ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

রমেকে মেশিন বিকল ফিরে যাচ্ছেন ক্যানসার রোগীরা

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৫ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৯ পিএম
ফিরে যাচ্ছেন ক্যানসার রোগীরা
ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের রেডিওথেরাপি দেওয়ার ঘরটি ৯ বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। খবরের কাগজ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন মনসুর আলী। ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত মনসুর পেশায় দিনমজুর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর্থিক সংকটের কারণে বেসরকারি কোনো হাসপাতালে যেতে পারেন না। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা মনসুরের চিকিৎসা আর এখানে হবে না। যেতে হবে ঢাকায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে চিকিৎসা করার মতো টাকা নেই তার। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘ডাক্তার বলছেন, যে চিকিৎসা দরকার সেটা এখানে নেই। আমাকে ঢাকায় যেতে হবে। আমি গরিব মানুষ, ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা করার মতো টাকা পাব কোথায়?’

হাসপাতাল চত্বরে কথা হয় আব্দুর রহিমের (ছদ্মনাম) সঙ্গে। তিনিও পেশায় দিনমজুর। বাড়ি নীলফামারীতে। জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন। বললেন, ‘নীলফামারীতে চিকিৎসা করতে গিয়ে আমার স্ত্রীর ক্যানসার ধরা পড়ে। পরে রংপুরে চিকিৎসা নিচ্ছি। ডাক্তার বলছেন, থেরাপি লাগবে। মেডিকেলে এসে শুনি মেশিন নেই। পরে এক ম্যাডামের সঙ্গে কথা বললাম, উনি বগুড়া অথবা ঢাকায় যেতে বললেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি দিনমজুর। শুনলাম অনেক টাকা খরচ হবে। কিন্তু এত টাকা আমি পাব কোথায়। মানুষের কাছে হাত পেতে পেতে টাকা তুলে চিকিৎসা করছি। আর কত মানুষ টাকা দেবে? আল্লায় জানে কতদিন বাঁচাবে।’

চিকিৎসা করাতে এসে এমন হাহাকার শুধু মনসুর আলী বা আব্দুর রহিমের নয়, তাদের মতো হাজারও মানুষের। মূলত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার রেডিওথেরাপির মেশিন ঘরটি তালাবদ্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ৯ বছর ধরে মেশিনটি বিকল রয়েছে। তাই এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বগুড়া, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেফার করা হচ্ছে। আর বেসরকারি হাসপাতালের রেডিওথেরাপি ব্যয়বহুল হওয়ায় আর্থিক দিক থেকে অসচ্ছল রোগীরা বেকায়দায় পড়েছেন। 

কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বিকল থাকা মেশিনটি এখনো কেন সচল করা হয়নি, এমন প্রশ্নের উত্তর কর্তৃপক্ষ দিতে পারছে না। তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। যদিও অধিকারকর্মীর ভাষ্য অনুযায়ী, সিন্ডিকেটের কারণে এসব মেশিন মেরামত বা নতুন করে স্থাপন করা হয় না।

হাসপাতাল-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০০ সালে একটি রেডিওথেরাপি মেশিন স্থাপন করা হয়। চালু হয় ২০০১ সালে। 

হাসপাতাল-সংশ্লিষ্টরা জানান, এ মেশিনটি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। কিন্তু চালুর পর তা একবারও করা হয়নি। ২০১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সচল ছিল। এরপর বন্ধ হয়ে যায়। এসব মেশিন একবার নষ্ট হলে আর ঠিক করা যায় না। তখন থেকে ক্যানসারে আক্রান্তদের রেডিওথেরাপি বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালগুলো যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে প্রতিবছরই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়েও একাধিকবার চিঠি দেওয়ার পরও কার্যত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চিঠির ফিরতি কোনো জবাবও পাচ্ছে না রংপুর মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মূল হাসপাতালের বাইরে পশ্চিম পাশে একতলা একটি ভবনে রেডিওথেরাপি মেশিনটি স্থাপন করা হয়। সেই ভবনটি বর্তমানে তালাবন্ধ। ভেতরের অংশ ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। 

