ঢাকা ৪ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪

বিজয় একাত্তর হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
বিজয় একাত্তর হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজয় একাত্তর হলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে এমনটা শুনে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে হলের দিকে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, ‘শুনেছি দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আমরা বিষয়টি দেখছি এবং সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করছি।’

খাজা/সালমান/

শাবিপ্রবির ২৬ শিক্ষার্থী পেলেন জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ফেলোশিপ

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
শাবিপ্রবির ২৬ শিক্ষার্থী পেলেন জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ফেলোশিপ
শাবিপ্রবিতে জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ২০২৪-এর জন্য নির্বাচিত ২৬ জন শিক্ষার্থীরা

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২৬ জন শিক্ষার্থী এবছর জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ২০২৪-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এতে ক্যাম্পাস ডিরেক্টর হিসেবে সিলেকশন পেয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শারমিন সুলতানা কলি ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের মো. রিফাত ইসলাম।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত ৯টায় অনলাইনে জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ফেলোশিপ প্রোগ্রামে নির্বাচিতদের অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। 

জাতিসংঘ একাডেমিক ইমপ্যাক্ট (UNAI) এবং মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক MCN কর্তৃক পরিচালিত এই প্রোগ্রামটি সারা বিশ্বের তরুণ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিত করে এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনের জান্য তাদেরকে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।

এ বছরের মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ছিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক টিমের তথ্যমতে, এ বছর সারা বিশ্বের ১৭০টি দেশের ৬ হাজার ক্যাম্পাস থেকে মোট ৫২ হাজার ৫৮১ জন শিক্ষার্থী মিলেনিয়াম ফেলোশিপের আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে ৪০টি দেশের ২০০ ক্যাম্পাসকে নির্বাচন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে মিলেনিয়াম ফেলো হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। 

নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা হলেন- ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের আহমদ রেজা সামি, শারমিন সুলতানা কলি, হাসান আহমদ, এস এম আনিসুর রহমান। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগের এস এম ইউসুফ উদ্দিন, রিফাত সুমাইয়া জামান, আলভি আলম। রসায়ন বিভাগের শরীফুজ্জামান নাইম, মেহেদী হাসান ফাহাদ, এস এম সাখাওয়াত সাকিব নিলয়। পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের জসীম উদ্দিন ও মো. রিফাত ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের মো. আতাউর রহমান রিফাত, সালমা হুমায়রা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এম মহসিন ও মোহাম্মদ মিনহাজ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের মো. আমরুল কায়েছ সাকিব ও সাইমা ইসলাম। অর্থনীতি বিভাগের সৈয়দ তাহমিদ আলম, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাসের তীর্থ দাস, লোকপ্রশাসন বিভাগের হামজা আসাদুল্লাহ, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের মো. আবু ইউসুফ, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের মুনীরাহ বিনতে  মিজান, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আনিকা তাহসিন অর্থী, বাংলা বিভাগের মো আব্দুল ওয়াহিদ হাসান ও ইংরেজি বিভাগের সিদরাতুল মুনতাহা। 

মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২৩ এ শাবিপ্রবির ফেলো, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের হাবিবুর রহমান মাসরুর বলেন, এটি দ্বিতীয়বারের মতো আমাদের ক্যাম্পাস মিলেনিয়াম ফেলোশিপ এর জন্য মনোনীত সিলেকশন পেয়েছে। এই প্রোগ্রামটি সরাসরি জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করে। আমি এর প্রতিনিধি হিসেবে গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ইয়ুথ ফোরামে অংশ নিয়েছিলাম। আমি আশাবাদী, আমাদের এ বছরের ফেলোশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো করবেন এবং আমাদের ক্যাম্পাসকে সারা বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

