![বান্দরবানে সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাংক লুটের ঘটনায় এবি পার্টির উদ্বেগ](uploads/2024/04/05/1712327055.ab party24kk.jpg)
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের দূর্গম এলাকা থানচি, রুমা ও আলীকদম থানায় সন্ত্রাসী হামলা এবং ব্যাংক লুটের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে দলটি।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় রাজধানীর বিজয় নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্ত্বরে আয়োজিত গণ-ইফতারে পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য নেতারা এসব কথা বলেন।
দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, মহানগর উত্তরের আলতাফ হোসেইন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হালিম নান্নু প্রমুখ।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে কুকি চিন তথা কেএনএফের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দিনে দুপুরে ব্যাংকের টাকা লুট, থানা আক্রমণসহ যে ভয়ানক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা আমাদের জানা নেই। গত মঙ্গলবার রাতে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেও তারা অপহরণ করেছিল। পুলিশ ও আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দিতে তো পারেননি। বরং নিজেদের ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি তারা সন্ত্রাসীদের হাতে সমর্পণ করেছে। অথচ এই পুলিশ-আনসার বাহিনী বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা করতে খুব সিদ্ধহস্ত!
জনগণের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই সশস্ত্র হামলার সম্পূর্ণ দায় সরকারের। কারণ তারা আগে বলেছিল পাহাড়ের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে এবং কুকি চিনের সঙ্গে তাদের একটা সমঝোতার আলোচনা চলছে। থানচি, রুমা ও আলীকদমে যা ঘটেছে এতে পরিষ্কার জনগণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আজ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। সরকার তার দলীয় নেতা-কর্মী ও ক্যাডারদের নিরাপত্তায় যতটা তৎপর, জনগণের বিষয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রশাসন যদি এই ঘটনার কোন বিচার বা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে দেশের বহু এলাকায় ৭৩, ৭৪ সালের মতো এই ধরনের সশস্ত্র গ্রুপের জন্ম হবে। জনগণের বাড়ি-ঘর ও ব্যাংক লুটের অতীত ঘটনা আবার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
শফিক/এমএ/