ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সেনাপ্রধান হলেন লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম
আপডেট: ১১ জুন ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
সেনাপ্রধান হলেন লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়ে নতুন সেনাপ্রধান হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আগামী ২৩ জুন থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।

তিনি বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের ২৪ জুন সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আগামী ২৩ জুন, ২০২৪ অপরাহ্ন থেকে বিএ-২৯০২ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, চিফ অফ জেনারেল স্টাফকে (সিজিএস) জেনারেল পদবীতে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক উক্ত তারিখ অপরাহ্ন থেকে তিন বছরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।’

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। 

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাহিদা পারভীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিএ-২৯০২ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি চিফ অফ জেনারেল স্টাফকে (সিজিএস) আগামী ২৩ জুন, ২০২৪ তারিখ অপরাহ্ন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জেনারেল পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক প্রতিরক্ষা-বাহিনীসমূহের প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা) আইন, ২০১৮ অনুসারে উক্ত তারিখ অপরাহ্ন থেকে তিন বছরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।’

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি রাজধানীর মিরপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।

এ ছাড়াও, তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ’ ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং সাভার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়াও, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ৮ জুন পর্যন্ত ১৭ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহ দমনে নিষ্ঠা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। 

পরবর্তীতে তিনি ২০১১ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত দুই বছরেরও বেশি সময় ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জিওসি হিসেবে ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নবম পদাতিক ডিভিশন কমান্ড করেন। 

সেনাসদর সামরিক সচিবের শাখায় তিনি সহকারী সামরিক সচিব, উপ-সামরিক সচিব এবং সামরিক সচিব (এমএস) হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে দীর্ঘদিন কর্তব্যরত ছিলেন। 

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতিসংঘের মিলিটারি অবজার্ভার হিসেবে এংগোলাতে এবং সিনিয়র অপারেশন অফিসার হিসেবে লাইবেরিয়াতে দায়িত্ব পালন করেন। 

সেনাবাহিনীতে তার কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি অসামান্য সেবা পদক (ওএসপি) এ ভূষিত হন। 

অমিয়/

নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৭ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৯ এএম
নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে এবার হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে সাদাপোশাকের কিছু মানুষ তাদের তুলে নিয়ে যায়। ডিবিপ্রধান বলেছেন, তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ও আসিফকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল থেকে সাদাপোশাকে আবার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এভাবে সমাধান চান আপনারা? মনে রাখবেন, ভয় দেখিয়ে কখনো আন্দোলন শেষ করা সম্ভব নয়।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক ও নার্স জানিয়েছেন, বিকেল ৪টার কিছু পরে তাদের (নাহিদ, আসিফ ও বাকের) তুলে নেওয়া হয়। কয়েক দিন ধরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা। ছিলেন নজরদারিতে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই তাদের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে এর আগেও তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। 

এ বিষয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, তাদের তিনজনকে নিরাপত্তার স্বার্থে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ
সজীব ওয়াজেদ জয়

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা- এ দুজনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। 

লেখাপড়ারত অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। তিনি ২০০৭ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ এএম
বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করেছেন। এসব বিক্ষোভ কারা সংগঠিত করেছে, কারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে তা জানতে দেশগুলোয় বাংলাদেশের মিশনগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বের নানা প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কূটনীতিকরা সেখানকার সরকারের কাছ থেকে বিক্ষোভের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করবেন। এরপর ওই তথ্য ঢাকায় পাঠাবেন।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে অন্তত ছয়টি চিঠি পাঠানো হয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ প্রভৃতি দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিক্ষোভ করায় ইতোমধ্যে আরব আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশির কারাদণ্ড হয়েছে।

কোটা আন্দোলন সামনে রেখে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে নাগরিক সমাজের নিন্দা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
কোটা আন্দোলন সামনে রেখে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে নাগরিক সমাজের নিন্দা
ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলন সামনে রেখে সাম্প্রতিক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। শুক্রবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো ‘সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের বিবৃতি’তে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। নাগরিক সমাজের পক্ষে ১৭৯ বিশিষ্ট নাগরিক এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।

তাদের পক্ষে সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকীর স্বাক্ষর করা এই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ছাত্রদের কোটা সংস্কারের বিষয়টি সামনে রেখে সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দেশব্যাপী সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। গত কয়েক দিনের সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বহু মূল্যবান প্রাণহানি ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিরীহ পথচারী, ছাত্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ যারা নিহত হয়েছেন, তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং আহত হয়ে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করছি।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত ১৬ জুলাই থেকে এ নাশকতামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, সেতু ভবন, মেট্রোরেল, বিআরটিএ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ডিজিটাল ডেটা সার্ভার স্টেশন, কারাগার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করেছে। জনজীবন বিপন্ন ও কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ ও হত্যার মাধ্যমে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচিত করেছে। আমরা এ ধরনের দেশবিরোধী কার্যক্রমের নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও যারা বিদেশি হস্তক্ষেপ আহ্বান করেছে, তাদের নেতিবাচক ভূমিকার নিন্দা জ্ঞাপন করছি।’

বিবৃতিতে নাগরিক সমাজ বলেছে, ‘ইতোমধ্যে কোটা সংস্কারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করায় আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এর মাধ্যমে ছাত্রদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যে সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে পুনরায় অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্র, জাতীয় সম্পদ ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, চিত্রশিল্পী রফিকুন্নবী, দুই সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা ও হাসান মাহমুদ খন্দকার, নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল, আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুকুর আলী শুভ, চিত্রনায়ক আলমগীর, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লা, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম সামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ।

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ ইন্ডিয়া টুডে এনইর ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
ইন্ডিয়া টুডে এনইর ক্ষমা প্রার্থনা
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রদেশ থেকে প্রকাশিত সংবাদ আউটলেট ইন্ডিয়া টুডে এনই ঢাকায় সহিংস সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানযোগে সরিয়ে নেওয়ার দাবি করে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জন্য ক্ষমা চেয়েছে।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করার পরে আউটলেটটির ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে: ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং এটি আমাদের প্রতিবেশী দেশে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা উত্তেজনা সৃষ্টি করে থাকলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে।’ এতে আরও বলা হয়, ‘একটি মর্যাদাপূর্ণ সংবাদ প্রকাশনা হিসেবে আমরা তথ্যনির্ভর ও নৈতিক উভয় সাংবাদিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ খবর বাসসের। 

ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ২১ জুলাই ইন্ডিয়া টুডে এনই থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের যথার্থতাকে নাকচ করে দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘সহিংস সংঘর্ষের কারণে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা ঢাকা ছাড়ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ সংবাদটি ইন্ডিয়া টুডে এনইর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও শেয়ার করা হয়।

এই সংবাদের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন বলেছে, যেকোনো দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গুজবের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের ভুল তথ্য ও প্রতিবেদন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে, এমনকি সংকটে ইন্ধন জোগাতে এবং পরিস্থিতিকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলতে পারে। এ ছাড়া সংবেদনশীলতা অনুধাবন না করে, এ ধরনের প্রতিবেদন কেবল জনগণ ও সমাজকে ব্যাপক নেতিবাচকভাবে প্রভাবিতই করে না, বরং যেকোনো সংবাদ আউটলেটের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।