হাসপাতালটির ক্যানসার বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যানসারে আক্রান্ত পাঁচ হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে রংপুর বিভাগ ছাড়াও অন্য বিভাগ থেকেও প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। তাদের বেশির ভাগই স্তন ও জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত। এ ছাড়া ফুসফুস ও ক্লোন ক্যানসার আক্রান্ত রোগীও আছেন।

জনস্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বেলাল আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘এসব ভারী যন্ত্রপাতি মেরামত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবার গাফলতি রয়েছে। এ ছাড়া বড় সিন্ডিকেটের কারণে এসব মেশিন মেরামত বা নতুন করে স্থাপন করা হয় না। কারণ তখন প্রাইভেট ব্যবসা নষ্ট হবে।’

রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যানসার বিভাগের প্রধান ডা. জাহান আফরোজা খানম লাকি খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রতিদিনই অনেক রোগী আসছেন। তাদের ৮০-৯০ শতাংশ রোগীর রেডিওথেরাপি প্রয়োজন। কিন্তু এখানে মেশিন বন্ধ বা নষ্ট থাকায় সেই থেরাপি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। রেফার্ড করা হচ্ছে সরকারি অন্য হাসপাতালে।’

তিনি বলেন, ‘এখানে যেসব রোগী আসেন তাদের বেশির ভাগই গরিব। তাদের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে রেডিওথেরাপির নেওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। সরকারি হাসপাতালে রোগীর অবস্থাভেদে রেডিওথেরাপির জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার প্রয়োজন হয়। আর বেসরকারি হাসপাতালে এই খরচ ১২ থেকে ১৪ গুণ বেশি। আমার মনে হয় না, যারা এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন তারা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

বিকল হওয়া মেশিন কখনো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছিল কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তখন আমি ছিলাম না, তাই নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। তবে এটুকু শুনেছি, মাঝেমধ্যে রেজাল্ট খারাপ হতো।’

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বলেন, ‘আমি আসার বহু আগে থেকেই এই মেশিন নষ্ট, শুধু একটা মেশিনই নয়, আরও অনেক মেশিনের একই অবস্থা। যেগুলো মেরামত করলে ঠিক হবে, সেগুলো মেরামতের জন্য চিঠি দিয়েছি। আর যেটা একদম বিকল, সেটা পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি। দেখা যাক কী সিদ্ধান্ত আসে।’

মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদার

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে পাঁচগাঁও আলহাজ ওয়াহিদ আলী উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল ১০টা থেকে পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন চলছিল। নির্বাচনে বিজয়ী সভাপতি প্রার্থী দেওয়ান মনিরুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদার। অপর প্রার্থী মিলনের সমর্থক নূর মোহাম্মদ ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে ইউপি চেয়ারম্যান সুমনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাকে মাঠে ফেলে দিয়ে প্রকাশ্যে বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। সুমনকে প্রথমে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে বেলা ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান। 

তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রকাশ্যে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেননি পুলিশ সুপার। 

কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক। ছবি: খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কাটা গাছ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাপ্পি (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনার ঘটে। 

এই দুজনের মধ্যে একজন ক্রেনের চালক এবং অপরজন হেলপার।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, মহাসড়ক প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। তাই সড়কের পাশে গাছ কাটা হচ্ছে। দুপুরে কাটা গাছের অংশ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানো হচ্ছিল। এ সময় পাশের বিদ্যুতের তারে ক্রেনটি লেগে গিয়ে ক্রেনের চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

জুয়েল রহমান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু
ছবি : খবরের কাগজ

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে দীর্ঘ ৩৩ দিন পর যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট থেকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে তিনটি সার্ভিস ট্রলার নিরাপদে পৌঁছেছে।

সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রীরা জানান, দীর্ঘদিন পর টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রীবাহী সার্ভিস ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বাংলাদেশের নাফ নদী দিয়ে নিরাপদে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছেছি। যদি গোলারচরটি খনন করা হয় তাহলে সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং সহজে পণ্যবাহী ট্রলার যাতায়াত করতে পারবে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের ট্রলার মালিক সমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, সকালে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে তিনটি সার্ভিস ট্রলার যাত্রীসহ টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। আমরা নিরাপদে টেকনাফে পৌঁছতে পেরেছি।

