ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

আরও ৫২ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
আপডেট: ১৫ মে ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
আরও ৫২ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দলীয় নির্দেশ অমান্য করে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এবার ১১২ উপজেলায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। 

বুধবার (১৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দলটি। 

বহিষ্কৃতদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ২৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন ৯ জন। 

বিএনপির ৯ সাংগঠনিক বিভাগের মধ্যে রংপুরে বহিষ্কৃত ১২ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন। রাজশাহী বিভাগে ৪ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান একজন। বরিশাল বিভাগে ৫ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী একজন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন, মহিলা চেয়ারম্যান প্রার্থী একজন। ঢাকা বিভাগে ৪ জনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী একজন। 

ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী একজন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী একজন। সিলেট বিভাগে ৭ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী একজন। চট্টগ্রামে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী একজন। কুমিল্লা বিভাগে ৬ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী একজন। খুলনা বিভাগে ৪ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী একজন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন।

দলের সিদ্ধান্ত না মানায় তাদেরকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

সবুজ/সালমান/

মানুষ হত্যার জবাব জনগণ আদায় করবে একদিন: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ এএম
মানুষ হত্যার জবাব জনগণ আদায় করবে একদিন: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

‘হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন কড়ায় গণ্ডায় আদায় করবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত কয়েক দিনে কতজন নিরীহ মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করা হয়েছে, জনগণ তার সঠিক পরিসংখ্যান জানতে চায়। জনগণের টাকায় কেনা কি পরিমাণ গোলাবারুদ, টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে, তার হিসাবও জানতে চায়। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক বিৃবতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার, কারান্তরীণ ও জুলুম-নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

অন্যদিকে পৃথক বিবৃতিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থনের কারণ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি দলের সন্ত্রাসী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে গুলি, টিয়ারশেল, রবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে নিক্ষেপের মাধ্যমে শত শত নিরীহ ছাত্রছাত্রীকে গণহারে হত্যা এবং হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে আহত করেছে, যা দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী অবলোকন করেছে। এই গণহত্যা, নির্যাতন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই নির্মম অত্যাচারে দেশের জনগণ হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকার রাষ্ট্রের সব বাহিনীসহ দলীয় সন্ত্রাসীদের সাধারণ মানুষ, বিএনপি নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ব্লক রেড দিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জার।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমন করার জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহার কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার এবং সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজকে গ্রেপ্তার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গ্রেপ্তারকৃত সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনকে ৩ দিন পর আদালতে তোলা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বাসাসহ সিনিয়র নেতাদের বাসায় অব্যাহত গতিতে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনেককে গুম করে রেখে নির্যাতন চালিয়ে চার-পাঁচ দিন পর আদালতে হাজির করা হচ্ছে, যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য নির্মমভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। এই অবৈধ সরকারকে বলব-অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার লক্ষ্যে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন।

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান
এদিকে শুক্রবার রাতে পৃথক এক বিবৃতিতে ন্যূনতম এক দফা, অবৈধ, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের দাবিতে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য ‘জাতীয় ঐক্যের’ আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে, লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা উপরোক্ত ন্যূনতম এক দফার ভিত্তিতে এবং দাবিতে দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।”

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের সব শরিক দল ও জোট, বাম-ডান সব রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সব ইসলামি রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতিও জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে। শিগগিরই সম্মতিপ্রাপ্ত সবার স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে। জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ ও জাতির মুক্তি ত্বরান্বিত করবে ইনশাআল্লাহ।

পুলিশ হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২০ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২০ এএম
পুলিশ হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানাসহ গ্রেপ্তার ছয়জন

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর শনিরা আখড়া ও রায়েরবাগে পিটিয়ে হত্যা করা হয় দুই পুলিশ সদস্যকে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

নিহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এএসআই মোহাম্মদ মুক্তাদির (৫০) ও নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, মাস্টারমাইন্ড মাসুদ রানার নেতৃত্বে গত ১৯ ও ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগে অগ্নিসংযোগ করে আবু বকর, রবিউল ইসলাম, সৌরভ মিয়া, তারেকসহ ২৫-৩০ জনের একটি দল। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ সদস্যকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন তারা।

