রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনের ঘটনা জায়গা করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। বিবিসি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমসসহ বহু খ্যাতনামা সংবাদমাধ্যম গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে ঘটনাটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- বাংলাদেশের ভবনে আগুনে নিহত ৪৬, আহত কয়েক ডজন। এতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের বরাত দিয়ে মৃতের তথ্যের পাশাপাশি জানানো হয়েছে অগ্নিকাণ্ডে আহত ২২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ২২ জনের সবার অবস্থা গুরুতর।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান শিরোনাম করেছে- বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ভবনে অগ্নিকাণ্ডে কয়েক ডজন নিহত। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার প্রথম ভাগে স্বজনদের লাশ বুঝে নিতে হাসপাতালের বাইরে জড়ো হতে দেখা গেছে মানুষকে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশের শপিংমলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৪ জন নিহত। প্রতিবেদনে বলা হরেছে, বেইলি রোডের ওই শপিংমলে খাবারের দোকান ও বিক্রয় কেন্দ্র ছিল। প্রায় প্রতিটি তলায় ছিল একটি করে রেস্টুরেন্ট।
আল-জাজিরার সংবাদ শিরোনাম ছিল- বাংলাদেশে শপিংমলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অন্তত ৪৫। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড প্রায়ই হয়। সেখানে প্রচুর নতুন ভবন গড়ে তোলা হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই। এর আগে ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ও দুর্বল বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং থেকেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসির খবর বলা হয়, ঢাকায় ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছে। সে প্রতিবেদনেও সুরক্ষা সচেতনতার অভাবের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত নিয়মনীতি প্রয়োগে অপর্যাপ্ততা রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়াতেও বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।