![ঈদ বাজারে বৃষ্টির বাগড়া, তবু চলছে বিকিকিনি](uploads/2024/04/05/1712287711.Sylhet-Eid-Shopping.jpg)
সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার। এখানে রয়েছে বিভিন্ন নামিদামি পোশাকের শোরুম থেকে শুরু করে ছোটোখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাই বিভিন্ন উৎসবে এখানে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সবাই কেনাকাটা করেন। সব শ্রেণির মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় জিন্দাবাজার। সাধারণত ১০ রোজার পর থেকে সিলেটে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়। আর ১৫ থেকে ২০ রোজার পরই মার্কেট, শপিংমলগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দিনে তুলনামূলক ভিড় কম থাকলে ইফতারির পর থেকে ক্রেতা সমাগম বাড়তে থাকে ঈদবাজারে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলতে থাকে বেচাকেনা।
গত মঙ্গলবার ২২ রমজানে সিলেটের জিন্দাবাজারের বিপণিবিতান, মার্কেট, শপিংমলগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ের পরিমাণও বাড়ে। গত বছর রমজানের এমন সময় মার্কেটের পরিস্থিতি ছিল ঠিক একই রকম।
তবে হঠাৎ বৃষ্টির আগমনে এবারের ঈদের কেনাকাটায় কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। গত শনিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই রাতে কোনো না কোনো সময় বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঈদের কেনাকাটায় কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ক্রেতা সাধারণের। তবে সার্বিকভাবে এর প্রভাব ঈদ বাজারে খুব একটা পড়েনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। তখনো জিন্দাবাজারের মার্কেট, শপিংমলগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ওই এলাকার ব্ল ওয়াটার শপিংমল, কাজী ম্যানশন, সিটি সেন্টার, শ্যামলী মার্কেট, ফেডারেল, আল-হামরা শপিং কমপ্লেক্স, মিলেনিয়াম টাওয়ার, ওয়েস্ট ওয়ার্ডসহ ছোট-বড় সব দোকানে ছিল ক্রেতাদের ভিড়।
কেনাকাটা করতে আসা নগরীর জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা তাবাসসুম মিম বলেন, ‘মার্কেটগুলোতে অনেক ভিড়। তার ওপর যখন বৃষ্টি শুরু হয় তখন মার্কেটে দাঁড়ানোরই সুযোগ পাওয়া যায় না। জিন্দাবাজারে শপিং শেষ করে এখন নয়াসড়কের আরেকটি শোরুমে যাব। কিন্তু বৃষ্টির জন্য আটকে গেছি। বৃষ্টি কমলেই চলে যাব ওইখানে।’
নগরীর জিন্দাবাজারে ছেলেদের পোশাকের দোকান রিয়েল টাচ। এই দোকানের পরিচালক উৎপল রায় বলেন, ‘সারা বছর আমরা ব্যবসায়ীরা এই ঈদের জন্য অপেক্ষা করি। কারণ রোজার ঈদেই ভালো ব্যবসা হয়। এবারও বিক্রি অনেক ভালো হচ্ছে। ১০ রোজার পর থেকেই বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। চাঁদরাত পর্যন্ত আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।