ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

নিজ দলের ভূমিকায় বিরক্ত ইমরান খান

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
নিজ দলের ভূমিকায় বিরক্ত ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিজ দলের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

ইমরানের অভিযোগ, ‘তারা এমন ভাব করছেন যেন সবকিছুই ঠিক চলছে।’

এ সময় তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি অভিযুক্ত হওয়ার প্রতিবাদে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন তিনি।

এদিকে ২০২৩ সালের মে মাসের পর থেকে সাতটি ভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ইমরান। 

বৃহস্পতিবারের শুনানিতে শাহরুখ আরজুমান্দের আদালত ইমরান ও বুশরার আবেদন খারিজ করে ১৮ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

এদিকে নভেম্বর মাসে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ইসলামাবাদে পিটিআই সমর্থকরের ওপর সামরিক বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে দলের নেতৃত্ব সোচ্চার না বলে অভিযোগ করেছেন ইমরান।

তিনি বলেন, ‘দলীয় নেতৃত্বের ওপর আমার ভরসা আছে। কিন্তু ইসলামাবাদকাণ্ড যেভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে, সে পন্থা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই।’ 

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের একটি তালিকা তৈরি করার কাজে প্রশাসনকে পিটিআইয়ের চাপ প্রয়োগ করার বিকল্প নেই, মন্তব্য তার।

১৫ ডিসেম্বর নাগাদ দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন ইমরান।

এদিকে ৯ মে’র দাঙ্গার জেরে লাহোরের জঙ্গিবিরোধী আদালত বেশ কয়েকজন পিটিআই নেতার সম্পৃক্ততা পেয়ে রায় ঘোষণা করেন। অভিযুক্তরা হলেন- শাহ মাহমুদ কুরেশি, ওমর সরফরাজ চিমা, ইয়ামিন রশিদ, এজাজ চৌধুরি এবং মেহমুদ রশিদ।

২০২৩ সালে ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে পিটিআই নেতারা মুহুর্মুহু মামলার শিকার হচ্ছেন।

এদিকে স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে গায়ক সালমান আহমেদের আনা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন ইমরান। সূত্র: দ্য ডন

নাইমুর/অমিয়/

মুক্তি পেলেন আরও ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দি

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম
মুক্তি পেলেন আরও ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দি
ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে পশ্চিম তীরে ফিরছে বাসগুলো। ছবি: সংগৃহীত

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে জিম্মি দশা থেকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ছিলেন।

চার ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২০০ জন ফিলিস্তিনি। মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের নিয়ে তাদের বহনকারী বাসগুলো পশ্চিম তীরের রামাল্লার বিতুনিয়া শহরে পৌঁছেছে।

এর আগে শনিবার বিকেলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, আমরা এইমাত্র নিশ্চিত করেছি যে, রেডক্রসের মাধ্যমে জিম্মিদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিরে আসা চার জিম্মিকে বর্তমানে আইডিএফ বিশেষ বাহিনী এবং আইএসএ বাহিনী তাদের ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। এর আগে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার এবং সৈন্যরা ফিরে আসা জিম্মিদের অভিবাদন জানিয়েছে।’ তবে ‘আইডিএফের মুখপাত্রের ইউনিট সবাইকে ফিরে আসা জিম্মি এবং তাদের পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করতে অনুরোধ করেছে।’

মুক্তি পাওয়া চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে শেষ অভ্যর্থনা জানায় হামাস। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তি পেতে যাওয়া ২০০ জন ফিলিস্তিনির মধ্যে ১২১ জন ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন এবং প্রায় সবাই দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে ছিলেন। কয়েকজনকে ইসরায়েলি আদালত একাধিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এদের মধ্যে আছেন একজন ৬৯ বছর বয়সী যিনি ১৯৮৬ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে ইসরায়েলি কারাগারে ছিলেন। মুক্তি পেতে যাওয়া সর্বকনিষ্ঠ বন্দি ১৫ বছর বয়সী এক তরুণ।

মুক্তিপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধেক বন্দিকে পশ্চিম তীরে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়া হবে। তবে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৭০ জনকে মিশরের মাধ্যমে তিউনিশিয়া, কাতার এবং তুরস্কসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে নির্বাসন করা হবে। আর অল্পসংখ্যক বন্দিকে গাজায় পাঠানো হবে। সূত্র: আল জাজিরা

মুক্তি পেলেন ইসরায়েলি ৪ নারী সেনা

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
মুক্তি পেলেন ইসরায়েলি ৪ নারী সেনা
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েলি ৪ নারী সেনা সদস্যকে মুক্তি দিয়েছে। তাদেরকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- করিনা আরিভ (২০), ড্যানিয়েলা গিলবোয়া (২০), নামা লেভি (২০) এবং লিরি আলবাগ (১৯) নামে চার নারী সেনা।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) তারা তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে গাজায় বন্দি ছিলেন।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, আমরা এইমাত্র নিশ্চিত করেছি যে রেডক্রসের মাধ্যমে জিম্মিদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিরে আসা চার জিম্মিকে বর্তমানে আইডিএফ বিশেষ বাহিনী এবং আইএসএ বাহিনী তাদের ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা মূল্যায়ন করা হবে।

এর আগে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার এবং সৈন্যরা ফিরে আসা নারীদের অভিবাদন জানিয়েছে।

মুক্তি পাওয়া এই চার সেনার বিপরীতে দুইশত ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ১২১ জন ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন। সূত্র: বিবিসি

মেহেদী/

মাতাল স্বামীর অত্যাচারে ২ নারীর একে অপরকে বিয়ে

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
মাতাল স্বামীর অত্যাচারে ২ নারীর একে অপরকে বিয়ে
ছবি: সংগৃহীত

