![চুয়াডাঙ্গায় ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলেন ২৮ তরুণ-তরুণী](uploads/2024/03/24/1711266482.chuyadanga-photo.jpg)
চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি পেলেন ২৮ তরুণ-তরুণী। শতভাগ মেধা-যোগ্যতা, স্বচ্ছতা, কোনো তদবির বা অর্থ লেনদেন ছাড়া বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আবেগাপ্লুত হয়েছেন সদ্য চাকরি পাওয়া তরুণ-তরুণীরা।
শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে পুলিশ লাইন্সে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান।
নির্বাচিতদের নাম ঘোষণার সময় জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তাদের সবাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, নিয়োগ বোর্ডের সদস্য মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কামরুল আহসান, মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
চাকরিপ্রাপ্তরা হলেন- সাধারণ কোটায় (মেধাতালিকায় পর্যায়ক্রমে) আহসান হাবিব জিসান, ইমরান হোসাইন, রুবায়েত হোসাইন, আসিফ ইকবাল, রাকিবুল ইসলাম, সজিব, রিফাত আলী, আতিক হাসান, আকরাম হোসাইন, জাহিদুল ইসলাম, আরাফাত হোসাইন, মাহাবুদুর রহমান, মেজবাউর রহমান, আশিক আলি, জিহাদ, পারভেজ হোসাইন হিরো।
এ ছাড়া অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন লিমন আলি, ভূপেন শিল, তাওফিক উমর, আকাশ হোসাইন, সাদ্দাম হোসাইন।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় (পুরুষ) চাকরিপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল হামিম, আশরাফ আলি থানাবি, রাকিব হোসাইন, শাকিল আলি ও গোলাম সাকলাইন সৌরভ।
পুলিশ পোষ্য কোটায় (পুরুষ) চাকরিপ্রাপ্তরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান শাকিব ও সোহানুর রহমান।
আনসার ও ভিডিপি কোটায় (পুরুষ) পেয়েছেন নাজিমুস সাকিব।
নারী সাধারণ কোটায় চাকরিপ্রাপ্তরা হলেন- খালেদা আক্তার হাসি, সুরাইয়া আক্তার তিশা, কনিকা খাতুন ও জান্নাতুল মিম।
এ ছাড়া অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন সুরাইয়া আক্তার ও ইতি খাতুন।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে চাকরি প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা ও আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ৩০১ প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করেন। গত ১৬ মার্চ এই ৩০১ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। যার মধ্যে ৬৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে থেকে মেধা, যোগ্যতার ভিত্তিতে ২৪ জন ছেলে এবং চারজন মেয়েসহ মোট ২৮ জন প্রার্থী নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বলেন, ‘কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি, এটা আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সবার একমাত্র পূর্বশর্ত ছিল মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে। তাদের অন্য কোনো পরিচয়, সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থান ভূমিকা পালন করেনি। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১২০ টাকা তাদের সরকারি খরচ ছিল। জেলা পুলিশ সব বিষয়ে খুবই তৎপর ছিল।’
আফজালুল হক/জোবাইদা/অমিয়/