গাইবান্ধায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা ও পশ্চিমা হাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডা আর তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামার কারণে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
এই ঠান্ডায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নদীতীরবর্তী অঞ্চল ও শ্রমজীবীরা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। দুই সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
দুপুরে এক ঝলক সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশায় ঢাকা থাকছে গোটা জনপদ। প্রচণ্ড ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুদের ডায়রিয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
গাইবান্ধার সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আরশাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকবে। তবে অফিস খোলা থাকবে। আবহাওয়া দেখে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জেলার প্রায় এক হাজার ৪০০ প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ৪৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, বর্তমানে জেলায় প্রায় ৬ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকরা। চাহিদা রয়েছে ৫ হাজার ২৪৫ হেক্টর। কুয়াশায় আপাতত বীজতলাসহ কোনো ফসলের ক্ষতির শঙ্কা নেই। তবে স্থানীয়ভাবে যদি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সারাক্ষণ খোঁজখবর রাখছি। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে কোনো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দু-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
রফিকুল ইসলাম/জোবাইদা/অমিয়/