![লুট করা ১৪ অস্ত্র ফেরত দেওয়ার আহ্বান](uploads/2024/05/10/858598-1715359018.jpg)
লুট করা ১৪ অস্ত্র ফেরত দিতে কেএনএফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতারা। শুক্রবার (১০ মে) ২২ মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় তারা এই আহ্বান জানান। ভিডিওটি সম্পূর্ণ বম ভাষায় দেওয়া।
ভিডিও বার্তায় কুকি-চিন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রেভা. লালজার লম বম বলেন, আজ আমরা কেএনএ/কেএনএফ নেতাদের কিছু কথা বলার এবং অনুরোধ করার জন্য এখানে সমবেত হয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে কেএনএফ/কেএনএ সংগঠনের সঙ্গে সরকারের যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটি আজকের ঘটনা নয়। এটি গত ২০২২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। তখন আমরা এ কমিটির দায়িত্বে ছিলাম না।
তিনি আরও বলেন, গত ২-৩ এপ্রিল রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা এবং তার পরবর্তীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বম গ্রামগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধ ছাড়া সকলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি প্রাণ বাঁচাতে অনেক বম সম্প্রদায়ের মানুষ দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন। এ ছাড়া পাহাড়ে বসবাসকারী বম সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে চরম খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। যেখানে আম, আনারস ফলমূল বিক্রি করে বমদের কোটি টাকা রোজগার করার কথা। সেখানে বম সম্প্রদায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেকে বনে জঙ্গলে পালিয়ে থেকে কলাগাছ খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। বম সমাজ আজ যে চরম দুর্বিষহ দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছে, তা সরকারের ভাষ্য মতে ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ায় হয়েছে। আমাদের বম জাতিরা আজ যে দুর্বিষহ দিন পার করছেন, তার কারণ ব্যাংক ডাকাতি ও সরকারের অস্ত্র লুট করার কারণে। সরকারের অনুরোধে বা নির্দেশনায় আমরা এখানে সমবেত হতে আসিনি। বরং সাধারণ বম সমাজের আহ্বানে ও সাধারণ মানুষের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। সকল বম সম্প্রদায়ের মানুষের একমাত্র দাবি হলো, এই ব্যাংক ডাকাতির সময়ে লুট করে নেওয়া অস্ত্রসমূহ যতদ্রুত সম্ভব যেন ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। পাহাড়ে এখন জুম চাষের মৌসুম। জুমে বা কাজে গেলে কখন তাদের গায়ে গুলি লাগবে, এই ভয়ে কেউ জুমের কাজে যেতে পারছে না। সরকারের সঙ্গে অতীতের মতো যেন আমাদের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, এই জন্য সকল বম সম্প্রদায়ের পক্ষ হয়ে অনুরোধ করছি, লুট করে নেওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত দেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প পথ নেই।
ভিডিও বার্তা দেওয়ার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক লাল থাং জুয়াল বম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল বম, রুমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থাং খাম লিয়ান বমসহ বম সোশ্যাল কাউন্সিলের ১০-১৫ জন নেতা।
এমএ/