ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

ছয় জেলায় অভিযান, ১০ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩০ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪১ এএম
ছয় জেলায় অভিযান, ১০ লাখ টাকা জরিমানা
ছবি : খবরের কাগজ

দেশের বিভিন্ন স্থানে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছেন। এসব অভিযানে নানা অপরাধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে সাত লাখ টাকা, দিনাজপুরে রাইসমিল মালিককে ২০ হাজার টাকা, চাঁদপুরের তিনটি হাসপাতাল ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা ও লক্ষ্মীপুরে নিজ কৃষিজমির মাটি কেটে বিক্রি করায় জরিমানা গুনতে হয়েছে মালিককে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জে ১৭ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: 

চট্টগ্রামে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে সাত লাখ টাকা জরিমানা

খাবারে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা, অপরিচ্ছন্ন ফ্রিজে পচা, বাসি খাবার সংগ্রহসহ নানা অপরাধে চট্টগ্রামে চার প্রতিষ্ঠানকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার নগরের মোহাম্মদপুর, আতুরার ডিপু ও অক্সিজেন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সোবহান। 

অভিযানে নগরের মোহাম্মদপুর এলাকার আল আকসা ফুডসকে দুই লাখ, আতুরার ডিপু এলাকার বাগদাদ হোটেলকে দুই লাখ, খাবার মেলা হোটেলকে এক লাখ এবং অক্সিজেন এলাকার হোটেল জামানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে গতকাল বুধবার নগরের এনায়েত বাজার এলাকার বাটালী রোডের রয়েল বাংলা সুইটসকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

সিরাজগঞ্জে ১৭ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে লাইসেন্সবিহীন ১৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়, গত সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনের অভিযানে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ড. রাম পদ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, বন্ধ করা লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

চাঁদপুরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে অব্যবস্থাপনার দায়ে তিনটি হাসপাতাল ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাছান মানিক জানান, হাজীগঞ্জ বাজারের পপুলার ল্যাব অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল নার্সসংকট ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা, ভিআইপি হাসপাতালকে ৪০ হাজার টাকা, নিশাত হসপিটালকে ৪০ হাজার টাকা, আল রাজি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় জমির মাটি বিক্রি করায় জরিমানা

চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে নিজ জমির মাটি কেটে বিক্রির দায়ে জমির মালিকসহ দুজনকে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কাবুলের চর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র। 

অভিযুক্তরা হলেন জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে জমির মালিক বাবলুর রহমান (৪৫) ও একই উপজেলার কালা গ্রামের ট্রাক্টরচালক জসিম উদ্দিন (৩০)।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র জানান, জমিটি ভৈরব নদীর পাশে। মাটি কাটার জন্য নদী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া ব্যক্তি মালিকানা কিংবা যেকোনো স্থানের মাটি কাটার পূর্বে অনুমতি নিতে হবে।

লক্ষ্মীপুরে কৃষিজমির মাটি কেটে বিক্রি, জরিমানা

লক্ষ্মীপুরে কৃষিজমির উর্বর মাটি (টপ সয়েল) ও সরকারি খাল থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার অপরাধে মো. সিরাজ নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানা করেন। 

দিনাজপুরে রাইসমিল মালিককে জরিমানা 

দিনাজপুরের হিলিতে বিভিন্ন অপরাধে এক রাইসমিল মালিক ও এক চাল আমদানিকারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত হিলির ডাঙ্গাপাড়া ও ফকিরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা ইয়াসমিন এ জরিমানা করেন। 

লায়লা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমনের ভরা মৌসুমে দেশে হঠাৎ করেই চালের দাম বাড়ছে। সে কারণে আমরা হিলির বিভিন্ন ধান ও চালের গুদামগুলোতে অভিযান চালাচ্ছি। এ সময় অনুমোদনের বাইরে ধান ও চাল গুদামজাত করছে কি না, অন্যান্য সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’

সিলেটে রথমেলা থেকে ২৪ দেশীয় পাখি জব্দ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
সিলেটে রথমেলা থেকে ২৪ দেশীয় পাখি জব্দ
ছবি : খবরের কাগজ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম একটি প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে সিলেট নগরীতে রথমেলা শুরু হয়েছে। আর এই মেলায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ২৪টি দেশীয় পাখি জব্দ করেছে বন বিভাগ।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।  

সিলেট বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন বিভাগের সিলেট রেঞ্জের দায়িত্বরতরা এই ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ২৪টি দেশীয় পাখি জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ১৪টি ঘুঘু, ৯টি শালিক ও একটি টিয়া পাখি ছিল।

