ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

রওশন শিবিরে ভাঙনের সুর

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
রওশন শিবিরে ভাঙনের সুর
গত শনিবার রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির (জাপা) নতুন অংশ যাত্রা শুরু করে। ছবি : খবরের কাগজ

সম্মেলনের তিন দিন যেতে না যেতেই রওশন এরশাদ শিবিরে শোনা যাচ্ছে ভাঙনের সুর। গত শনিবার (৯ মার্চ) রওশনের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির (জাপা) নতুন যে অংশের যাত্রা শুরু হয়েছে, শুরুতেই সেই দলে পদপদবি প্রশ্নে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন নেতাকর্মীরা। সম্মেলন শেষ হতে না হতেই রওশন শিবির থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু। পদত্যাগী নিয়ে রওশন শিবিরে যখন চরম অস্থিরতা বিদ্যমান, তখন জানা গেছে রওশন শিবিরের বেশ কজন নেতা মূল দলে ফিরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা-তদ্বির করছেন। 

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু অবৈধভাবে দলের ক্ষমতা দখল করে আছেন, এমন অভিযোগ এনে তাদের আগেই অব্যাহতি দিয়েছেন রওশন এরশাদ। তবে রওশনপন্থি অনেক নেতা বলেছেন, জি এম কাদের শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ চারজন নেতাকে দলে টেনে নিতে পারলেও রওশন এরশাদ মূল দলকে টলাতে পারেননি। পরে রওশনপন্থিরা বলেন, ‘মূল দলের দায়িত্বে থাকবেন রওশনপন্থিরা, কাদেরপন্থিরা থাকবেন সংসদে।’ 

রওশনপন্থিদের সম্মেলনের এক দিন পার হতেই জানা যায়, জি এম কাদেরের অংশ ছেড়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ নেতা শফিকুল ইসলাম সেন্টু আর রওশনের সঙ্গে থাকছেন না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি জাপায় আর সক্রিয় থাকতে পারছেন না বলে রওশন এরশাদকে জানান। পাশাপাশি নিজের শারীরিক কারণের কথাও উল্লেখ করেন। তবে সেই চিঠি গ্রহণ না করে সেন্টুকে কো-চেয়ারম্যানের পদে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন রওশন এরশাদ। রওশন অংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘দলে ছোটখাটো মনোমালিন্য, মনের কষ্ট থাকবে। সেসব মিটমাট হয়ে গেছে। এটা নিয়ে ভাবছি না।’ 

তবে শফিকুল ইসলাম সেন্টু খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি তো সঠিক কারণে সরে এসেছি। কাউন্সিলর হিসেবে এলাকায় আমার অনেক দায়িত্ব আছে। এ ছাড়া শারীরিক নানা কারণেও আমি জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় থাকতে পারছি না আর। আমি জানি, ম্যাডাম আমরা রিজাইন লেটার গ্রহণ করেননি। এখন আমি ফিরে যাব কি না এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

তবে রওশনপন্থি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাহিদুর রহমান টেপাকে এক নম্বর কো-চেয়ারম্যান করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন শফিকুল ইসলাম সেন্টু। বয়সে প্রবীণ হলেও সাহিদুর রহমান জাপায় এসেছেন সেন্টুর অনেক পরে। এ ছাড়াও সম্মেলন উপলক্ষে অর্থের ভাগবাঁটোয়ারা নিয়েও রওশন শিবিরের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণেও সেন্টু ক্ষুব্ধ বলে জান যায়। এ নিয়ে সেন্টু বা কাজী মামুনুর রশীদ অবশ্য সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

গত দুই বছর ধরে যারা রওশন ঘনিষ্ঠ নেতা বলে পরিচিত ছিলেন জাপায়, তাদের অন্যতম হলেন ইকবাল হোসেন রাজু। রওশনের সম্মেলনের আগে তাকে সক্রিয় দেখা গেলেও শেষ মুহূর্তে তিনি সরে যান। এ বিষয়ে তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘ম্যাডাম যেভাবে নিজেকে চেয়ারম্যান ও মামুনকে মহাসচিব ঘোষণা করেছেন, সেই প্রক্রিয়াই তো ভুল। এর আগে এই ভুল তিনি আরও দুই বার করেছেন। বারবার এমন ভুল করলে দল আর কী টিকে থাকে? আমরা চেয়েছিলাম, একটা ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি। চেয়েছিলাম সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে। সেটা কী আর এখন হতে পারছে? আমরা তাই সরে এসেছি।’ 