স্বামীরা সব সময় মদ খেয়ে অত্যাচার করেন স্ত্রীর উপর। সেই অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একে অপরকে বিয়ে করেছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা কবিতা ও গুঞ্জা। 

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) গোরখপুরের দেওরিয়ার ছোট কাশী শিব মন্দিরে বিয়ে করেন তারা দুজন।

কবিতা ও গুঞ্জা জানায়, তাদের দুজনের  ইনস্টাগ্রামে আলাপ হয়। দুজনের স্বামীই মাদকাসক্ত। মদ খেয়ে নিয়মিত তাদের অত্যাচার করতেন। এমন পরিস্থিতি কবিতা এবং গুঞ্জাকে আরও কাছে নিয়ে আসে। ক্রমেই গাঢ় হয় বন্ধুত্ব। দীর্ঘ ছয়বছর এভাবে চলার পর তারা একে অপরকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। 

ছোট কাশী শিব মন্দিরের পুরোহিত জানায়, তাদের ইচ্ছানুযায়ী বিয়ে করে আবার মন্দির থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। 

এদিকে কবিতা ও গুঞ্জার স্থায়ী কোনও ঠাঁই না থাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার কথা ভাবছেন তারা। বাকি জীবন একে অপরের সঙ্গেই কাটাবেন বলেও জানিয়েছেন তারা। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস

মেহেদী/

হামাসে ১৫ হাজার নতুন যোদ্ধা

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
হামাসে ১৫ হাজার নতুন যোদ্ধা
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধা। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে চলছে যুদ্ধবিরতি। এরই মধ্যে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী  প্রতিরোধমূলক সংগঠন হামাসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। তারা আরও জানিয়েছে, ইরান-সমর্থিত এই যোদ্ধারা ইসরায়েলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি হুমকি হয়ে থাকতে পারে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মার্কিন কংগ্রেসের দুটি সূত্রে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গাজা যুদ্ধে হামাস যত সংখ্যক যোদ্ধা হারিয়েছে প্রায় সমসংখ্যক যোদ্ধা নতুনভাবে যোগদান করেছে। তবে এই বিষয়টি এখনো মার্কিন কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি।

হামাস এবং ইসরায়েল গত রবিবার ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাত শেষে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। এই সংঘাত গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করেছে।

গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যায়, হামাস নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিলেও তাদের অনেকে তরুণ ও অপ্রশিক্ষিত। এদের সাধারণ নিরাপত্তা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এর আগে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ১৪ জানুয়ারি সতর্ক করে  বলেছিলেন, হামাস যতো যোদ্ধা হারিয়েছে, প্রায় ততোই নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গাজা যুদ্ধে হামাসের প্রায় ২০ হাজার যোদ্ধা নিহত হতে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা হামাসকে একটি দীর্ঘমেয়াদি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালক এভ্রিল হেইন্স বলেছেন, ‘গাজা সংকটের কারণে সন্ত্রাসবাদে প্রভাব পড়বে এবং এটি বিশ্বজুড়ে সহিংসতাকে উসকে দিবে।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, হামাসের বেশিরভাগ সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছে, তবে সংগঠনটি এখনো সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বলেছেন, ‘হামাস গাজা শাসন করবে না। যদি তারা চুক্তি ভঙ্গ করে, তবে ইসরায়েল যা প্রয়োজন তাই করবে এবং ওয়াশিংটন তাদের সমর্থন করবে।’ সূত্র: রয়টার্স

তাওফিক/

ইসরায়েল-মিশর ছাড়া সব দেশে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
ইসরায়েল-মিশর ছাড়া সব দেশে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েল-মিশর ছাড়া সব বিদেশি সহায়তা স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন। ছবিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

সব দেশে সহায়তা দেওয়া স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইসরায়েল ও মিশরের জন্য জরুরি খাদ্য ও সামরিক তহবিল স্থগিত করা হয়নি বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় দ্য হিন্দুস্থান টাইমস। 

দ্বিতীয় মেয়াদে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) তার প্রশাসন এক নির্বাহী আদেশ জারি করে। সেখানে এই সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র জরুরি খাদ্য এবং সামরিক সহায়তা হিসেবে ইসরায়েল ও মিশরের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল স্থগিত করেনি।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উল্লেখ করেছেন, ‘কোনো নতুন তহবিল বা পূর্বের বরাদ্দের সময়সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।’

ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আদেশ দেওয়া হয়। এই নীতির আওতায় বিদেশি সহায়তার ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এই নির্দেশনার কারণে বিশ্বে উন্নয়ন সহায়তা থেকে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত সবকিছুতেই প্রভাব পড়বে বলে বিশেজ্ঞরা ধারণা করছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই সিদ্ধান্তের কারণে পিইপিএফএআর নামে পরিচিত কর্মসূচির অর্থায়নও কয়েক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই কর্মসূচির অধীনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এইচআইভি/এইডস রোগীদের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধ সরবরাহ করা হয়।

এদিকে, নির্বাহী আদেশে ইসরায়েলের জন্য সামরিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়। ফলে গাজা যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্র সহায়তা আরও দীর্ঘায়িত হলো।

মিশর ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সই করার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য সামরিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এই দেশটির ক্ষেত্রেও স্থগিতাদেশ প্রযোজ্য নয়।

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, জরুরি খাদ্য সহায়তার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে, যা এর আগে সুদান ও সিরিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। সূত্র: দ্য হিন্দুস্থান টাইমস

তাওফিক/অমিয়/