সিলেটে প্রতিবছরই রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে নগরীর রিকাবীবাজারে গড়ে উঠে মেলা। সেই মেলায় অবাধে বিক্রি হয় দেশীয় পাখিসহ নানা প্রজাতির বিদেশি পাখি। আইন অনুযায়ী দেশি-বিদেশি সব ধরনের পাখি বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও এই রথমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই দেশি-বিদেশি পাখি বিক্রির জমজমাট আসর বসে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রতিবছরই রথমেলায় দেশীয় ও পরিযায়ী পাখি বিক্রির চেষ্টা করে থাকে একটি চক্র। এবার মেলার প্রথমদিনই বন বিভাগ এই পাখি বিক্রি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ থাকবে বন্যপ্রাণী ও পাখি বিক্রিরোধে মেলার যেন সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়। পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকেও মেলায় নিয়মিত নজরদারি রাখা হবে।’

সিলেট বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা (টাউন রেঞ্জ) শহিদুল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘রথমেলাকে কেন্দ্র করে পাখি বিক্রি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। তাই মেলার প্রথমদিনই আমরা ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ২৪টি দেশীয় পাখি জব্দ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযান দেখে বিক্রেতারা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। পাখিগুলো শেখঘাট এলাকায় সুরমা নদীর পাড়ে অবমুক্ত করা হয়। প্রতিদিনই মেলায় আমাদের টহল অব্যাহত থাকবে। ঝটিকা অভিযানও চলবে।’

শাকিলা ববি/সালমান/

সিরাজগঞ্জে ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
সিরাজগঞ্জে ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক। ছবি : খবরের কাগজ

সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এর ফলে জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালি ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলবেষ্টিত ৩৪টি ইউনিয়নের ১৮ হাজার পরিবারের প্রায় ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকে আশ্রয়কেন্দ্র, অনেকে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে। সেই সঙ্গে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। এর পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্য নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে বন্যায়কবলিতরা। 

রবিবার (৭ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জ কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ থেকে আগামী তিন-চার দিন পানি কমবে। এরপর আবারও পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান খবরের কাগজকে জানান, আগামী তিন-চার দিন পর্যন্ত যমুনার পানি কমবে। এরপর ফের বাড়তে পারে। আপাতত ভারী বন্যার সম্ভাবনা নেই। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ভাঙন রোধে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও টিউব ও বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বন্যার পানিতে জেলার ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর জমির পাট, তিল, কালাই, কলা, মরিচ, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলের খেত প্লাবিত হয়েছে। তবে পানি কমলে ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলার ৫টি উপজেলার ১৮ হাজার পরিবারের মোট ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা বন্যাকবলিতদের মাঝে ৯৫ টন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছি।’

কাউন্সিলর আজাদের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
কাউন্সিলর আজাদের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবি
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন শেখ তাহমিনা রহমান। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের টানা পাঁচবারের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার ঘটনাকে ‘নাটক’ দাবি করে স্থানীয় এক শ্রমিকের স্ত্রী বলেছেন, ‘গরুর হাটের টাকা ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঝামেলা শ্রমিকদের ওপর চাপাতে কাউন্সিলর আজাদ নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। তার বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলে সত্য জানা যাবে।’ এ সময় তিনি ওই ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানান। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন টিলাগড়ের কল্যাণপুর এলাকার শেখ নাঈমুর রহমান রাব্বির স্ত্রী শেখ তাহমিনা রহমান। 

তার দাবি অনুযায়ী, কোরবানির পশুর হাটের পারিশ্রমিক চাওয়ায় কাউন্সিলরের লোকজন হামলা করে শিশুসহ কয়েকজনকে আহত করেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে কাউন্সিলরের বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করতে হবে। যদিও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গত ২৭ জুন তার বাড়িতে হামলা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন কাউন্সিলর আজাদ। তবে খবরের কাগজের অনুসন্ধানে উঠে এসেছিল, কোরবারির হাটের চোরাই গরুর লাভের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলা।

লিখিত বক্তব্যে তাহমিনা রহমান বলেন, ‘টিলাগড় গরুর বাজারের শ্রমিক হিসেবে আমার স্বামী শেখ নাঈমুর রহমান রাব্বি এবং স্থানীয় সামাদ, নাসির, রিয়াজ, বুরহান, রুবেলসহ আরও অনেকে কাজ করেছেন। কিন্তু বাজারের মূল ব্যক্তি কাউন্সিলর আজাদ তাদের পারিশ্রমিক দেননি। টাকা চাওয়ায় উল্টো ক্ষিপ্ত হন।’

