![৪০ লাশ হস্তান্তর, ৩ জনের ডিএনএ টেস্ট](uploads/2024/03/01/1709311172.DMC.jpg)
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ৭ তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৪১ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৪০ জনের লাশ। আর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৩ জনের লাশের ডিএনএ টেস্ট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
শুক্রবার খবরের কাগজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪০ লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। মর্গে রয়েছে ৬ জনের লাশ। তাদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে দেওয়া হয়েছে ডিএনএ টেস্ট। বাকি ৩ জনের লাশ দাবি করা স্বজনরা ঢাকায় আসছেন। বাকি লাশগুলো শনাক্তের পর হস্তান্তর করা হবে।’
অপরদিকে বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি দুজনকে দেখতে আসেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান। এ সময় তিনি বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকেই দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন সার্বিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে। আহত যারা হয়েছেন তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যত ধরনের চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন সবকিছু নিশ্চিত করা হবে।’
বেইলি রোডের ওই ভবনে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন নিহত হন। হাসপাতালে ভর্তি ১৩ জন শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। ভবন থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতদের পরিচয়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশরাফুল ইসলাম (২৫), ঢাকার বংশালের মো. নুরুল ইসলাম (৩২), ঢাকার পপি রায় (৩৩), ঢাকার যাত্রাবাড়ীর সম্পূর্ণা পোদ্দার (১২), কুমিল্লার জান্নাতিন তাজরিন, ঢাকার পুরানা পল্টনের নাজিয়া আক্তার (৩১), আরহান মোস্তাক আহমেদ (৪৬), ঢাকার মতিঝিলের মাইশা কবির মাহি (২১), মেহেরা কবির দোলা (২৯), পম্পা সাহা (৪৭), মাদারীপুরের মো. জিহাদ হোসেন (২২), মৌলভীবাজারের সাংবাদিক আতাউর রহমান শামীম (৬৩), যশোরের মো. কামরুল হাবিব রকি (২০), টাঙ্গাইলের মেহেদী হাসান (২৭), কুমিল্লার ফৌজিয়া আফরিন রিয়া (২২), নুসরাত জাহান মিশু (১৯), মুন্সীগঞ্জের জারিম তাসনিম প্রিয়তি (২০), নারায়ণগঞ্জর শান্ত হোসেন (২৩), ভোলার দিদারুল হক (২৩), ঢাকা হাতিরঝিলের সৈয়দ মোবারক (৪৮), হবিগঞ্জের রুবি রায় (৪৮), একই পরিবারের প্রিয়াংকা রায় (১৮), ঝালকাঠির তুষার হাওয়ালদার (২৬), ঢাকা শান্তিনগরের জুয়েল গাজী (৩০), ইতালিপ্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন, স্ত্রী স্বপ্না, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) নাসিরুল ইসলামের মেয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী লামিশা, বুয়েটের আরেক শিক্ষার্থী তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের ২২তম ব্যাচের নাহিয়ান আমিন, ভিকারুননিসা স্কুলের মূল প্রভাতি শাখার শিক্ষক লুৎফুন নাহার করিম (লাকী) ও তার মেয়ে জান্নাতিন তাজরিন (সাবেক ছাত্রী), সাদিয়া আফরিন আলিশা (অষ্টম শ্রেণি), নাফিসা আক্তার (২৮) ও তার দুই শিশুপুত্র আরহান ও আদিয়াত, বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের বড় গৌরীচন্না এলাকার ছেলে ও ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের নিরাপত্তা কর্মী নাঈম।