ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

সবার সহায়তায় বাঁচতে চায় ক্যানসার আক্রান্ত সাংবাদিক রবিন

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
সবার সহায়তায় বাঁচতে চায় ক্যানসার আক্রান্ত সাংবাদিক রবিন
ক্যানসারে আক্রান্ত সংবাদিক রবিন তালুকদার

দ্য ডেইলি পোস্টের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি রবিন তালুকদার মরণব্যাধি থাইরয়েড ক্যানসারে আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। কিন্তু পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম রবিনের পক্ষে চিকিৎসার এই ব্যয় বহন করা প্রায় অসম্ভব। ফলে তিনি চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিন ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাক কান গলা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর তার অপারেশন করানো হয়। এতে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।

রবিন তালুকদার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের উত্তর তারটিয়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম তালুকদারের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার বড় ভাই ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মা, ছোট দুই ভাই, স্ত্রী ও এক মেয়ে নিয়েই তার সংসার।

রবিন তালুকদার বলেন, মো. শহিদুল ইসলাম টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক থাকাকালীন চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছিলেন। তাছাড়া পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়ে রবিন বলেন, আমার এক সন্তান রয়েছে। নিজের কিছু টাকা ও স্বজনদের সহায়তায় এখন চিকিৎসা চলছে। দুটি রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচ থেকে ছয়টি রেডিওথেরাপি লাগবে। এখন চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ হলে আবার হাসপাতালে গিয়ে রেডিওথেরাপি নেওয়া যাবে।

চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আরও ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য আমার বা আমার পরিবারের নেই। তাই সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

রবিন তালুকদারকে সহায়তা পাঠানো যাবে যে নম্বরে: ০১৭৫২৩০৭৭৯৫ (বিকাশ পার্সোনাল), ০১৭৫২৩০৭৭৯৫ (নগদ পার্সোনাল)

জুয়েল রানা/ইসরাত চৈতী/অমিয়/ 

বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করেও আশঙ্কামুক্ত নয় আহনাফ, দরকার আরও ৩০ লাখ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪, ০৫:০২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করেও আশঙ্কামুক্ত নয় আহনাফ, দরকার আরও ৩০ লাখ
মাহিউর রহমান আহনাফ

ছয় বছরের শিশু আহনাফ। যে সময়টায় ছুটোছুটি আর স্কুলে যাওয়ার কথা, তখন সে শুয়ে রয়েছে হাসপাতালের বিছানায়। তার ছোট্ট শরীর জুড়ে রয়েছে নানা চিকিৎসার যন্ত্রপাতি। থ্যালাসেমিয়া মেজর নামক রোগে মাহিউর রহমান আহনাফ জন্ম থেকেই আক্রান্ত। তবে তারপরও তাকে সুস্থ্য করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টায় নিজেদের সবটুকু উজার করে দিয়েছেন মা-বাবা। 

মা আলেয়া জানান, জন্মগতভাবে এই জটিল রোগে আক্রান্ত আহনাফকে প্রতি মাসে অন্যের রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। এই রোগ থেকে সুস্থ্য হওয়ার একমাত্র উপায় বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গত বছর ১২ ডিসেম্বর আহনাফের বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামের ফোর্টিজ হাসপাতালে ডা. বিকাশ দুয়া-এর অধীনে। ট্রান্সপ্লান্টের ১১৫ দিন পর্যন্ত সবকিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু ১১৬ দিন অর্থাৎ চিকিৎসা শেষ হওয়ার চারদিন আগে গত ৬ এপ্রিল আহনাফের শরীরে নতুন করে জটিলতা শুরু হয়, যা GVHD ও CMV ভাইরাস নামে পরিচিত।

দেশের বাইরে নিয়ে আহনাফের চিকিৎসায় এরইমধ্যে তার মা-বাবা ৮০ লাখ টাকার বেশি খরচ করেছেন। এই চিকিৎসার প্রতিটি ইঞ্জেকশন ব্যয়বহুল। আহনাফের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসক তাকে পুনরায় আইসিইউতে ভর্তি করিয়েছেন। এই চিকিৎসা চালানোর জন্য এখন আরো প্রায় ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আহনাফের পরিবারের পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইঞ্জেকশন সঠিক সময়ে দিতে পারলে আহনাফ সুস্থ হয়ে উঠবে। তাই আহনাফের মা সবার কাছে আর্থিক সাহায্য ও দোয়া প্রার্থনা করছেন।  

আগ্রহী সাহায্য দাতারা সিটি ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় একাউন্ট: আলেয়া ফেরদৌসী, একাউন্ট নম্বর- ২৩১১২০৮৯৮৩০০১, রাউটিং নং- ২২৫২৬২৫৩১-এ টাকা জমা দিতে পারেন।

তাছাড়া, ০১৮৯১৯৬৫৮৫৪ (আহনাফের মামা) নম্বরে নগদ ও বিকাশ করতে পারবেন।

অমিয়/

সাহায্যের আবেদন

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
সাহায্যের আবেদন

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসিন্দা নাসরিন বেলী খাদ্যনালির ক্যানসারে আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি ঢাকার উত্তরায় আহসানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এক ছেলে ও এক মেয়ের মা নাসরিন বেলীর স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বর্তমানে অবসরে আছেন।

ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাদের সহায়-সম্পত্তি শেষ। বর্তমানে ভিটেবাড়িটুকু ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

নাসরিন বেলীকে আরও আটটি কেমোথেরাপি দিতে হবে। এরপর তার রেডিওথেরাপি ও অস্ত্রোপচারও করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন অনেক টাকা। কিন্তু এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো তার পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাই তার পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ে ইশরাত আহমেদ অদিতি দেশের হৃদয়বান ব্যক্তি ও সংস্থার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ইশরাত আহমেদ অদিতি, হিসাব নম্বর ০৪৭০১০১১৭৫৬৩৭, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, টাঙ্গাইল প্রধান শাখা।

এ ছাড়া ০১৮৩৬৩২৯৩২১ নম্বরে বিকাশ অথবা নগদেও সাহায্য পাঠানো যাবে।

বিজ্ঞপ্তি