![উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ১২১ (আপডেট)](uploads/2024/07/02/India-1719935256.jpg)
ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জেলার সিকান্দ্রা রাউ এলাকায় বিশেষভাবে স্থাপিত তাঁবুতে এক ধর্মপ্রচারক তার অনুসারীদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বের হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এ পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় পুলিশের তথ্যানুসারে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ধর্মীয় সভায় উপস্থিত লোকজন প্রচণ্ড গরমের মধ্য়ে সমস্যায় পড়েন। এরপর দৌড়াদৌড়ি শুরু করলে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের সময় প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্রতা ছিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ‘এটি ছিল ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবার সৎসঙ্গ সভা। মঙ্গলবার বিকেলে এটাহ ও হাথরাস জেলার সীমান্তে এই ধর্মীয় সভায় জমায়েত হওয়ার জন্য সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়।’
হাথরসের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিস কুমার বলেন, জেলা প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে। আহতদের উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চলছে। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি জানান, ঘটনাস্থলে ওই ধর্মীয় প্রচারকের অনুগামীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেরিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় ছিল না। সবাই একসঙ্গে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। আমি যখন বের হওয়ার চেষ্টা করি, তখন বাইরে মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থাকায় আমার পথ আটকে যায়। অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
উত্তর প্রদেশের এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদি মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তর প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ। মোদি হতাহতদের সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, প্রশাসন উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে।
এ ছাড়া তিনি প্রত্যেক নিহতের স্বজনদের জন্য ২ লাখ রুপি ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ হাথরাস জেলা ও এর আশপাশের কর্মকর্তাদের উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পুলিশকে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে দক্ষিণ ভারতের কেরালায় একটি মন্দিরে হিন্দু নববর্ষ উদযাপনের সময় আতশবাজির ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া মধ্যপ্রদেশে ২০১৩ সালে একটি মন্দিরের কাছে সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই সময় সেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল। ২০০৮ সালেও রাজস্থানের যোধপুরে পদদলিত হয়ে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, আনন্দবাজার পত্রিকা, টাইমস অব ইন্ডিয়া