ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

তৃণমূলের সুপারিশ ছাড়াই এবার নৌকার মনোনয়ন

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০০ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
তৃণমূলের সুপারিশ ছাড়াই এবার নৌকার মনোনয়ন

দলের মনোনয়ন বোর্ডে উত্থাপিত জরিপ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করছে আওয়ামী লীগ। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন, বেসরকারি সংস্থার জরিপের তথ্য মিলিয়ে ৩০০ আসনেই প্রার্থীদের একটি তালিকা করা হয়েছে। এ তালিকায় প্রথম স্থানে থাকা ব্যক্তিরাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন। সংসদীয় বোর্ডের একাধিক নেতা খবরের কাগজকে এ তথ্য জানান।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক নেতা খবরের কাগজকে জানান, গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ সভাপতি তিন মাস পর পর ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের কার কী অবস্থা, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সরকারি একাধিক সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বেসরকারি পেশাদার জরিপ প্রতিষ্ঠানের তথ্য মিলিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সে তালিকায় যারা এগিয়ে আছেন, তারাই এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন। ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র কয়েকটিতে এর ব্যতিক্রম দেখা যেতে পারে।

আগামীকাল রবিবারের মধ্যে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার কথা। গতকাল শুক্রবার দেশের চার বিভাগ, আগের দিন বৃহস্পতিবার রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আসনগুলোতে প্রার্থী চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ। আজ শনিবার ও কাল রবিবার দেশের বাকি দুই বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চাইছে আওয়ামী লীগ।

কী ধরনের মানদণ্ডে নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে? জানতে চাইলে গত বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের জনমত জরিপে, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সেল আছে। কার কী অবস্থা সেই সেলের মাধ্যমেও তথ্য আসে। সব মিলিয়ে যার নম্বরটা বেশি, তাকেই মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হবে। গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই আমরা মনোনয়ন দেব।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে তৃণমূল থেকে নাম প্রস্তাব করা হতো। সে নামগুলো মনোনয়ন বোর্ডে বিবেচনা করা হতো। এবার সে পথে হাঁটছে না আওয়ামী লীগ। দলের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ২৭(৫)-তে বলা হয়েছে, ‘উপজেলা/থানা, ইউনিয়ন/পৌর ওয়ার্ড ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী সংসদীয় আসনভিত্তিক মনোনয়ন প্রার্থীদের গুণাগুণ ও জনপ্রিয়তা প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা করিয়া তাহাদের সুপারিশসংবলিত একটি প্রার্থী প্যানেল স্ব-স্ব সাংগঠনিক কমিটির মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ড বরাবর প্রেরণ করিবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ড একজনের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করিবে।’

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, এবার মনোনয়ন বোর্ডে বিভিন্ন মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত থাকা নেতাদের প্রত্যেকের কাছে একটি করে ফাইল দেওয়া হয়। এ ফাইলে আসনভিত্তিক প্রার্থীদের তথ্য থাকে। প্রতিটি আসনে প্রার্থীদের তথ্য টেবিলাকারে উপস্থাপন করা হয়। এ টেবিলে চারটি ঘর আছে।

ঘর চারটি হলো- ক্রমিক নম্বর, নাম, অগ্রগণ্যতার ভিত্তিতে অবস্থান ও ছবি। মনোনয়ন বোর্ডের সভায় যখন যে আসনে যার মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়, তার নামের পাশে টিক চিহ্ন দেওয়া হয়। বোর্ডের সভায় উপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগের দপ্তর ও উপদপ্তর সম্পাদক সভার সিদ্ধান্তগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখেন।

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নামের সঙ্গে তার দলীয় পদ উল্লেখ থাকে। কেউ জনপ্রতিনিধি হলে সে তথ্যও উল্লেখ থাকে। অগ্রগণ্যতার ভিত্তিতে অবস্থান শীর্ষক ঘরটিতে উল্লেখ থাকে প্রার্থীদের মধ্যে কে প্রথম কে দ্বিতীয় সেই ক্রম। মোট ১০০ শতাংশের মধ্যে কে কত শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, সেগুলোও উল্লেখ থাকে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক সূত্র জানায়, দলের নেতাদের এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপরে। দলের জন্য অবদান, নেতা-কর্মীদের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা, সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা, কতদিন ধরে দল করছেন, পারিবারিক রাজনীতির ইতিহাস, ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, কোভিড মহামারির সময়ে ভূমিকা কী ছিল, এ ধরনের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রার্থীদের ক্রম তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

