ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

কাচ্চি ভাইসহ দুই রেস্টুরেন্টকে জরিমানা, ৪ ভবন অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
কাচ্চি ভাইসহ দুই রেস্টুরেন্টকে জরিমানা, ৪ ভবন অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা
ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের কাচ্চি ভাইয়ের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া অন্য কোনো কিছুর অনুমোদন না থাকার কারণে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন এ আদালত পরিচালনা করেন। এ ছাড়া চারটি ভবনকে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। 

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গুলশান-২-এর ৪৬ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর ভবনের কাচ্চি ভাইয়ে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ওই রেস্টুরেন্টের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। কিন্তু ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর কিছু দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। 

পরে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়। প্রায় একই অভিযোগে ধানসিঁড়ি নামে আরেকটি রেস্তোরাঁকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া সিঁড়ির সামনে মালামাল রাখায় সেবা হাউস নামে একটি ভবনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই দুটি ভবনেই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ব্যানার টাঙানো হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠান দুটিকে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযানের আগাম খবর পেয়ে সতর্ক হয়ে যায় রেস্টুরেন্টগুলো। এ সুযোগে ধোয়ামোছাসহ সিলিন্ডারগুলো লুকিয়ে রাখে তারা। 

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন সাংবাদিকদের জানান, ৩৩ নম্বর বাণিজ্যিক ভবনটিতে অনেক রেস্তোরাঁ রয়েছে। কিন্তু কোনোটিতেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া এ ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। নাম দি এইচ হোটেল। 

তিনি আরও জানান, অগ্নিকাণ্ড ঘটলে বের হওয়ার সুযোগ কম। দুই পাসে দুটি সিঁড়ি থাকলেও তা সরু। এমন পরিস্থিতিতে এই হোটেলটি কীভাবে অনুমোদন পেল, তার সব কাগজপত্র আজ (গতকাল) বিকেলের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র দেখে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এ ছাড়া গুলশানে সেবা হাউস নামের একটি ভবনের মালিককে ৫০ হাজার টাকা ও ধানসিঁড়ি নামের একটি রেস্তোরাঁকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় রাজধানীর গুলশান-২-এর একটি ছয়তলা ও আরেকটি সাততলা বাণিজ্যিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, বেইলি রোডের ঘটনার পর ঢাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হচ্ছে। যেখানেই অনিয়ম পাওয়া যাবে সেখানেই অভিযান চালানো হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। 

ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, এ আগের দিন গতকাল মঙ্গলবার ৫১০টি রেস্টেুরেন্টে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মামলা করা হয় ১০টি। গ্রেপ্তার করা হয় ২২৮ জনকে।

বিএসএমএমইউতে লিভার উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১১ পিএম
বিএসএমএমইউতে লিভার উৎসব অনুষ্ঠিত
ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘লিভার উৎসব’। 

রবিবার (৭ জুলাই) বিএসএমএমইউর ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের আওতায় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে কিউবা, জাপান, ভারত ও তুরস্কের বেশ কয়েকজন লিভার বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী অংশ নেন। এ ছাড়া সারা দেশ থেকে লিভার বিশেষজ্ঞ, ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও হেপাটোবিলিয়ারি সার্জনরা উৎসবে যোগ দেন। 

লিভার উৎসব উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।

উৎসবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ, অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. এজাজুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। 

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলোজির শিক্ষক ও গবেষকরা।

উৎসবে কয়েকজন লিভার বিশেষজ্ঞকেও সম্মানিত করা হয়। তার মধ্যে বিজ্ঞান গবেষণায় অবদান রাখায় কিউবার সরকারের দেওয়া পুরস্কার ‘অর্ডার, কার্লোস জে. ফিনলে’ প্রাপ্তির জন্য ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর, ইন্টারভেনশনে অবদান রাখায় অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান, সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লিভারস ইউমেন ইন হেপাটোলজির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় ডা. রোকসানা বেগমকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

আমার জীবনটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:০৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:০৬ পিএম
আমার জীবনটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজের জীবনটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি জানি আমার জীবনটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আর যারা আমার নিরাপত্তা দেন, তারাও যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন। আমি যখন আমার পরিবার-পরিজনের জন্য দোয়া করি, তখন যারা আমার সঙ্গে কাজ করেন তাদের জন্যও দোয়া করি।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসে ‘প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট’-এর (পিজিআর) ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য পিজিআরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পিজিআরের নেতৃত্ব ও নিরাপত্তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত ও বৈশ্বিক মানদণ্ডে গড়ে তোলার জন্য তার সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমার বাবার হাতে গড়া সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেদিন আমি বলেছিলাম, সশস্ত্র বাহিনীতে আর কোনো বিধবার কান্না শুনতে চাই না। সন্তানহারা পিতার বা পিতাহারা সন্তানের কান্না শুনতে চাই না। তখন থেকে আমার প্রচেষ্টাই ছিল যারা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে সেখানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং সেটাকে আরও উন্নত-সমৃদ্ধশালী করা। যেখানে সংঘাত নয় শান্তি থাকবে। তখন থেকে একটাই চেষ্টা ছিল, যে দেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, সে দেশ কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।’

একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে তার সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর আরও উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য ৯৮ সালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং ওয়ার কলেজ’ আমি গড়ে তুলি। মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ৯৯ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট), আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ তখন থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি ২০০০ সালে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে নারী অফিসার অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” 

তিনি বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কালের পরিক্রমায় প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিন্টে একটি অত্যন্ত সুসংহত বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।’ 

পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকালে আত্মাহুতিদানকারী পিজিআর সদস্যদের পরিবারের কাছে অনুষ্ঠানে অনুদান ও উপহার হস্তান্তর করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী পিজিআর সদর দপ্তরে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী সেখানে একটি গাছের চারাও রোপণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পিজিআরের সদস্যরা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, জাতির পিতার পরিবার-সবার নিরাপত্তায় বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’ পিজিআরের সব সদস্যের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় গার্ডদের বলব যে ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই গার্ডদের লক্ষ্য’ এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি এই রেজিমেন্টের সদস্যরা সাহস, আন্তরিকতা, পেশাগত দক্ষতা, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং দেশপ্রেমের শপথে বলীয়ান হয়ে সর্বদা দায়িত্ব পালন করে আসছেন।’

টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু সোমবার

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু সোমবার
ছবি : সংগৃহীত

নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামীকাল সোমবার (৮ জুলাই)। দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর এসব পণ্য দেওয়া হবে। সকাল ১০টায় রাজধানীর বনানীর কড়াইল টিঅ্যান্ডটি কলোনি আনসার ক্যাম্প মাঠে এর উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। 

রবিবার (৭ জুলাই) টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ূন কবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল, মসুর ডাল ও চাল) বিক্রির কার্যক্রম চলমান। চলতি বছরের জুলাই মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম আগামীকাল থেকে সারা দেশে শুরু হবে।

এ কার্যক্রম দোকান বা নির্ধারিত স্থায়ী জায়গা থেকে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিচালনা করবেন ডিলাররা। কার্ডধারী ভোক্তারা নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার ভোজ্যতেল কিনতে লাগবে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও চাল ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা হবে।

তরুণ প্রজন্ম সৃজনশীলতা-উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে মানবিকতার প্রসার ঘটাবে: প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম
তরুণ প্রজন্ম সৃজনশীলতা-উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে মানবিকতার প্রসার ঘটাবে: প্রতিমন্ত্রী পলক
ছবি: সংগৃহীত

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্ম মানুষের মধ্যে সংহতি, সহমর্মিতা ও মানবিকতার প্রসার ঘটাবে। তিনি বলেন, শান্তি ও সংহতির বার্তা বহনকারী চলচ্চিত্র তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানবিক গুণাবলি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে ‘ক্যামেরায় গাঁথি স্মার্ট বাংলাদেশের গল্প’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে ‘শান্তি চলচ্চিত্র উৎসব- ২০২৩’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্ন্যান্স স্পেশালিষ্ট শীলা তাসনীম হক, এটুআইয়ের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (উদ্ভাবন) মানিক মাহমুদ ও ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশনের সভাপতি শীপা হাফিজা।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ বহু জাতি-ধর্ম-গোষ্ঠী-লিঙ্গ-সম্প্রদায়ের মানুষের দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমাদের সাংবিধানিক ঘোষণা হচ্ছে সব জাতি-গোষ্ঠীর মানুষ সহনশীলতা ও সম্প্রীতির সঙ্গে সমমর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বাঁচবে, গড়ে উঠবে বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।’ তিনি বলেন, ‘সেই চেতনা নিয়েই আমরা স্বাধীনতার তেপ্পান্ন বছর পার করছি।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছি। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যখন দৈনন্দিন কাজগুলো করছে, তখন বেশ কিছু হিংসাত্মক মনোভাব মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের জাতি, গোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরনের বিবেধ, সহিংসতা, ঘৃণা ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে। আমরা সেজন্য ডিজিটাল লিটারেসি, সাইবার বুলিংয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে চাই।’ শান্তি, সহনশীলতা ও সম্প্রীতির প্রতি দেশের সুদীর্ঘ অঙ্গীকার রয়েছে বলেও জানান তিনি।

১৭০টি ছবির মধ্যে ২৫টি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ফিকশনে আত্মিক, মিরাকল ইন হ্যাভেন, ফ্রেগরেন্স, হুঁশ, এ নাইট টেইল, সদয় ফকিরের পাঠশালা, নুঅইন, হিউম্যান, নন্দিত নরকে, বেনিয়ান, মরীচিকা, রংপেনসিল, এন্টিটি, চৈতন্য, স্লিপস অব মাইন্ড, ভিডিও কনটেন্ট ম্যাসেঞ্জার, দানবাক্স, অগ্রগামিনী, চাকরি নাই, হাসি, স্ক্রিপ্টে বর্ণমালা, বিফর দ্য বিগিনিং, উধাও।

তিথি/এমএ/

 

বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান

সিলেট অঞ্চলসহ দেশের ১৮ জেলায় বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সভায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কীভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। গত শনিবার বন্ধের দিনেও আমরা অফিস খোলা রেখেছি এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছি।’

স্বচ্ছতার সঙ্গে ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বন্যাদুর্গতদের জন্য ১৮ জেলায় ২১ হাজার ৭০০ টন চাল, নগদ ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, সাড়ে ৬৫ হাজার প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার, শিশুখাদ্যের জন্য ৪০ লাখ টাকা এবং ৪০ লাখ টাকার গোখাদ্য বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একজন মানুষও দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করবে না। ত্রাণ পর্যাপ্ত মজুত আছে।’

তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আজকেও আবহাওয়া অফিস ধারণা দিয়েছে যে, এরপর আরেকটা বন্যা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী গত একনেক সভায় সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

বন্যাদুর্গত জেলাগুলো হলো সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, শেরপুর, রংপুর,  কুড়িগ্রাম, ফেনী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, গাইবান্ধা, জামালপুর, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও বগুড়া।