রওশন এরশাদের সম্মেলনের ঠিক আগে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ না করলে মূল দল থেকে বিচ্যুত অনেক নেতাকে চেয়ারম্যান জি এম কাদের আবার মূল দলে ফিরিয়ে নেবেন। এই ঘোষণার পরে রওশন শিবিরের দ্বিতীয় সারির অনেক নেতা গোপনে জি এম কাদের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

জানা গেছে, রওশন শিবিরের এক নম্বর কো চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টেপা এখন মূল দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত মহাসচিব। এ ছাড়া ফখরুল আহসান শাহজাদা যুগ্ম মহাসচিব; মাহমুদা রহমান মুন্নী সাংগঠনিক সম্পাদক; শাহনাজ পারভীন যুগ্ম মহিলাবিষয়ক সম্পাদক; শাহিন আরা সুলতানা রিমা ও মনিরুজ্জামান টিটু কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে মূল দলে রয়েছেন। রওশনপন্থি নেতা আলমগীর হোসেন ও নিগার সুলতানা রানী ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব ইফতেখার আহসান হাসান সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে রয়েছেন। জি এম কাদের এখনো তাদের স্বপদে বহাল রেখেছেন। এরাও মূল দল থেকে অব্যাহতি নেননি। 
রওশন শিবিরের নেতাদের মধ্যে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের আরও অনেক নেতা এখন মূল দলে ফিরতে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান জাপার দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম। তিনি বলেন ‘অনেকেই ফোন দিচ্ছেন, জাপার মূল দলে ফিরে আসার জন্য। তারা কোনো ব্র্যাকেটবন্দি দলে থাকতে চান না।’

এ বিষয়ে কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘জি এম কাদের মানুষের অপরাধ উনি কী ক্ষমা করবেন? উনি জাতীয় পার্টিতে যে অপরাধ করেছেন, আগে নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা পেয়ে নিক। ওনাকে দলে নেবে কি-না নেতাকর্মীরা, সেটি আগে দেখুক। তারপর না উনি অন্যদের দলে নেবেন।’ 

রওশনের সম্মেলনের আগে কাদেরপন্থি একজন কো-চেয়ারম্যানও রওশন শিবিরে ভিড়তে চেয়েছিলেন। তিনি নিজে দলের মহাসচিবের ভূমিকায় থেকে রওশনের সাবেক রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহকে নিয়ে দল গোছাতে চেয়েছিলেন। সেই দলে রওশনপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদকে নির্বাহী চেয়ারম্যানের পদে আসীন করার কথা হয়েছিল। তবে সেই উদ্যোগ ভেস্তে দিয়েছেন কাজী মামুনুর রশীদ। তবে সেই কো-চেয়ারম্যান এখনো যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে। 

গত ৯ মার্চ রওশন এরশাদ অনুসারীরা আলাদা সম্মেলন করে নতুন দল গঠন করলেও এখন তারা দাবি করছেন, জাপায় কোনো ভাঙন হয়নি। তারাই মূল দলের নেতা। দলীয় প্রতীক লাঙ্গলের মালিকানা নিজেদের করে নিতে পরে আইনি লড়াইয়ে নামার কথাও জানিয়েছেন তারা। শনিবার সম্মেলন মঞ্চে রওশন এরশাদ বলেন, ‘১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর লাঙ্গল প্রতীক ধরে রাখতে আদালতে দাঁড়াতে হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় এরশাদ ও আমাকে লাঙ্গল প্রতীক দিয়েছিলেন। এখনও লাঙ্গল জাতীয় পার্টির আছে, আগামীতেও থাকবে।’

আলাদা দল গঠনের প্রক্রিয়ায় গত মাসে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি নেতারা দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়। তবে বিষয়টি দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী হওয়ায় নির্বাচন কমিশন তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে। তখন নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, শুধুমাত্র দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন করা হলে দলীয় প্রতীক তাদেরকে দিতে পারবে নির্বাচন কমিশন। তা না হলে এই সিদ্ধান্ত দিতে হবে আদালতকে। দলীয় প্রতীক বরাদ্দ কিংবা যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে গঠনতন্ত্রে প্রেসিডিয়াম সদস্য যে কজনের স্বাক্ষর লাগবে, তা যদি রওশনপন্থিরা জমা দেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন তার আইন অনুযায়ী বিবেচনা করবে।

