রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা ভবনটি বাণিজ্যিক অনুমোদন থাকলেও রেস্টুরেন্ট করার অনুমতি ছিল না বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ভবনটিতে শুধু অফিস করার অনুমতি ছিল।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তবে তা শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য। রেস্তোরাঁ, শোরুম বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেইলি রোডের ওই ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভবনটিকে অফিস হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও কোনো তলাতেই অফিস ছিল না। ভবনটিতে আটটি রেস্টুরেন্ট, একটি জুস বার ও একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। এ ছাড়া মুঠোফোন ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং পোশাক বিক্রির দোকানও ছিল।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ভবনে অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যায়।
জানা যায়, ভবনের নিচতলায় ‘স্যামসাং’ ও ‘গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার’ নামের দুটি ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম বিক্রির দোকান, ‘শেখলিক’ নামের একটি জুস বার ও ‘চুমুক’ নামের একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলায় ‘ইলিয়ন’ নামের একটি পোশাকের দোকান, চতুর্থ তলায় ‘খানাস’ ও ‘ফুকো’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ, পঞ্চম তলায় ‘পিৎজা ইন’ নামের একটি রেস্তোরাঁ, ষষ্ঠ তলায় ‘জেসটি’ ও ‘স্ট্রিট ওভেন’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ এবং ছাদের একাংশে ‘অ্যামব্রোসিয়া’ নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল। এ ছাড়া সপ্তম তলায় ‘হাক্কাঢাকা’ নামের একটি রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ড দেখা যায়।
রিয়াজ/সালমান/