![হারের ব্যবধান কমাতে মুমিনুলের আপ্রাণ চেষ্টা](uploads/2024/03/25/1711347746.Lunch-Break.jpg)
চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ২৫ ওভারে ৮২ রান তুলতে গিয়ে বাংলাদেশ হারিয়েছে ২ উইকেট। আগের দিনের শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য ও শেষ বিকালে স্বাগতিকদের উইকেট বৃষ্টিকে ভুলে গেলে আজকের দিনের প্রথম সেশনের ব্যাটিংকে আদর্শ মানতে হবে। তবে আছে কি ভুলে যাওয়ার সুযোগ ? উত্তরটা সবারই জানা।
মাথার ওপর পাহাড়সম রানের চাপ টপকানো সম্ভব নয় সেটা গতকালই নিশ্চিত হওয়া গেছে। আপাতত মুমিলের ব্যাটে কেবল কমছে হারের ব্যবধান। চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে জয় থেকে এখনও ৩৮২ রান দূরে থাকা বাংলাদেশের বিপরীতে শ্রীলঙ্কার দূরত্ব কেবল ৩ উইকেট। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করেছে ৭ উইকেটে ১২৯ রান।
সোমবার (২৫ মার্চ) দিনের শুরুতে আগের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করা নাইটওয়াচম্যান তাইজুলের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কসুন রাজিথার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে করেন এক চারে ৬ রান। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে মুমিনুল হকের জুটি হয় ৬৬ রানের।
সেই রাজিথার বলেই চতুর্থ দিনে নিজেদের দ্বিতীয় সবমিলিয়ে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। স্লিপে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে ৩৩ রান।
নতুন ব্যাটার হিসেবে যোগ দেওয়া শরিফুল ৩ রানে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছেন। চলমান টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে এখনও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান তাইজুল ইসলামের। ৪৬ রানে অপরাজিত অবস্থায় বিরতিতে গিয়েছেন মুমিনুল হক। বিরতি থেকে ফিরে ১ রান করলে ছুঁয়ে ফেলবেন তাইজুলকে আর ২ রান করলে টপকে যাবেন তার স্কোরকে।
এতটুকু সুযোগ মুমিনুলের কাছে হয়তো আছে। কিন্তু, এই টেস্ট যে জেতা সম্ভব নয় সেটি জেনেই শরিফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে সাবেক এই টেস্ট অধিনায়ক মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছেন।