![মিরপুরের অধিকাংশ হোটেল ও রেস্টুরেন্টই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ](uploads/2024/03/02/1709352175.Mirpur_Restuarant.jpg)
রাজধানীর মিরপুরে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও খাবার হোটেল। এসব রেস্টুরেন্টের বেশির ভাগই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ। শুক্রবার (১ মার্চ) ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে দায়িত্বশীল এক মিডিয়া কর্মকর্তা খবরের কাগজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, খুব শিগগির মিরপুরের যত্রতত্র গড়ে ওঠা রেস্টুরেন্ট অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে।
সূত্র জানায়, রেস্টুরেন্টগুলোতে রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার ও ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহৃত হলেও অধিকাংশের নেই সরকারি কোনো অনুমোদন। ফায়ার সেফটি লাইসেন্স কিংবা সরকারি কাগজপত্র ছাড়াই বছরের পর বছর চলছে এসব হোটেল-রেস্টুরেন্ট। মিরপুর ৬০ ফিট, ১, ২, ১০, ১১, ১২, ১৪ কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, দারুস সালাম, গাবতলী, ভাসানটেকে এ ধরনের রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বেশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুর ১০ থেকে মিরপুর ১২ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্ট বেশির ভাগ গড়ে উঠেছে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও বহুতল ভবনে। মিরপুর ১২ নম্বরের এ ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ৪৫ নম্বর ভবন। ৯ তলা ভবনটি কেএফসি বিল্ডিং নামে পরিচিত। ভবনটির নিচতলা থেকে ৯ তলা পর্যন্ত কাচ দিয়ে ঘেরা। ভবনটির চারপাশের দেয়ালও কাচ দিয়ে তৈরি। ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে নামিদামি রেস্টুরেন্ট।
এদিকে মিরপুর ১২ নম্বরে সাফুরা ট্রেড সিটির দশম তলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে ১০টি ফুডকোর্ট রয়েছে। প্রতিটি ফুডকোর্টের কিচেনে গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। ভবনটিতে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ও শোরুম রয়েছে।
সাফুরা ট্রেড সিটির ম্যানেজার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এখানে আন্ডারগ্রাউন্ডে সিলিন্ডার রাখার জায়গা নেই। সবাই কিচেনে ৩৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডার ব্যবহার করেন। অবশ্য কোথাও আগুন লাগলে এই ভবনে ২-৩টি সিঁড়ি রয়েছে। মানুষ সহজে নামতে পারবে।’
মিরপুর ১২ নম্বর কেএফসি ভবনের মালিকের প্রতিনিধি আরিফ বলেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনার জন্য ভবনমালিকরা আরও সচেতন হয়েছেন। সবাই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। আমাদের ভবন অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ কি না, তা দেখার জন্য ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। এই ভবনে কোনো ত্রুটি আছে কি না, তা পরীক্ষা করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে বেশির ভাগ রেস্টুরেন্ট নতুন। দুই মাস আগে সবাইকে বলা হয়েছিল যেন ফায়ার সেফটি লাইসেন্স নিয়ে নেয়। যতটুকু জানি লাইসেন্সের জন্য সবাই আবেদন করেছে।’
খাজা/