![চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম শুরু](uploads/2024/05/27/CTG-1716804045.jpg)
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বন্ধ থাকার পর আবার চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চালু হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে। জেটি থেকে সরিয়ে দেওয়া জাহাজ পুনরায় জেটিতে ভেড়ানো হচ্ছে। রিমাল মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে বন্দরের জাহাজ ও স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে এটি বন্ধ থাকার ফলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৫ মে) রাত ১০টা থেকে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। বড় জাহাজগুলো গভীর সমুদ্রে ও ছোট জাহাজগুলো কালুরঘাটের উজানে নিরাপদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ ইক্যুইপমেন্ট জেটি ও ইয়ার্ড থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল।
এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বন্দরগুলোর বিপৎসংকেত কমিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) আবহাওয়ার সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক-১৯) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছিল। ফলে জাহাজ থেকে পণ্য, কনটেইনার লোড-আনলোড বন্ধ ছিল। কিউজিসিসহ জেটির হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট নিরাপদে রাখতে প্যাকিং করে রাখা হয়েছিল। বন্দরের মেরিন, নিরাপত্তা, ট্রাফিক ও সচিব বিভাগের পৃথক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল। বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল, ইয়ার্ড ও শেডে পণ্য ও কনটেইনার ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাতক্ষীরার কয়রা, খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।
এতে আরও বলা হয়, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এই সিরিজে আর কোনো আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।
আবদুস সাত্তার/সালমান/