ঢাকা ১০ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ২৫ আগস্ট ২০২৪

কোটা বহালের রায় বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
কোটা বহালের রায় বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল
ছবি : সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধাসহ বিদ্যমান কোটা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এই আপিল আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে আগামী ৭ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। 

হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি গত রবিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। রায়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল-সংক্রান্ত ২০১৮ সালের জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্রটি আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত, ভিত্তিহীন ও অবৈধ ঘোষণা করা হলো। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা বলবদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো। এ ছাড়া ২০১২ সালে করা ২৩৫ নম্বর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ও আদেশ; ২০১৩ সালের ২০৬২ নম্বর লিভ টু আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগে রায়ে তা বহাল ও সংশোধিত আদেশ এবং ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারির সরকারি অফিস আদেশ (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনির কোটা) অনুসারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনি, জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোটাসহ (যদি অন্যান্য থাকে) সব কোটা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো। এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব, আদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরিপত্র প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হলো। 

রায়ে হাইকোর্ট আরও বলেছেন, নির্ধারিত শ্রেণিগুলোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কোটা পরিবর্তন ও হার কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে এই রায় বিবাদীদের (সরকারের) জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না। যেকোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটাপূরণ না হলে সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্যপদ পূরণ করার ক্ষেত্রে বিবাদীদের (সরকারের) স্বাধীনতা থাকবে। 

২০১৮ সালে কোটাব্যবস্থা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পরিপত্রের বৈধতা নিয়ে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সাতজন সন্তান। চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৫ জুন নির্দেশনাসহ রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরই মধ্যে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে দুজন গত ৯ জুলাই আপিল বিভাগে এই মামলায় পক্ষভুক্ত হন। ১০ জুলাই শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা ঘোষণা করে পরবর্তী শুনানি ৭ আগস্ট ধার্য করেন।  

খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টা: জায়েদ খান-জয়সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২১ পিএম
খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টা: জায়েদ খান-জয়সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জায়েদ খান, শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেম (বাঁ থেকে)

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেমসহ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ব্যান্ডশিল্পী আসিফ ইমাম।

রবিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে এ মামলা করা হয়। 

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি মতিঝিল থানা-পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, কর্নেল ফারুক খান, নিক্সন চৌধুরী, সাইদ খোকন, ফজলে নূর তাপস, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সাংবাদিক শাবান মাহমুদ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক পথসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে হামলা চালান। সেসময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২-১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন এবং নেতা-কর্মীদের মারধর করেন। তখন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হন।

মাহমুদুল আলম/সালমান/

আরও চার জেলায় মামলা: মন্ত্রী-এমপিসহ আসামি ১৫০০

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আরও চার জেলায় মামলা: মন্ত্রী-এমপিসহ আসামি ১৫০০
প্রতীকী ছবি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ও হামলায় হতাহত এবং আগের বিভিন্ন হামলার অভিযোগে গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে ও শনিবার (২৪ আগস্ট) চার জেলায় সাতটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক একজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী, তিনজন সাবেক সংসদ সদস্য ও দুজন সাবেক মেয়রসহ ১ হাজার ৫৫০ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আসামি ১ হাজার ১০০ জন। আমাদের ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

রাজশাহীতে সাবেক এমপি ও মেয়রের নামে মামলা
পাঁচ বছর আগে রাজশাহীর পবা উপজেলায় মারধর, লুটপাট-ভাঙচুর ও ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি আরও ২০০-২৫০ জন।

গত শুক্রবার আরএমপির কর্ণহার থানায় তালুক ধর্মপুর গ্রামের সাবের আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম সবুজের (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারে ৪২ জনের নাম উল্লেখ আছে।

গত শুক্রবার রাতে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন নিহতের বাবা মাইনুল হক (৬০)। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট নগরীর শাহ মখদুম কলেজ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাকিব আনজুম সবুজ। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক গণপূর্তমন্ত্রীর নামে হত্যা মামলা
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ নেতা-কর্মীর নামে হত্যা মামলা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ জেলা শহরে সংঘর্ষের সময় মাদ্রাসাছাত্র হুইসাইন আহম্মেদ নিহতের ঘটনায় এ মামলা করেন নিহতের বড় বোন তানিয়া আক্তার। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।

মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন এবং সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর দুই ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুছা আনছারী ও এম এ এইচ মাহবুব আলমসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।

খুলনায় হাসিনার চাচাতো চার ভাইয়ের নামে মামলা
খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো চার ভাইয়ের নামে দুটি মামলা হয়েছে। তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, শেখ সোহেল, শেখ রুবেল ও শেখ বাবু।