শেখ তাহমিনার অভিযোগ, ‘এরই জের ধরে গত ২৭ জুন কাউন্সিলরের ভাতিজা চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাদিকুর রহমান আজলার নেতৃত্বে আমাদের বাসাসহ অন্তত তিন শ্রমিকের বাসায় হামলা হয়। এমনকি আমার কোলের শিশুকে কেড়ে নিয়ে মাটিতে ছুড়ে মারে।’ 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাত প্রায় ২টার দিকে হঠাৎ করে আজলা, অনিল, আজিজুর, নাঈম, জুনেদ, আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের বাসার দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। সম্ভ্রমহানির চেষ্টা চালায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরদিন প্রাণভয়ে আমরা সুনামগঞ্জে বাবার বাড়িতে চলে যাই। সেখানেও তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আবারও সিলেট শহরে এসে গোপনে এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিই।’ একই রাতে সন্ত্রাসীরা গরুর বাজারের বকেয়া টাকা চাওয়া শ্রমিক সামাদের শাপলাবাগের বাসায় ও নাসিরের বাসায় একইভাবে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদার

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে পাঁচগাঁও আলহাজ ওয়াহিদ আলী উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল ১০টা থেকে পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন চলছিল। নির্বাচনে বিজয়ী সভাপতি প্রার্থী দেওয়ান মনিরুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদার। অপর প্রার্থী মিলনের সমর্থক নূর মোহাম্মদ ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে ইউপি চেয়ারম্যান সুমনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাকে মাঠে ফেলে দিয়ে প্রকাশ্যে বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। সুমনকে প্রথমে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে বেলা ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান। 

তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রকাশ্যে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেননি পুলিশ সুপার। 

প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি ছাড়া, দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায়

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি ছাড়া, দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায়
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানার বড়হাতিয়া এলাকার প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর বড় দুই ভাই ও তাদের পরিবাবার মিলে বেধব মারধর করে হাত ভেঙে দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় অপর ভাইয়ের পরিবারকে। দুই সন্তান নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার চট্টগ্রাম শহরের আত্নীয়ের বাসায় রয়েছেন। ভয়ে তিনি নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন না, চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তিনি। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩ জুলাই এ ঘটনার পর লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ফেরদৌসী বেগম (৩৩)। মামলায় মোহাম্মদ হারুন (৫৬), মোহাম্মদ আকতার (৫১) শাহিনা আক্তার রুবি (৪২), রুবি আক্তার (৪৯) আসামি করা হয়। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই এলাকার প্রবাসী মোহাম্মদ আজমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৩৩) বসত ঘরে ছাদে পানি জমাকে কেন্দ্র করে ভাসুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের তাকে পিটিয়ে জখম করেন। বেধব মারধরের কারণে ফেরদৌসী বেগমের বাম হাতের কব্জির হাড় ভেঙে যায়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার পর আসামিদের ভয়ে আর বাড়ি যাচ্ছেন না। 

ফেরদৌসী বেগমের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আফিফা জান্নাত (১৩) ও মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাজিফা বিনতে আজমকে (৬) নিয়ে  চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরের আত্নীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। প্রবাসি আজম বিদেশে থাকায় তার দুই ভাই আসামি হারুন ও আকতার পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করার জন্য আজমের পরিবারকে বাড়িভিটে ছাড়া করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে বড়হাতিয়া এলাকার আজিজ ডাক্তার পাড়ার সর্দার মোহাম্মদ বাদশা বলেন, আজমের বউ ফেরদৌসীকে আসামিরা আমার সামনেই বেধব মারধর করেন। আমি তাদের ক্ষান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। তারা আমার গায়েও হাত তুলে। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। 

ফেরদৌসী বেগম খবরের কাগজকে বলেন, আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল আসামিরা। আমার চিৎকার শুনে পাড়ার সর্দারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তারা আমাকে ও আমার সন্তানদের বাড়িভিটে ছাড়া করতে চাইছে। আমি এর বিচার চাই। তাদের ভয়ে আমি বাড়িতে যেতে পারিছি না। দুই সন্তানকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি বাড়ি গেলে আমার সন্তান ও আমার উপর আবার আঘাত করবে আসামিরা। বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। 

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, বাড়ির ছাদে পানি প্রবাহকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের বাদির উপর আক্রমণ করে আসামিরা। ফেরদৌসী বেগমের দায়ের করা মামলায় একজন আমাসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরার জন্য প্রচেষ্টা আছে।

আবদুস সাত্তার/এমএ/