বাংলাদেশকে টেকসই ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে জাপানের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
সোমবার (১৫ জুলাই) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মটোমে তাকিসাওয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে সবুজ বিনিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে সবুজ, টেকসই ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহায়তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এ সময় বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে সহিষ্ণুতা এবং সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাপানকে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) বাস্তবায়িত করতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
সাবের চৌধুরী আগামী এনডিসি এবং নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মিথেন হ্রাস লক্ষ্য পূরণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন।
পাশাপাশি গবেষণা, জ্ঞান ভাগাভাগি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তার কামনাও করেন মন্ত্রী।
সাবের চৌধুরী প্রস্তাব করেছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে সক্ষমতা বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজমের (জেসিএম) মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে।
এ সময় তিনি তাকিসাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেছেন, যা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।
উভয় পক্ষই আসন্ন বহুপাক্ষিক আলোচনা, যেমন- জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিবিডি), ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) এবং জাতিসংঘের কনভেনশন অন কমবেটিং ডেজার্টিফেশনের (ইউএনসিসিডি) সঙ্গে সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় প্লাস্টিক চুক্তি এবং অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে উভয় দেশের অবস্থানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উভয় দেশের মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাসহ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং নীতিগতভাবে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক সই করে এগিয়ে যেতে সম্মত হন।
পরে সাবের চৌধুরী স্টপ ইকোসাইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জোজো মেহতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সময় বড় ধরনের পরিবেশগত অপরাধ মোকাবেলায় ইতিবাচক অগ্রগতি এবং এ বিষয়ে জাতীয় আইনগুলো উন্নত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
পপি/অমিয়/