চট্টগ্রামের ঈদ বাজারে রোজার শেষের দিকে এসে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তবে বেচাকেনা গত বছরের তুলনায় কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিক্রি অন্যান্য বছরের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। রোজার শুরু থেকেই অন্য বছর পোশাক বিক্রি বেড়ে যায়, কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। বলতে গেলে ২০ রোজা পর্যন্ত ক্রেতা সাধারণের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি মার্কেটে ছিল না, যা ঈদকে কেন্দ্র করে গড় বিক্রির ওপর প্রভাব পড়বে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর রোজার শুরুতেই মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে যায়। এ মার্কেট থেকে সে মার্কেট ঘুরে পছন্দের পোশাকটি বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেন ক্রেতারা। আর ঈদের আগে পাইকারি দোকানগুলোতে ভিড় থাকে। তখন খুচরা ব্যবসায়ীরা পোশাক কিনে ঈদে বিক্রির জন্য মজুত করেন। ওই পোশাক বিক্রি শেষ হলে আবারও তারা কাপড় সংগ্রহ করতে পাইকারি দোকানে ভিড় করেন। কিন্তু এবার জেলা-উপজেলা থেকেও খুচরা, ছোট ব্যবসায়ীরা আসছেন না। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা আগে নেওয়া কাপড় এখনো বিক্রি করতে পারেননি, এজন্য পুনরায় তারা কাপড় নেননি। তবে আরও দুই-এক দিন পর থেকে বিক্রি বাড়তে পারে।
চট্টগ্রামের মিমি সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও আঁচল শাড়ির মালিক জয়নাল আবেদীন কাঞ্চন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঈদের আগে আমরা দিনে গড়ে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার বিক্রি করতাম। এখনো সেই হারেই বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক তোলা হয়েছে। সে হিসেবে রোজার আগের চেয়ে এখন তিনগুণ বেশি বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। মার্কেটে দিনে ক্রেতা নেই বললেই চলে, রাতের দিকে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ে।’
চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেক্সের চান্দুয়া ফ্যাশনের মালিক মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘দিনভর দোকান খুলে বসে আছি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত বিক্রি নেই। রোজার শুরুতে ক্রেতা ছিল না। ২০ রোজার পর রাতে কিছু ক্রেতার দেখা মেলে। কিন্তু পর্যাপ্ত বিক্রি হচ্ছে না। কেন বিক্রি হচ্ছে না সেটির কারণ বুঝতে পারছি না। অন্যান্য বছরের এ সময়ে আমাদের দোকানের কর্মীদের দম ফেলার সময় থাকত না।’
আগ্রাবাদ আখতারুজ্জামান সেন্টার দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল হক শহীদ বলেন, ‘এ মার্কেটে ২২০টি দোকান রয়েছে। রমজানের শুরু থেকে বেচাকেনা আগের মতোই ছিল। ঈদকে কেন্দ্র করে এখন কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু উল্লেখ্যযোগ্য নয়। হয়তো আগামী সপ্তাহের দিকে জমজমাট হতে পারে।’
