![আইএমএফের বেশির ভাগ শর্ত পূরণ হয়েছে: অর্থমন্ত্রী](uploads/2024/02/09/1707419145.financemkk1.jpg)
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তির টাকা ছাড় পেতে যেসব শর্ত দিয়েছে, তার বেশির ভাগ শর্ত পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জায়েন্দু দে ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকলসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের চলমান পরীক্ষায় পাস করলেই ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি একটি পথনকশা বা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত বা মার্জারের কথা বলা হয়।
এ বিষয়ে একজন সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হলে ভালো হবে। এটি হতেই পারে। উন্নত অর্থনীতিতে অহরহ একীভূতকরণ হয়ে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত ব্যাংক একীভূতকরণের প্রস্তাব আসেনি। প্রস্তাব আসুক, তারপর দেখা যাবে।
আইএমএফের শর্তের মধ্যে রিজার্ভ ও রাজস্ব আয়ে বাংলাদেশের ঘাটতি ছিল। এ নিয়ে আইএমএফ কিছু বলেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, তারা যেসব লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল, বাংলাদেশ সেগুলো মোটামুটি পূরণ করেছে। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আইএমএফের একজন কর্মকর্তা এসেছেন। অগ্রগতি পর্যালোচনায় ওয়াশিংটন থেকে আইএমএফের স্টাফ মিশন আবার মার্চ মাসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। আশা করছি, বাংলাদেশ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ঋণের তৃতীয় কিস্তির টাকা পেতে তিনটি শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এর মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং বাজেটে ঘাটতি কমিয়ে আনার শর্ত পূরণ করেছে সরকার। বাকি আছে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, রিজার্ভের লক্ষ্য পূরণ না হলেও এর কাছাকাছি পৌঁছেছে।
কিস্তির বাইরে নতুন কোনো বাজেট সহায়তার আশ্বাস পাওয়া গেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখবে। পরিস্থিতি ভালো, দেখা যাক, কী হয়- বাংলাদেশ পরীক্ষায় পাস করেছে।
ডলারসংকট কাটাতে বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাজারভিত্তিক নয়, যে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতির কথা হয়েছে, সেটাই চলবে।
ওপরে-নিচে ডলারের সীমা বেঁধে দিয়ে লেনদেন করার নীতি ব্যবস্থাকে ক্রলিং পেগ বলা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডলারসংকটের সময় এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশও এটি চালু করার বিষয়ে নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। অর্থমন্ত্রী গতকাল ওই পদ্ধতি চালু হওয়ার বিষয়ে আভাস দিলেন।