
গত তিন দিন ধরে নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেখা নেই সূর্যের। বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। ক্রমশই কমছে তাপমাত্রা। বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে পুরো দিন। এ কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। সড়কে দিনে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হাড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশায় প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। মানুষজন কম থাকায় পৌরশহরের সড়কগুলোতে রিকশা-ভ্যানের যাত্রীও কমে গেছে। পরিবারের চাহিদা মেটাতে শীত আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন দিন মজুররা। শীত বস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে হতদরিদ্র পরিবারগুলো। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বেশি।
পৌরশহরের রিকশাচালক নাদিম হোসেন বলেন, কনকনে শীতে রিকশা নিয়ে বাইরে যেতে মন চায় না। এ ছাড়া সকালে লোকজনও রাস্তায় কম থাকে। এ জন্য আয়ও কমে গেছে। শীতের কারণে দিনে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আয় হচ্ছে। অন্য সময় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় হয়।
একই এলাকার কৃষক অতিয়ার রহমান বলেন, ‘এ সময় ফসলের মাঠে খুব ঠাণ্ডা লাগে। এ জন্য সকালে মাঠে যাওয়া হয় না। কিন্তু কাজ না করলে খাবার জুটবে না। তাই শীত আর কুয়াশার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে। তবে ঠাণ্ডা পানিতে হাত-পা জমে যাওয়ার উপক্রম হয়।’
উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘এবার এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপি লাগিয়েছি। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে সকালে খেত থেকে সেগুলো তুলে বিক্রির জন্য বাজারে আনতে কষ্ট হচ্ছে। এতে বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় তিন কিলোমিটার।