তিনি বলেন, ‘আগে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন যে নৌরুট ছিল সেটি যদি খনন করা হয় তাহলে আমাদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। তখন আমাদের মায়ানমারের জলসীমানা আর ব্যবহার করতে হবে না। সেন্টমার্টিনে চাকরিরত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যাওয়া আসা করতে অসুবিধা হবে না। তবে তাদের চাকরির আইডি কার্ড অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।’

মায়ানমারে নিজেদের মধ্যে চলামান সংঘাতের কারণে গত ৫ জুন থেকে এ নৌরুটে সার্ভিস ট্রলার চলাচর বন্ধ ছিল।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/

সিলেটে বালুর ট্রাকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি, গ্রেপ্তার চালক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
সিলেটে বালুর ট্রাকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি, গ্রেপ্তার চালক
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকায় বালুভর্তি এক ট্রাক থেকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ট্রাকের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে বালুভর্তি ট্রাকে ভারতীয় চোরাই চিনি পরিবহনের খবর পেয়ে, সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। পরে দুপুর সোয়া দুইটার দিকে গোয়াইনঘাটে একটি ট্রাক ধরা পড়ে। বালু যেভাবে পরিবহন করা হয়, ঠিক সেভাবেই ট্রাকটিতে বালু ছিল। বেলচা দিয়ে কিছু বালু সরালে চিনির বস্তা দেখা যায়। পরে ট্রাকের চালককে আটক করা হয়। তার নাম জাকির হোসেন (৩৪)। বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার পানিছড়ায়।

পরে পুলিশ শ্রমিক দিয়ে বালু সরিয়ে ৩০০ বস্তা ভারতীয় তৈরি চিনি জব্দ করে। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি চিনি রয়েছে। এ হিসেবে ১৫ হাজার কেজি চিনির বর্তমান বাজার দর প্রায় ১৮ লাখ টাকা। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিলেটের সীমান্ত উপজেলাগুলোতে একাধিক পাথর ও বালুমহাল রয়েছে। এসব মহাল থেকে বালু-পাথর পরিবহনে নিয়োজিত রয়েছে কয়েক হাজার ট্রাক। পাথরমহাল বন্ধ থাকার পরও ট্রাক দিয়ে পাথর পরিবহনের বিষয়টি খোঁজ নিতে গিয়ে একের পর বেরিয়ে আসে পাথরচাপা দিয়ে চিনি চোরাচালানের ঘটনা। এরপর পাথরবাহী ট্রাকে আর কোনো চিনি পাওয়া যায়নি। তবে বালুচাপা দিয়ে চিনি চোরাচালানের ঘটনা এই প্রথম দেখা গেছে।

এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি চোরাচালানের সঙ্গে আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা করে আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

সিলেট ব্যুরো/পপি/অমিয়/

চাষি সম্মেলনে বিরিয়ানি খেয়ে হাসপাতালে শতাধিক মানুষ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
চাষি সম্মেলনে বিরিয়ানি খেয়ে হাসপাতালে শতাধিক মানুষ
ছবি : খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় চাষি সম্মেলনে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক মানুষ। তাদেরকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের সিংহলাল গ্রামে একটি ফিস ফিড কোম্পানির চাষি সম্মেলন ছিল। সম্মেলনে অংশ নেওয়া চাষিদের চৌরাস্তা মোড়ের ঢাকা নবাব বিরিয়ানি হাউজের বিরিয়ানি খেতে দেওয়া হয়। এই বিরিয়ানি খেয়ে পেটব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা শুরু হয় তাদের। সন্ধ্যার পর থেকে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে থাকেন।

জালালাবাদ ইউপি সদস্য আফতাবুজ্জামান জানান, নবাব বিরিয়ানি হাউজ থেকে আনা বিরিয়ানি চাষিদের খেতে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর থেকে একের পর এক ফোন আসতে থাকে।

কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) হয়েছে। সবাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

নাজমুল শাহাদাৎ/জোবাইদা/অমিয়/