ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ইরানের সঙ্গে চুক্তি করায় ভারতকে হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১১:০৯ এএম
আপডেট: ১৫ মে ২০২৪, ১১:১১ এএম
ইরানের সঙ্গে চুক্তি করায় ভারতকে হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের
চাবাহার বন্দর। ছবি : সংগৃহীত

ইরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করছে, এমন যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। গত সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। 

ভারতের নৌপরিবহনমন্ত্রী এই চুক্তিকে ‘ভারত-ইরান সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ইরানের সঙ্গে ভারতের চুক্তির বিষয়টিকে ভালভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে। 

ভারতের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান- যারাই ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’ 

তবে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

ভারত-ইরান চুক্তিতে তেলেবেগুনে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র
ভারত আর ইরান চুক্তিতে তেলেবেগুনে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই হয়তো নিষেধাজ্ঞার এই হুঁশিয়ারি। ইরানের চাবাহার বন্দর বৈশ্বিক বন্ধুত্বের সমীকরণটা বদলে দিতে পারে। তাহলে কি সেই ভয়টাই পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? 

সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর নিয়ে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নয়াদিল্লি। তার পরেই যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এল হুঁশিয়ারি বার্তা। 

বেদান্ত প্যাটেলের কথায়, কেউ যদি ইরানের সঙ্গে ব্যবসার কথা ভাবে, তাহলে কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে। অর্থাৎ তিনি সরাসরি ভারতের নাম না করে বুঝিয়ে দিলেন, ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ খুব একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার হবে না। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কে বন্ধু রাষ্ট্র, আর কে শত্রু রাষ্ট্র, তা বিবেচনা করবে না। 

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ইরানের সঙ্গে কেউ ব্যবসা করার কথা ভাবলে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার আগে থেকেই সজাগ থাকা উচিত। চাবাহার বন্দর নিয়ে ভারত আর ইরানের যে চুক্তি হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্র খুব ভালোভাবে জানে। 

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে তাদের কিছু বলার নেই। কারণ এই চুক্তি ইরান আর ভারতের সম্পর্কের আওতায় পড়ে। কিন্তু যেহেতু ইরানের ওপর এখনো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে, সেই নিষেধাজ্ঞা ভবিষ্যতেও জারি থাকবে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, সবটা জেনে কেউ যদি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করার কথা ভাবে, তাহলে সেই দেশের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। আর সেই কথাটা যেন তারা মনে রাখে। 

এমন বক্তব্যে খুবই স্পষ্ট, এটা ভারতের উদ্দেশে পরোক্ষভাবে একটা বড় হুঁশিয়ারি।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি পাত্তা দিবে ভারত? 
যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি নিয়ে ভারত কী ভাবছে? আদৌ কি এই হুমকি নিয়ে ভারতের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ রয়েছে? এই প্রথম নয়, এর আগেও কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ভারতের মিত্রতার কারণে নয়াদিল্লিকে এমন হুঁশিয়ারি কিংবা সতর্কবার্তার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে ভারত সেগুলোকে পাত্তা দেয়নি। যখন রাশিয়া থেকে ভারত এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম কিনেছিল, তখনো একইভাবে দিল্লিকে হুঁশিয়ারি দেয় ওয়াশিংটন। যদিও ভারত তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি। বরং এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম কিনেই ছেড়েছিল। এবারেও যে ভারত সেই নিষেধাজ্ঞার কথা শুনবে না, তা বলাই বাহুল্য। কারণ ইরানের সঙ্গে চুক্তি ভারতের রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ একটা পদক্ষেপ। যেভাবে দিনের পর দিন ভারতকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার জন্য চীন বাণিজ্যিক করিডোর তৈরির পরিকল্পনা করছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চীনের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পারে ভারত-ইরানের চুক্তি।

কারণ শি জিনপিংয়ের স্বপ্নের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিসিয়েটিভের অংশ হলো চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর। যার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণভাবে জড়িত পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের গদর বন্দর। এবার কিন্তু এই বন্দর আর ভারতের গলার কাঁটা হতে পারবে না। 

চুক্তি অনুযায়ী, চাবাহার বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে ভারতের ওপর। যার মাধ্যমে আফগানিস্তানসহ মধ্য এশিয়া এমনকি ইউরোপের সঙ্গে ভারত সহজে যোগাযোগ রাখতে পারবে। গদর আর চাবাহার বন্দরের মধ্যে সড়ক পথে দূরত্ব ৪০০ কিলোমিটার। আর সমুদ্র পথের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী, চাবাহারকে যুক্ত করা হবে, ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোরের সঙ্গে। যার আওতায় রয়েছে ভারত, ইরান, আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, রাশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং ইউরোপের জাহাজ রেল সড়কের প্রায় ৭২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ নেটওয়ার্ক। সূত্র: বিবিসি, প্রথম কলকাতা নিউজ।

জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস
ছবি: সংগৃহীত

জাপানের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। শত শত বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দেখা দেওয়া ওই বন্যা ও ভূমিধসে অঞ্চলটির পরিবহনব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এরই মধ্যে জাপানের ইয়ামাগাতা ও আকিতা অঞ্চলের কয়েকটি পৌরসভায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে সরে যাওয়ার ও কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্যের ওপর মনোযোগ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর বলছে, বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে নৌকায় করে ১১ জনকে সরিয়ে নিয়েছেন শহরের উদ্ধারকর্মীরা। ইয়ামাগাতা প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউজা ও সাকাতা শহর। বৃহস্পতিবার শহর দুটিতে এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের (৪ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাকে উঁচু ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কতজন সে পরামর্শ মেনেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এদিকে, আকিতা প্রদেশের ইউজাওয়া শহরে একটি সড়ক নির্মাণ সাইটে ভূমিধস হয়ে একজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। সূত্র: এপি 

পাকিস্তান 'সন্ত্রাস' দিয়ে আলোচনায় থাকতে চায়

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
পাকিস্তান 'সন্ত্রাস' দিয়ে আলোচনায় থাকতে চায়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

পাকিস্তান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও প্রক্সি যুদ্ধের মাধ্যমে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও বলেছেন, তাদের সেই ‘অপবিত্র পরিকল্পনা’ কখনো সফল হবে না।

পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক দশক ধরেই ভালো সম্পর্ক নেই ভারতের। কাশ্মীরে ইসলামি উগ্রপন্থিদের তহবিল জোগান দেয় পাকিস্তান– এমন অভিযোগ তারা বহু আগে থেকেই করে আসছে। তবে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তাদের কথা হলো– পাকিস্তান শুধু কাশ্মীরিদের কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়েছে।

কারগিল সংঘাতের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তান সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেন মোদি। হিমালয় অঞ্চল কারগিলে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সংঘাতে জড়িয়েছিল পাকিস্তান ও ভারত। এ ছাড়া দুই দেশ মোট তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে বিভিন্ন সময়। তার মধ্যে দুটি কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে। চলতি বছরেও জম্মু ও কাশ্মীরে উগ্রবাদী হামলা হয়েছে। সে হামলায় প্রায় এক ডজন ভারতীয় সেনা মারা গেছে।

মোদি দাবি করেন, পাকিস্তান যখনই নিজ পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চেয়েছে, তখনই বিব্রত হয়েছে। দেশটি নিজ ইতিহাস থেকে কোনোকিছু শেখেনি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেওয়া হয়নি। 

২০১৯ সালের আগস্ট থেকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। এখনো সে অবস্থাই রয়েছে। কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার জেরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল সেবার। 

কাশ্মীরে ভারতীয় সামরিক বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। সেটির সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক উগ্রবাদীদের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। পরে এর জেরে বিমান হামলাও চালায় ভারত।  

চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তান দাবি করে, তাদের হাতে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে ভারতীয় গুপ্তচররা পাকিস্তানের মাটিতে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। তবে ভারত সে দাবি অস্বীকার করে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানায়াম জয়শঙ্কর গত মাসে জানান, ভারত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের সমাধান খুঁজছে। এটি ভালো প্রতিবেশীর লক্ষণ হতে পারে না। সূত্র: বিবিসি 

ওবামা দম্পতির সমর্থন পেলেন কমলা হ্যারিস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
ওবামা দম্পতির সমর্থন পেলেন কমলা হ্যারিস
কমলা হ্যারিস ও বারাক ওবামা

কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তাকে ওই সমর্থন জানান তারা।

ওই বিবৃতিতে বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা জানান, কমলা হ্যারিসের ‘নিজস্ব দর্শন, স্বকীয়তা এবং শক্তি’ রয়েছে যা সংকটময় মুহূর্তে একজন প্রেসিডেন্টের থাকাটা খুব জরুরি।

কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে বেশির ভাগ ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধির সমর্থন পেয়েছেন। আগস্টে দলীয় সম্মেলনে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে।