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পরে এখন জাপার আগের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নতুন এক গঠনতন্ত্র রচনা করছেন রওশনপন্থিরা। সেই গঠনতন্ত্র তারা নির্বাচন কমিশনে শিগগির জমা দেবেন বলে জানান রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ। 

কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোট

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহালের ইস্যুতে সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনগণের প্রতিপক্ষ বানিয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, কোটার বিষয়টি রাজনৈতিক। এটি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তারা। 

যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরবের এবং শ্রদ্ধার বিষয়। এর সঙ্গে চাকরির কোটা সংরক্ষণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো অপমানজনক। দেশের অনগ্রসর, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে কোটা মানবিক দায়িত্বের অংশ। বেকারত্ব, সরকারি শূন্য পদসমূহে নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্র-যুবসমাজের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।’ 

ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের (সরকার) উদ্দেশ্য হলো শক্তিশালী একটি অনুগত বাহিনী সৃষ্টি। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।’

রবিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এসব কথা বলেন। 

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি  বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারীদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিন্তু তাকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে চাকরি দেওয়াটা স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

সরকার কেন কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে চায়- এ প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘তারা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি করতে অনুপযুক্তদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপযুক্তদের বিত্তশালী করা হচ্ছে। তারা যেন সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। কারণ অনুপযুক্তরা জানে তারা এই চাকরি বা সম্মানের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সরকারের অনুগত হয়ে থাকবে। সারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে শাসকগোষ্ঠী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করতে চায়।’

জয়ন্ত/এমএ/

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা মারা গেছেন। লিজার বড় ভাই পলাশ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

তিনি জানান, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজার স্বামী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজ ইসলাম উজ্জ্বল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, লিজার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মো. আবু হোরায়রা এবং সাধারণ সম্পাদক এম. রাজীবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু)।

শফিক/এমএ/

শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

কোটা পুর্নবহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মোড়ে, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত এই আন্দোলনে স্পষ্ট সমর্থন দেখা যায় সাধারণ মানুষেরও। তাই দাবি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

মান্না বলেন, প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, রাস্তায় আন্দোলন করে আদালতের রায় পরিবর্তন করা যায় কী-না! অথচ বিশ্বের কতো রাষ্ট্র আর তার সরকার আইনব্যবস্থারই পরিবর্তন ঘটেছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আদালতে রিট হয়েছে কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করতে, আদালত তা বাতিল করে শুনানি শুরু করেছে যা বর্তমানে মুলতবি রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলন ও দাবির মুখে জারি করা কোটা বাতিল পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি করতে পারতেন আদালত, অবশ্য দুটিই আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। পড়াশোনা ছেড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাধারণ মানুষের দুর্গতি, অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা ভেবে পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি চলমান রাখা যেত। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে, পরিপত্র বহাল রেখেই রিটের শুনানি কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। না হলে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া শিক্ষার উপর আরও প্রবল নেতিবাচক প্রভাব দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদেরকে।

মান্না আরও বলেন, কোটা পুনর্বহাল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানান। এগুলো হল- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শফিক/এমএ/

ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী
ছবি : খবরের কাগজ

‘ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, আর চীন উন্নয়নের’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভারতের সার্টিফিকেট থাকলে তারা (সরকার) সবকিছু করতে পারে। গোটা জাতিকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতা ধরে রেখেছে।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংগঠনের সদস্যসচিব সুভাস চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক অপর্ণা রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের এস এন তরুণ দে প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করেছে। তাই ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক। কারণ ভারত তাদের সঙ্গে থাকলে তারা সবকিছু করতে পারে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী বীজ বপন করে গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করেছেন। বর্তমানে এরা গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে। তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে বেনজীর-আজিজকাণ্ডের মতো আরও অনেক কাণ্ড ঘটেছে। এটা সামান্য ঘটনা, আরও বড় বড় কাণ্ড আছে। লুটপাট, কালোটাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সক্ষমতায় টিকে আছেন।’ 

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আওয়ামী আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে। যেখানে শেখ হাসিনার আত্মীয়দের পরিবারের এমপি আছে, সেখানে তো ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। আপনারা বাগেরহাট, বরিশালে দেখেছেন কয়দিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়নি।’