রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ফলে আগের দিন বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে ময়মনসিংহ শহরের বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। তবে ফুটপাতের বেচাকেনা সবচেয়ে তুঙ্গে। ফুটপাতে এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, এক মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগছে আধাঘণ্টারও বেশি। ঈদের আগের দিন ক্রেতা বেশি পেয়ে খুশি ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
এদিন বিকেলে শহরের গাঙ্গিনারপাড় এলাকার ফুটপাত থেকে বাচ্চার জন্য টি-শার্ট ও প্যান্ট কিনছিলেন ফারজানা খাতুন। এ সময় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘একটি এনজিওতে চাকরি করি। ফুটপাতের অনেক জামা বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে দামও কয়েকগুণ বেশি। তাই কম দামে ফুটপাত থেকে বাচ্চার টি-শার্ট ও প্যান্ট কিনছি।’
নুরুল হক নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, ‘ফুটপাতে জামাকাপড়, জুতা, টুপি, আতর, কসমেটিকসসহ সব ধরনের পণ্য অনেক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তাই পরিবারের সবার জন্য ফুটপাত থেকেই কেনাকাটা করেছি।’
ঈদের আগ মুহূর্তে কয়েকগুণ বেশি কেনাবেচা বেড়েছে জানিয়ে ফুটপাতের ব্যবসায়ী জয়নুল মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা ন্যায্য দামে সবকিছু বিক্রি করছি। ফলে আমাদের ওপর ক্রেতাদের আস্থা বেশি। শুধু যে নিম্ন আয়ের লোকজনই ফুটপাতে কেনাকাটা করছে তা নয়, অনেক মধ্যবিত্ত ও স্বচ্ছল ব্যক্তিরাও আমাদের কাছ থেকে পছন্দের পোশাক কিনছেন।’
তিনি বলেন, ‘ঈদের আগমুহূর্তে চোর আতঙ্ক বেড়েছে। চোরেরা সুযোগ পেলেই ক্রেতাদের মোবাইল, মানিব্যাগ কিংবা স্বর্ণের চেইন নিতে চেষ্টা করছে। বিকেলে এক ক্রেতার মানিব্যাগ নেওয়ার সময় চোরকে হাতেনাতে ধরতে দৌড়ানোও হয়েছে। কিন্তু ধরা সম্ভব হয়নি। পুলিশের আরও সজাগ দৃষ্টি প্রয়োজন।’
একই এলাকায় নুরুজাহান মার্কেটের ব্যবসায়ী স্বপন মন্ডল বলেন, ‘আমাদের শোরুমেও ক্রেতাদের সংখ্যা আগের কয়েকদিনের চেয়ে বেড়েছে। তবে শোরুমে প্রবেশের আগে সব ক্রেতা ফুটপাত হয়েই আসে। তখনই অনেক ক্রেতা ফুটপাত থেকে পছন্দের জিনিস কেনেন। এ ছাড়া নিম্নআয়ের লোকজন বেশি থাকায় কেনাকাটা বেড়েছে ফুটপাতে।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের টাকা কিংবা জিনিসপত্র চুরি-ছিনতাইমুক্ত করতে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই। পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি, আনন্দের সঙ্গেই ঈদের কেনাকাটা শেষ হবে।’
মিন্টু/সালমান/