মিলেনিয়াম ফেলোশিপ প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে সহায়তা করে এবং তাদেরকে বিশ্বব্যাপী সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে উৎসাহিত করে। এই ফেলোশিপের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমান বাতবায়নে কাজ করবে এবং বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানে তাদের দক্ষতা ও উদ্যোগের মাধ্যমে ভূমিকা রাখবে।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ফেলোশিপের ফলাফল প্রকাশিত হলে সেখানে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইসফাক আলী/জোবাইদা/অমিয়/

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ২ শিক্ষার্থীর জানাজা

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ২ শিক্ষার্থীর জানাজা
ছবি: খবরের কাগজ

কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনে নিহত হওয়া মোহাম্মদ রিয়াজ ও ইমন আলী নামে দুই শিক্ষার্থীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইমমামতি করেন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন। 

এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘রিয়াজ-ইমনসহ যারা শহিদ হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারের দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নেবে এবং ভবিষ্যতেও তাদের পরিবারের পাশে থাকবে সরকার। একই সঙ্গে যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার ইতোমধ্যে নিয়েছেন। যারা শহিদ ভাইদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

জানাজা পড়তে আসা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘৯০ এর শহিদ ডা. মিলন বা নূর হোসেনের মতো শহিদদের নির্দিষ্ট একটি দিনে স্মরণ করা হয় এবং সেখান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপরই সেই জায়গা অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে থাকে এবং ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়ে যায়। দ্বিতীয় এই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের যেন এ অবমূল্যায়ন না করা হয়। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর একধরনের কমিটমেন্ট প্রয়োজন।’

এছাড়া ওই জানাজায়  কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, রিফাত রশিদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

গত ৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে রিয়াজ জিগাতলায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে গতকাল বিকেলের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলের দিকে মারা যায়। অপর দিকে নিহত ইমন আলী গত ৪ আগস্ট বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোরাইতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় সে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আজ সকালের দিকে ঢামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যান।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের থেকে উপাচার্য চায় জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের থেকে উপাচার্য চায় জবি শিক্ষার্থীরা
ছবি: খবরের কাগজ

নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৮ আগস্ট)  ‘জবি সংস্কার আন্দোলন’ নামের প্ল্যাটফর্ম থেকে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা কাঁঠালতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে সমাবেশ করেন। 

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আর কোনো রাজনীতি চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কলোনি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ্য শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।’ 

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ পর্যন্ত যত উপাচার্য এসেছেন, তারা অতিথি পাখির মতো ছিলেন। অতিথি পাখি নতুন একটি জায়গায় এলে সেখানকার পরিবেশ বুঝতে বুঝতে সময় চলে যায়। আমরা এখন চাই না বাইরের কোনো উপাচার্য আসুক। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য হয়ে এলে এক-দুই বছর লেগে যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বুঝতে। তাহলে কাজ করবে কখন?

নূর নবী আরও বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই কোনো যোগ্য শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক। নতুন ক্যাম্পাসের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার হিসাব ছাত্রদের দিতে হবে। শুনেছি সাবেক উপাচার্য মীজানুর রহমান দুর্নীতি করে গেছেন। তার দুর্নীতির হিসাব এখন দিতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন জেগে উঠেছে, এখন আর অনিয়ম চলবে না।’ 

উল্লেখ্য, সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ১১ আগস্ট পদত্যাগ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এখন পর্যন্ত এপদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

মুজাহিদ বিল্লাহ/এমএ/

পদত্যাগ দাবিতে নোবিপ্রবি’র উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
পদত্যাগ দাবিতে নোবিপ্রবি’র উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য (ভিসি), উপ-উপাচার্য (প্রোভিসি) ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে জুতামিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ‘স্টেপ ডাউন ভিসি’ কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, সাবকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তার দোসর নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকি ও রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের প্দত্যাগ দাবিতে গত দু’সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। এরমধ্যে তাদেরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণার পরও পদত্যাগ করেনি। আমরা তাদের পদত্যাগের দাবিতে আজ ‘স্টেপ ডাউন ভিসি’ কর্মসূচী পালন করা হয়।

এরআগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষকরা। এতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করেছে তারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন শিক্ষাকরা।

বিবৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকি, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন গত তিন সপ্তাহ ধরে ক্যাম্পাসে অনুপুস্থিত। তারা বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় পাশে না থেকে উল্টো অসহযোগিতা ও হয়রানি করেছেন। এমনকি সরকারের পক্ষে থাকার জন্য শত শত শহিদের রক্ত মাড়িয়ে তারা মাসব্যাপী শোকের কর্মসূচীও ঘোষণা করেন। তাই এসব কর্মকর্তা বর্তমান পদে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, প্রশাসনের তিন কর্মকর্তার পদত্যাগে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে শিক্ষকরা পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। আমরা মনে করি বিগত সরকারের দালালি করা ভিসি প্রোভিসি ও রেজিস্ট্রারের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। নৈতিকভাবে তাদের এ পদে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
 
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকি, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এরআগে গত ১০ আগস্ট (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরসহ নয় প্রক্টর পদত্যাগ করেন। অন্যদিকে রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে ওএসডি করে কেন্দ্রিয় লাইব্রেরীতে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবুও এ রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে চান শিক্ষার্থীরা।

এসব বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকিকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি।

ইকবাল হোসেন মজনু/এমএ/

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে আলোচনা

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম
আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে আলোচনা
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে (বিইউ) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (১৮ আগস্ট) সকালে ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীবরতা পালন করা হয়। এছাড়া সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার ব্রি. জে. মো. মাহবুবুল হক (অব.), অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলাম, স্থাপত্য বিভাগের প্রধান খন্দকার তরিকুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সমন্বয়ক তাসনিম-ই-জান্নাত সিদ্দিকী, জাহিদুল ইসলাম হিমু এবং আন্দোলনে নিহত সৈকতের বোন বিইউ’র ইংরেজী বিভাগের ছাত্রী সাবরিনা সেবন্তি আফরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কারের সূত্র ধরে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে বিশাল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আন্দোলনের শুরু থেকে আমাদের ছাত্রসমাজ নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, তাই স্বৈরাচার সরকার পতনের এই বিজয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এই বিপ্লবের সকল শহিদকে।

আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে সমন্বয়ক তাসনিম-ই-জান্নাত সিদ্দিকী বলেন, আমাদের আন্দোলন ছিলো একটি সফল সামাজিক আন্দোলন, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার পরিবার থেকে ছাত্ররা এর সঙ্গে যুক্ত হন। প্রথমদিকে সবাই কোটা আন্দোলনে যোগদান না করলেও অনেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন এবং আন্দোলনকে নিজের প্রতিনিধি হিসেবে ভাবতে শুরু করেন। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল সরকারের কোটানীতির সংস্কার। এ অর্থে আন্দোলনটির রাজনৈতিক তাৎপর্য অনস্বীকার্য।

আন্দোলনে বিইউ’র অন্যতম সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম হিমু বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অপূরণীয় ক্ষতি হলো ছাত্র-জনতার ব্যাপক প্রানহানি। আমরা যখন বিজয় উদযাপন করছি তখনো আমাদের হৃদয় অনেক ভারাক্রান্ত। বুক পেতে দেওয়া সাঈদের মত ছাত্র-জনতাসহ ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশুর কথা মনে পড়ছে যারা বাসায়, বারান্দায় আর বাড়ির উঠানে শহিদ হয়েছেন, তাদের আর আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো না।

এছাড়া আন্দোলনে নিহত সৈকতের স্মৃতিচারণ করেন তার বোন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ইংরেজী বিভাগের ছাত্রী সাবরিনা সেবন্তি আফরোজ। তিনি তার ভাইসহ আন্দোলনে নিহত সকল শহিদদের হত্যাকারী পুলিশের শাস্তির দাবিতে দেশবাসিকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সর্বস্তরের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি