সারা দেশে চলছে তাপপ্রবাহ। একই সঙ্গে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। এই পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি সংসদে ও রাজপথে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে ৭-৮ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। গণমাধ্যমেও বিষয়টি উঠে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর বাইরে গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (৬ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ওই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেলেও প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কেবিনেটের বিষয় কেবিনেটেই। এসব বাইরে আলোচনার বিষয় নয়।’
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। উনি সব সময় নির্দেশনা দিয়ে গেছেন লোডশেডিং করা যাবে না, লোডশেডিংমুক্ত রাখতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এটি আমরা গত এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের তেলভিত্তিক বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্টে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। জ্বালানি তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থ স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।’
গ্রামে তো প্রচুর লোডশেডিং করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন (লোডশেডিং) কমে গেছে। কারণ আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি। আস্তে আস্তে কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে। বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখা ছিল। কারণ জ্বালানি তেলের স্বল্পতা ছিল। যারা তেল আনার কথা, তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। যে কারণে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং প্রথমদিকে ছিল। এখন ৫০০ থেকে জিরোর দিকে চলে আসছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এটি ভালোর দিকে যাবে।’
তেলের সমস্যা কেটেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের নিজেদের কাছ থেকে তেল দেওয়ার। বিপিসি থেকে তেল দেওয়ার। এখন সেটারই ব্যবস্থা চলছে।’
অর্থ মন্ত্রণালয় কিছু টাকা ছাড় করেছে, সেটা কি পাওয়া শুরু করেছেন? জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু করে পাচ্ছি। সেটা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।’
উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন, এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।’
