ঘরে রান্দার মতো কিছু নাই, আইজ আর চুলায় আগুন জ্বালাই নাই। সকালে কয়ডা চিড়া খাইছি।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন বৃদ্ধ জমিলা খাতুন।

তার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে স্বামী শাহ জামাল বলেন, ‘সাত-আট দিন ধরে বন্যার পানির মইদ্দে টঙ পাইতা আছি। টঙ তলায় জায়গা, আবার উঁচা কইরা দিই। খাবার পানির খুব কষ্ট, পানি কল তলায় গেছে তাও কষ্ট কইরা ওই পানিই খাই। কোথাও যাওয়ার মতো নৌকা নাই, কেউ খোঁজ-খবরও নেয় নাই। সকালে চাইড্ডা চিড়া খাইছি, এহনো পর্যন্ত কিছু খাই নাই, আমরা দুই বুড়া-বুড়ি এইভাবেই আছি।’ 

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বন্যাকবলিত সাপধরি ইউনিয়নের যমুনার দুর্গম দ্বীপচর নামারচর। এই চরের ৬৫ বছর বয়সী কৃষক শাহ জামাল ও ৫০ বছর বয়সী জমিলা খাতুন দম্পতি এখনো অবস্থান করছেন তাদের নিজ ঘরে। আশপাশের বেশির ভাগ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গেলেও তারা থেকে গেছেন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত বাড়িতেই।

বানের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাথা গোঁজার চৌকিটিও উঁচু করা হয়েছে। রান্নার জন্য চেয়ারের ওপর পেতে রাখা হয়েছে চুলা, এক সপ্তাহে মাত্র একবার রান্না হয়েছে এই চুলায়। এখন রান্না করে খাওয়ার মতো ঘরে কিছু নেই, তাই গত দুই দিন ধরে চুলায় আগুন জ্বলেনি। 

বন্যার পানি আসার পর থেকে তাদের এক বেলাও তৃপ্তির আহার জোটেনি। রান্না না হওয়ায় শুকনো খাবার খেয়ে চলে এই বানভাসীদের জীবন। একই ইউনিয়নের ছিটপাড়া গ্রামের মোস্তফা ও মিনারার তিন সন্তান ও বৃদ্ধ মা মোমেনাসহ বন্যাদুর্গত এলাকার সব মানুষের সকাল থেকে রাত কাটছে এভাবেই। শিশুসহ পরিবার-পরিজন, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি নিয়ে এক অনিশ্চয়তায় কাটছে তাদের প্রতিটি মুহূর্ত। দূর থেকে নলকূপের পানি সংগ্রহ করে আবার কখনো বন্যার পানি পান করেন তারা। পানিতে ডুবে গেছে রান্নাঘর ও চুলা, ভেসে গেছে জ্বালানি লাকড়ি। নৌকার অভাবে বাজারে যাওয়া হয় না, তাই রান্না করা খাবারের পরিবর্তে চিড়া-মুড়ি খেয়েই কোনোমতে বেঁচে আছেন। 

জামালপুরে গত এক সপ্তাহ ধরে চলা বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় দুর্গতরা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে নদ-নদী, তীর ও চরাঞ্চল বন্যার পানিতে মিলেমিশে একাকার। দুর্গতদের অনেকেই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলেও এখনো অনেকেই অবস্থান করছেন পানিতে নিমজ্জিত বাড়ি-ঘরে। আশ্রয় যেখানেই হোক দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট। 

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তত ৫০টি ইউনিয়নের দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যার পানিতে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ও স্থানীয় রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। চারদিকে পানি, হাট-বাজার করা বা আশ্রয়ের জন্য কোনো জায়গায় যাওয়া দুর্গতদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য। নলকূপ ও রান্না করার চুলা বন্যার পানিতে ডুবে রয়েছে তাই এই মুহূর্তে দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, ইসলামপুর উপজেলার দুর্গম সাপধরি ইউনিয়নে সব ‘আধুনিক সুযোগ-সুবিধা’ সংবলিত একটি আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে। অনেকেই সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গত এলাকার জন্য ৫০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকা ও সাড়ে ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ৪৮০ টন চাল আগের বরাদ্দ ছিল, যার সিংহভাগ এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মুজত আছে, দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা রোধ করা অসম্ভব হলেও দুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘব করা সম্ভব। দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া ও সব দুর্গতের মাঝে সঠিকভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।