বাইডেন শুরুতেই সমর্থন দিয়েছেন কমলাকে। তবে এতদিন ওবামা কোনো সমর্থন দেননি। বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ছিল। এর মধ্যে এমন কথাও শোনা গেছে যে কমলা অন্যদের সমর্থন পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ওবামা। কারণ তিনি মনে করছিলেন, কমলা হ্যারিস জিততে পারবেন না।

তবে সেসবের অবসান ঘটিয়েই এলো সমর্থনের খবর। সেখানে ওবামা দম্পতি জানিয়েছেন, কমলাকে জয়ী করতে ‘সম্ভাব্য সবকিছু’ করবেন তারা। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে একমত। তিনি কমলাকে বেছে নিয়ে সেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ সূত্র: বিবিসি

অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে হামলা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২১ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২২ এএম
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্কে (টিজিভি) অগ্নিসংযোগসহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনসিএফের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাতে রেল নেটওয়ার্কে কয়েকবার হামলা চালানো হয়। এতে আটলান্টিক অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলের লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
রাজধানীতে অলিম্পিকের উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টা আগে এ ঘটনা ঘটল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।

হামলার পর বেশ কয়েকটি রুটে রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। প্যারিস-লন্ডন রুটে চলাচলকারী ইউরোস্টার ট্রেনগুলোর যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে। কিছু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে এবং কিছু ট্রেনের সূচি পেছানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রেলব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে অন্তত পুরো সপ্তাহ লেগে যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এতে অলিম্পিকের সময় আগত পর্যটকদের যাতায়াতসেবা নিশ্চিতে সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে প্রশাসন। দ্রুতগামী ট্রেনগুলোর মাধ্যমে দৈনিক ৮০ হাজার যাত্রীকে সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের। ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনসিএফ বলছে, টিজিভি নেটওয়ার্ক অচল করে দিতেই বড় ধরনের এ হামলা চালানো হয়েছে।

এসএনসিএফ জানিয়েছে, হামলার ফলে অনেকগুলো লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওইসব লাইনের ট্রেনগুলোকে অন্য পথ দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ চলাচল বন্ধই রাখছেন তারা। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এ ধরনের আক্রমণের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সেখানকার লাইনগুলো অক্ষত আছে বলে জানিয়েছে ফরাসি গণমাধ্যমগুলো।

ফ্রান্সের পরিবহনমন্ত্রী প্যাট্রিস ভার্গ্রেইত সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। দ্রুত রেল যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় এসএনসিএফকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী এমিলি অঁদি ক্যাস্তেরা অলিম্পিকের সময় সংঘটিত এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন ‘এটি পুরোপুরি একটি ভয়ংকর ব্যাপার।’ 

এ পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ওইসব পথে নির্ধারিত যাত্রা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে এসএনসিএফ। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের রেলস্টেশনে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলা

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। ওই যানগুলোতে করে গাজার দক্ষিণে বড় মাপে হামলা চালানোর জন্য বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, খান ইউনিসে তীব্র যুদ্ধের পরও যে হামাসের হাতে যথেষ্ট রসদ রয়েছে, সে ইঙ্গিত মিলছে এর মধ্য দিয়ে। সাত ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরও রয়েছে। হামাসের ঘাঁটি ও গাজায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে ওই কিশোরের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছে।

সামরিক বাহিনীর তথ্য বলছে, ৬০টিরও বেশি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে আক্রমণ চালানো হয়েছে। হেলিকপ্টার ও ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কংগ্রেসের সামনে রাখা বক্তব্য প্রসঙ্গে হামাস বলেছে, সেটি ‘মিথ্যায় পরিপূর্ণ’ এবং এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারটি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবছেন না।

নেতানিয়াহু কংগ্রেসের রাখা বক্তব্যে বলেছেন, ‘অনেকেই মন্দের সঙ্গে দাঁড়াচ্ছেন। তারা হামাসের সঙ্গে দাঁড়িয়েছেন। তারা ধর্ষণকারী ও হত্যাকারীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিবাদকারীরাও তাদের সঙ্গে দাঁড়াচ্ছেন। তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।’

নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে ক্যাপিটল হিলে ভয়েজ অব জিউসের বিক্ষোভের পর তার ওয়াশিংটন ডিসির হোটেলের সামনেও বুধবার গভীর রাতে প্রতিবাদ হয়। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদে শত শত ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদকারীরা ওয়াটারগেট হোটেলের সামনে জড়ো হন। হোটেলের দেয়ালে ‘ওয়ান্টেড: অ্যারেস্ট নেতানিয়াহু’ লেখা প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৯ হাজার ১৭৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৯০ হাজার ৪০৩ জন। সূত্র: আল-জাজিরা