![ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন কাদের মির্জা](uploads/2024/05/16/Quader Mirza & shahadatkk-1715873452.jpg)
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় আপন ছোট ভাই মো. শাহদাত হোসেনকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলের আনারস মার্কার সমর্থনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কাদের মির্জা এ কথা বলেন।
তারা দুজনই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।
‘কুলাঙ্গার’ ছাড়াও এই শাহাদাত হোসেন তার ভাই নন বলেও মন্তব্য করেন কাদের মির্জা। তার বক্তব্যটি স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক তাদের ফেসবুক লাইভে প্রচার করেন। কাদের মির্জার ওই বক্তব্য নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
শাহাদাত হোসেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীকে লড়ছেন। এর আগে হলফনামায় মামলার তথ্য না দেওয়ায় এবং আয়-ব্যয়ের বিবরণী না থাকায় প্রথমে যাচাই-বাছাইয়ে পরবর্তী সময়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট করে প্রার্থিতা ফিরে পান। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আজ ওবায়দুল কাদের ঘুমাতে পারেন না, একটা ছেলের জন্য। সে আমার ভাই নয়, ওবায়দুল কাদেরের ভাই নয়। ওবায়দুল কাদের সাহেব স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন, কোনো মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়স্বজন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। এই কুলাঙ্গার শাহাদাত আমাদের ভাই নয়। তার কারণে আজ ওবায়দুল কাদের অসহায়, সাংবাদিকদের সামনে গেলে চেহারা কালো হয়ে যায়। শেখ হাসিনার কাছে জবাব দিতে পারেন না।
কাদের মির্জা আরও বলেন, সে (শাহাদাত) আজ কোর্টে কোর্টে ঘুরছে। কাদের ইঙ্গিতে এ ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেটা এক দিন প্রকাশ হবে। ওবায়দুল কাদেরের ইজ্জত যে ছেলে নষ্ট করে, সে ছেলে যদি ভোটে আসে, তাকে কী ভোট দেওয়া যায়?...না। আল্লাহর গজব পড়বে এই ছেলের ওপর।
ছোট ভাইয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, একটা সালিশ তার জন্য করতে পারি না পৌরসভায়। সালিশে রায় দিলে যে হেরে যায়, সে তার পক্ষ নেয়। সালিশ বাস্তবায়ন করতে পারি না এই ছেলের কারণে। এই ছেলেকে ঘৃণাভরে যদি প্রত্যাখ্যান না করেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যদি মারাও যান, তার আত্মা শান্তি পাবে না।