গত শুক্রবার রাতে খালিশপুর থানায় মামলা দুটি করেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের আহ্বায়ক শেখ দবির ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. ইকরাম মিন্টু। 

এসব মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, জেড এ মাহমুদ ডনসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ২১৫ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট ও ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর স্থানীয় বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন আসামিরা।

বরিশালে আ.লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে বরিশালে আরও দুটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আওয়ামী লীগের ৪৬৬ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। 

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত শুক্রবার রাতে মহানগর বিএনপির নেত্রী রুমা আক্তার বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৯ জুলাই নগরীর তন্ময় কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে স্লোগান দিলে অস্ত্রে সজ্জিত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।  

একই দিন রাতে অন্য মামলাটি করেন মহানগর বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম রিপন। মামলায় মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহম্মেদ মান্না, বিসিসির কাউন্সিলর শেখ সাইদ আহম্মেদ মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, সদ্য সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনসহ ৯৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপি নেতা এই মামলায় গত ১৯ জুলাই বিএডিসি অফিসের সামনে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ করেছেন।

বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের নামে মামলা

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম
বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের নামে মামলা
ফাইল ফটো

২০০৯ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রবিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে এই মামলা করেন মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম ও হাসানুল হক ইনু। 

এ ছাড়া ২০১০ সালের জুলাইয়ে দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার এবং কারাগারের চিকিৎসকদেরও আসামি করা হয়েছে। তা ছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের প্রধান শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি অ্যাজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। 

বাদী অভিযোগ করেন, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে আটক করা হয়। 

তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার বাবা আব্দুর রহিমকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার মধ্যে হত্যার চেষ্টা করে কয়েকজন। কিন্তু সাধারণ সৈনিকরা তার বাবাকে ভালোবাসতেন বিধায় তারা রক্ষা করেন। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে কোনো একদিন ডিএডি আব্দুর রহিমকে পিলখানার ঢাকা সেক্টরের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ ও আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ আরও কয়েকজন পিলখানার ঘটনার রাজসাক্ষী হতে বলেন। তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে রাজসাক্ষী হয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলেন। 

বাদীর বাবা রাজি না হওয়ায় তাকে বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বাদীর বাবার শরীরে ইনজেকশন পুশ করার মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়।

অমিয়/

রাষ্ট্রপতি কজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, তালিকা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
রাষ্ট্রপতি কজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, তালিকা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে ১৯৯১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কতজনের কারাদণ্ড মওকুফ, দণ্ড স্থগিত বা হ্রাস করেছেন, তার তালিকা প্রকাশ ও প্রদানের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 

রবিবার (২৫ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবকে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. ওমর ফারুক।

নোটিশে বলা হয়েছে, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাবলে বহু ক্রিমিনাল, হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষমা বা তাদের দণ্ড মওকুফের আদেশ দিয়ে আসছেন। রাষ্ট্রপতির মার্জনায় বহু ফাঁসির আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেল থেকে বেরিয়ে সমাজে আবার মাফিয়া ডন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সুপারিশ বা তদবিরে দাগি, ঘৃণিত, কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করে বা দণ্ড মওকুফ করে দায়মুক্তি দিচ্ছেন তা একজন নাগরিক হিসেবে আমার বা আমাদের জানার অধিকার আছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমাসংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতার অপব্যবহার বা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বা রাজনৈতিক কোনো বলপ্রয়োগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা দরকার।

নোটিশে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের ক্ষমতার উৎস বা কোন আইন দ্বারা তিনি কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় তা করে থাকেন বা দণ্ড মত্তকুফের মানদণ্ড কী? তা মানুষের জানা দরকার। তাই এখানে ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত যতজনকে রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে বা দণ্ড স্থগিত করে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন তাদের নামের তালিকা ও কী প্রক্রিয়ায় তাদের ক্ষমা করা হয়েছে তার বিশদ বর্ণনা নোটিশপ্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আমাকে প্রদান করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। 

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দণ্ড মওকুফ হওয়াদের তালিকা না পেলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

অমিয়/

সিদ্ধিরগঞ্জে হাসিনাসহ ১২৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
সিদ্ধিরগঞ্জে হাসিনাসহ ১২৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
শেখ হাসিনা

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আহসান কবির শরীফ নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

হাসিনা ছাড়াও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ১২৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে  সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আহসান কবিরের বাবা হুমায়ুন কবির এ মামলা করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২১ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ে পিডিকে পেট্রলপাম্পের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আহসান কবির।

পপি/