![পোশাক কিনতে নাভিশ্বাস!](uploads/2024/04/05/1712286291.Mymensingh.jpg)
ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে ময়মনসিংহের বিপণিবিতানগুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি। এতে পছন্দের পোশাক কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের লোকজন। ফলে অনেকে কেনাকাটা করছেন ফুটপাত থেকে।
শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপণিবিতান রয়েছে স্টেশন রোড, গাঙ্গিনারপাড়, নতুন বাজার ও চরপাড়া এলাকায়। সরেজমিনে এসব এলাকার বিপণিবিতানগুলোতে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। অনেকে দরদাম মিলে যাওয়ায় কিনছেন। আবার অনেকে এক দোকান থেকে আরেক দোকান ঘুরে নিজের রুচির প্রাধান্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত পোশাক খুঁজে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি স্টেশনর রোড ও গাঙ্গিনারপাড় এলাকার ফুটপাতজুড়েও ক্রেতাদের কমতি নেই।
গাঙ্গিনারপাড় এলাকার ‘বারী প্লাজা’ মার্কেট থেকে কেনাকাটা করে ফিরছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী সোহানুর রহমান। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, প্রত্যেকটা বিপণিবিতানে গত বছরের চেয়ে কাপড়ের দাম এক থেকে দেড়গুণ বেশি। গত বছর ছোট ছেলের জন্য শপিংমল থেকে যে পাঞ্জাবি কিনেছি ৮০০ টাকায়, এবার সেটির দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা। এরকম সব পোশাকের দামই বেশি। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এক দামের বিভিন্ন শো-রুমগুলোতে মূল্যছাড় দেওয়া হয়েছে।
মূল্যছাড় দিলেও পোশাকের গায়ে মূল্য বাড়ানো হয়েছে। ফলে আগের বছরের চেয়ে দাম অনেক বেশি দিয়েই কিনতে হচ্ছে।’
শহরের নতুনবাজার এলাকার ‘টপটেন’ থেকে সপরিবারে কেনাকাটা করা আরাফাত-সাইদুল দম্পতি বলেন, ‘এবার যেকোনো সময়ের চেয়ে দাম অনেক বেশি। তবুও সপরিবারে পছন্দের পোশাক কিনে নিয়েছি।’
গাঙ্গিনারপাড় এলাকার ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করা জয়নাল মিয়া বলেন, ‘একটু ভালো শপিংমলে গেলে পোশাকের অনেক দাম রাখা হয়। বাস গাড়ি চালিয়ে যে টাকা রোজগার হয়, তা দিয়ে দামি পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই। তাই বাচ্চাদের নিয়ে এসে ফুটপাত থেকে পছন্দের পোশাক কিনেছি।
বিক্রেতারা জানান, নারীদের কাছে লেহেঙ্গা, থ্রি-পিস, পালাজো, টাইপের সিল্ক ও সুতি কাপড়ের জামাগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। কাটওয়ার্ক, এমব্রয়ডারি, চুমকিসহ হাতের কাজের জামারও অনেক চাহিদা রয়েছে। পুরুষদের মধ্যে পাঞ্জাবি, শার্ট এবং পোলো শার্টের পাশাপাশি টি-শার্ট, ফতোয়ার চাহিদা বেশি। ঈদের দুদিন পর বাংলা নববর্ষ হওয়ায় ঈদ এবং বৈশাখের উৎসব একসঙ্গে উদযাপনের লক্ষ্যে দেশীয় ধাঁচের সাদা, লাল, সবুজ রঙের জামা কিনতে নিজের রুচিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন অনেক ক্রেতা।
বারী প্লাজা মার্কেটের ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভালো বেচাকেনা হচ্ছে।’ দাম বেশি রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডলারের দাম, বিদ্যুৎ বিল, কাঁচামালের দাম থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাকের দামও বেড়েছে।’
স্টেশনরোড এলাকার ফুটপাতে পোশাক বিক্রি করেন যুবক ফাহিম। তিনি বলেন, ‘মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত লোকজনের ভরসা হয়ে উঠেছে ফুটপাতের দোকান। তারা কম টাকার মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনছেন। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই খুশি।’