গ্যাসের দাবিতে ধামরাইয়ে মানবন্ধন-ঝাড়ুমিছিল, কয়েক কিমি. যানজট

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
গ্যাসের দাবিতে ধামরাইয়ে মানবন্ধন-ঝাড়ুমিছিল, কয়েক কিমি. যানজট
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকার ধামরাইয়ে বাসাবাড়িতে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক করা দাবিতে মানববন্ধন ও ঝাড়ুমিছিল করছেন এলাকার নারী-পুরুষরা।

সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে তারা উপজেলার কালামপুর বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে করিম টেক্সটাইলের সামনে কয়েকশ নারী ও পুরুষ মানববন্ধন ও ঝাড়ুমিছিল করেন।

এতে ঢাকা-মানিকগঞ্জ মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়।

বিস্তারিত আসছে...

দুর্নীতির মামলায় তিতাস গ্যাসের অফিস সহায়কের ৩ স্ত্রী কারাগারে

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ এএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:০৬ এএম
দুর্নীতির মামলায় তিতাস গ্যাসের অফিস সহায়কের ৩ স্ত্রী কারাগারে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কুমিল্লায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের তিন স্ত্রীকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার এ রায় দেন। 

দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন, জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী সেলিনা আক্তার, দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তার ও তৃতীয় স্ত্রী আছমা আক্তার। জহিরুল ইসলাম কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনিও ওই তিন মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলাগুলো থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় জহিরুল ও তার তিন স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক।

২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জহিরুল ইসলাম ও তার তিন স্ত্রীর নামে মামলা করেন দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান। এ ব্যাপারে দুদক জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের ঢাকা অফিসের অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকার অর্থদণ্ড, দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকার অর্থদণ্ড এবং তৃতীয় স্ত্রী আছমা আক্তারকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আসামিদের অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে জহিরুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়। 

 

সিলেটে রথমেলা থেকে ২৪ দেশীয় পাখি জব্দ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
সিলেটে রথমেলা থেকে ২৪ দেশীয় পাখি জব্দ
ছবি : খবরের কাগজ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম একটি প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে সিলেট নগরীতে রথমেলা শুরু হয়েছে। আর এই মেলায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ২৪টি দেশীয় পাখি জব্দ করেছে বন বিভাগ।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।  

সিলেট বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন বিভাগের সিলেট রেঞ্জের দায়িত্বরতরা এই ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ২৪টি দেশীয় পাখি জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ১৪টি ঘুঘু, ৯টি শালিক ও একটি টিয়া পাখি ছিল।

সিলেটে প্রতিবছরই রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে নগরীর রিকাবীবাজারে গড়ে উঠে মেলা। সেই মেলায় অবাধে বিক্রি হয় দেশীয় পাখিসহ নানা প্রজাতির বিদেশি পাখি। আইন অনুযায়ী দেশি-বিদেশি সব ধরনের পাখি বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও এই রথমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই দেশি-বিদেশি পাখি বিক্রির জমজমাট আসর বসে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রতিবছরই রথমেলায় দেশীয় ও পরিযায়ী পাখি বিক্রির চেষ্টা করে থাকে একটি চক্র। এবার মেলার প্রথমদিনই বন বিভাগ এই পাখি বিক্রি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ থাকবে বন্যপ্রাণী ও পাখি বিক্রিরোধে মেলার যেন সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়। পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকেও মেলায় নিয়মিত নজরদারি রাখা হবে।’

সিলেট বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা (টাউন রেঞ্জ) শহিদুল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘রথমেলাকে কেন্দ্র করে পাখি বিক্রি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। তাই মেলার প্রথমদিনই আমরা ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ২৪টি দেশীয় পাখি জব্দ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযান দেখে বিক্রেতারা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। পাখিগুলো শেখঘাট এলাকায় সুরমা নদীর পাড়ে অবমুক্ত করা হয়। প্রতিদিনই মেলায় আমাদের টহল অব্যাহত থাকবে। ঝটিকা অভিযানও চলবে।’

শাকিলা ববি/সালমান/