মনোনয়ন বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন আবেদন ফরম বিক্রি হয়েছে। সে হিসাবে প্রতি আসনে গড়ে ১১ জনের বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। তবে মনোনয়ন বোর্ডে মনোনয়ন আবেদন ফরম সংগ্রহ করা সবার নাম বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে আসনভিত্তিক জরিপ প্রতিবেদনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম এসেছে, মূলত তাদেরই প্রার্থী হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একটি সূত্র জানায়, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা সবার নাম মনোনয়ন বোর্ডে বিবেচনায় নেওয়া না হলেও তাদের সবাইকে একদিন ঢাকায় ডেকে কথা বলতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ বিষয়টি নিয়ে দলের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে।

প্রার্থী মনোনয়ন প্রসঙ্গে গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নতুন মুখও এসেছে। কিছু বাদও পড়েছে। বিজয়ী হতে পারেন এমন প্রার্থীদের বাদ দেয়নি আওয়ামী লীগ।’

কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোট

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহালের ইস্যুতে সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনগণের প্রতিপক্ষ বানিয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, কোটার বিষয়টি রাজনৈতিক। এটি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তারা। 

যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরবের এবং শ্রদ্ধার বিষয়। এর সঙ্গে চাকরির কোটা সংরক্ষণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো অপমানজনক। দেশের অনগ্রসর, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে কোটা মানবিক দায়িত্বের অংশ। বেকারত্ব, সরকারি শূন্য পদসমূহে নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্র-যুবসমাজের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।’ 

ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের (সরকার) উদ্দেশ্য হলো শক্তিশালী একটি অনুগত বাহিনী সৃষ্টি। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।’

রবিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এসব কথা বলেন। 

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি  বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারীদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিন্তু তাকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে চাকরি দেওয়াটা স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

সরকার কেন কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে চায়- এ প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘তারা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি করতে অনুপযুক্তদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপযুক্তদের বিত্তশালী করা হচ্ছে। তারা যেন সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। কারণ অনুপযুক্তরা জানে তারা এই চাকরি বা সম্মানের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সরকারের অনুগত হয়ে থাকবে। সারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে শাসকগোষ্ঠী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করতে চায়।’

জয়ন্ত/এমএ/

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা মারা গেছেন। লিজার বড় ভাই পলাশ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

তিনি জানান, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজার স্বামী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজ ইসলাম উজ্জ্বল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, লিজার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মো. আবু হোরায়রা এবং সাধারণ সম্পাদক এম. রাজীবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু)।

শফিক/এমএ/

শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

কোটা পুর্নবহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মোড়ে, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত এই আন্দোলনে স্পষ্ট সমর্থন দেখা যায় সাধারণ মানুষেরও। তাই দাবি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

মান্না বলেন, প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, রাস্তায় আন্দোলন করে আদালতের রায় পরিবর্তন করা যায় কী-না! অথচ বিশ্বের কতো রাষ্ট্র আর তার সরকার আইনব্যবস্থারই পরিবর্তন ঘটেছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আদালতে রিট হয়েছে কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করতে, আদালত তা বাতিল করে শুনানি শুরু করেছে যা বর্তমানে মুলতবি রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলন ও দাবির মুখে জারি করা কোটা বাতিল পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি করতে পারতেন আদালত, অবশ্য দুটিই আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। পড়াশোনা ছেড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাধারণ মানুষের দুর্গতি, অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা ভেবে পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি চলমান রাখা যেত। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে, পরিপত্র বহাল রেখেই রিটের শুনানি কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। না হলে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া শিক্ষার উপর আরও প্রবল নেতিবাচক প্রভাব দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদেরকে।

মান্না আরও বলেন, কোটা পুনর্বহাল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানান। এগুলো হল- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শফিক/এমএ/

ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী
ছবি : খবরের কাগজ

‘ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, আর চীন উন্নয়নের’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভারতের সার্টিফিকেট থাকলে তারা (সরকার) সবকিছু করতে পারে। গোটা জাতিকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতা ধরে রেখেছে।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংগঠনের সদস্যসচিব সুভাস চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক অপর্ণা রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের এস এন তরুণ দে প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করেছে। তাই ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক। কারণ ভারত তাদের সঙ্গে থাকলে তারা সবকিছু করতে পারে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী বীজ বপন করে গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করেছেন। বর্তমানে এরা গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে। তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে বেনজীর-আজিজকাণ্ডের মতো আরও অনেক কাণ্ড ঘটেছে। এটা সামান্য ঘটনা, আরও বড় বড় কাণ্ড আছে। লুটপাট, কালোটাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সক্ষমতায় টিকে আছেন।’ 

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আওয়ামী আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে। যেখানে শেখ হাসিনার আত্মীয়দের পরিবারের এমপি আছে, সেখানে তো ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। আপনারা বাগেরহাট, বরিশালে দেখেছেন কয়দিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়নি।’