পুলিশের মনোবল ভেঙে দিয়ে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতেই পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মিশন বলে দাবি করেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ। তিনি জানান, মেট্রোরেলে হামলাকারীদের তথ্যও বেরিয়ে আসছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক সমঝোতার বিকল্প নেই: ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৭ এএম
সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক সমঝোতার বিকল্প নেই: ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

বর্তমান সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক সমঝোতার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম।

তিনি বলেন, ‘সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খোদ আওয়ামী লীগের লোকজনই এখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি চায়। অবিলম্বে রাজনৈতিক সমাধান না হলে দেশের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। এ জন্য সরকারকেই রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নিয়মিত মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী মূল্য এবং তার ওপর কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যা, দেশের আপামর জনতাকে ভাবিয়ে তুলছে। একটি আন্দোলন দমাতে সরকারের লাশের স্তূপ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার ধ্বংসযজ্ঞগুলো প্রচার করছে। কিন্তু শত শত মানুষ যে লাশ হয়েছে, হাজারখানেক মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেছে এবং হাজারে হাজারে বন্দি করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে সরকারের কোনোই প্রচারণা নেই। ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম যেমন নিন্দনীয়, তারচেয়ে ভয়াবহ নিন্দনীয় হলো মানুষ হত্যা করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপতৎপরতার কারণে মানুষ ঘরে ঘুমাতে পারছে না।’

নগর সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আলহাজ আনোয়ার হোসাইন, আলহাজ আবদুল আউয়াল, নুরুজ্জামান সরকার, কে এম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নজরুল ইসলাম, এইচ এম রফিকুল ইসলাম, মাওলানা কামাল হোসাইন প্রমুখ।

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান বিএনপির

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৯ এএম
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান বিএনপির
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

ন্যূনতম একদফা, অবৈধ, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের দাবিতে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য "জাতীয় ঐক্যের” আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে, লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা উপরোক্ত ন্যূনতম একদফার ভিত্তিতে এবং দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি "জাতীয় ঐক্য" গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের সকল শরিকদল ও জোট, বাম-ডান সকল রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সকল ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতিও জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে। শীঘ্রই সম্মতিপ্রাপ্ত সকলের স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে। জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ ও জাতির মুক্তি ত্বরান্বিত করবে ইনশাআল্লাহ।

সবুজ/এমএ/

বামপন্থি দলগুলোর শোক সমাবেশ আন্দোলন জনতার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:২৩ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:২৩ পিএম
আন্দোলন জনতার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ
ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর জনগণের মনে যে ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ সারা দেশ দেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বামপন্থি দলগুলোর নেতারা। দেশব্যাপী যে চরম সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাকে ‘জনতার আন্দোলন’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন তারা।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং নিরপরাধ মানুষকে হত্যার দায়ে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদ শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে দেশব্যাপী শোক সমাবেশ ও মিছিল করেছে। ঢাকার পুরানা পল্টনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ-সমাবেশে বাম দলগুলোর নেতারা সরকারের কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন। বাম দলগুলোর নেতা-কর্মীরা কালো পতাকা হাতে নিয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করে সমাবেশ ও শোক মিছিলে শরিক হন। নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

বামপন্থি নেতারা বলেন, পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ২০৬ জন মানুষ হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। সর্বশেষ কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী নামিয়ে দমন-পীড়ন চালাতেও তারা কুণ্ঠাবোধ করেনি। এখন চলছে নির্বিচার গণগ্রেপ্তার। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গণগ্রেপ্তার কর্মসূচির নিন্দা জানিয়ে বাম নেতারা বলেন, সরকার যদি ভাবে এভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে তারা আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে পারবে, তবে তারা ভুল পথে হাঁটছে। এই আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্ররা শুরু করলেও বাস্তবে এ আন্দোলন সরকারের দুর্নীতি-লুটপাট, স্বৈরাচারী নীতি ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে জনতার দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকা পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ। আন্দোলনের যে আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তা দমন-পীড়ন করে বন্ধ করা যাবে না। 

সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তারা বলেন, সরকার কোনোভাবেই এই হত্যাযজ্ঞ ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতির দায় এড়াতে পারে না। এই হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

শোক সমাবেশ থেকে নানা দাবি উত্থাপন করেন বাম নেতারা। এ দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে কারফিউ প্রত্যাহার করে সেনাবাহিনী-বিজিবিকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত হামলায় জড়িতদের বিচার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ করা। 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চার বেলাল চৌধুরী ও বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।