ঢাকা ২০ আষাঢ় ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

শিশু অধিকার সনদের ঐচ্ছিক প্রোটোকল-৩ স্বাক্ষরে প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম
শিশু অধিকার সনদের ঐচ্ছিক প্রোটোকল-৩ স্বাক্ষরে প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ
ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের ঐচ্ছিক প্রোটোকল-৩ স্বাক্ষরে সরকার ও উন্নয়ন সহযোগিদের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন আইনপ্রণেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, শিশু অধিকার সুরক্ষায় সরকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ববাহক। প্রোটকল-৩ স্বাক্ষরে করলে অধিকার লংঘন, সহিংসতা ও শোষণের শিকার কোন শিশু ন্যায় বিচার না পেলে সে বা তার সমর্থনকারি জাতিসংঘে অভিযোগ করেতে পারবে। ফলে আন্তর্জাতিকভাবে বিষয়টির সুরাহা নিশ্চিত হবে, যার মাধ্যমে শিশু অধিকার সুরক্ষিত হবে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) পার্লামেন্ট মেম্বার ক্লাবে ‘সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শিশু অধিকার ও এর ঐচ্ছিক প্রোটোকল বিষয়ে জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন তারা। 

আর্টিকেল নাইনটিন ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন আর্টিকেল নাইনটিনের রিজওনাল ডিরেক্টর শেখ মঞ্জুর-ই আলম। আলোচনায় অংশ নেন শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সহ-সভাপতি অ্যারমা দত্ত, পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি এস এম শাহজাদা, খুলনা-৬ আসনের এমপি মোহাম্মদ রশীদুজাম্মান, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিন, রুমা চক্রবর্তী ও অনিমা মুক্তি গমেজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ড. জামিল আহমেদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, প্লান ইন্টারন্যাশনালের রিজিওনাল অ্যাডভাইজার আমিনা খাতুন মনি ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক উম্মে হুসনা শবনম খানম এবং আর্টিকেল নাইনটিনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মরিয়ম শেলি ও প্রোগ্রাম অফিসার সালমা পারভীন।  

আলোচনায় অংশ নিয়ে এমপি আরমা দত্ত বলেন, সংবিধানে শিশু অধিকার সুরক্ষায় বিষয়টি যুক্ত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীতে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি কার্যকরভাবে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার আন্তরিক। এই অবস্থায় প্রোটোকল-৩ স্বাক্ষর ও তা কার্যকর করতে সরকারের পাশাপাশি ইউনিসেফ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উন্নয়ন সংস্থাকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

এমপি এস এম শাহজাদা বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্কুলের বাচ্চাদের বিস্কুট খেয়ে বলেছিলেন- এই খাবার শিশুরা কিভাবে খাবে? বিস্কুটে চকলেট ফ্লেভার যোগ করতে নির্দেশ দেন। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিশু অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে গেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিশুশ্রম বন্ধ ও পড়াশোনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পিতা-মাতাদের সচেতন করতে ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকার দরিদ্র পরিবারকে ২০ লাখ মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছে। শিশুদের ডিজিটাল ডিভাইসের আসক্তি কমাতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।  

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও এমপি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান- এই মৌলিক অধিকার আমরা সকল শিশুকে দিতে পারিনি। শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগ সরকার শিশু অধিকার আইন ও সুরক্ষা বিষয়ে যথেষ্ট কাজ করেছে। নিশ্চয়ই আগামী দিনে প্রোটোকল-৩ স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ। 

সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিশু ও নারীদের প্রতি সংবেদনশীল। তাদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের জায়গা থেকে আমরা অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। অর্থনেতিক কারণে সকল শিশুকে আমরা এক জায়গায় নিয়ে আসতে পারছি না। এই অবস্থা পরিবর্তনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শফিক/এমএ/

৮ জেলায় বন্যার পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৩০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৩০ পিএম
৮ জেলায় বন্যার পরিস্থিতির অবনতি
ছবি : খবরের কাগজ

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানির কারণে সিলেট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও ফেনীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন এসব জেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বানভাসি মানুষের সংখ্যা। পাশাপাশি আশ্রয়, খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে দুর্গত এলাকার মানুষ।

আমাদের সিলেট ব্যুরো ও প্রতিনিধিরা জানান-

সিলেট ব্যুরো: সিলেটে ধীরগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ-নদীর পানি। তবে বিভিন্ন উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীবেষ্টিত উপজেলাগুলোর নতুন এলাকা বেশি প্লাবিত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ছয় স্থানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সিলেটে গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। একই সময় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

সিলেট জেলা প্রশাসন জানায়, ১ হাজার ১৬০টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে ৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৯৩ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত রয়েছে। জেলায় ৬৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৮ হাজার ৯৫১ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি 

কুড়িগ্রামে বেড়েই চলছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি। এর ফলে বৃহসপতিবার উলিপুর, সদর, নাগেশ্বরী উপজেলার বেশ কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এতে নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত পাঁচ হাজার পরিবারের মানুষ। এ নিয়ে জেলায় বন্যায় আক্রান্ত রয়েছে ১৫ হাজার পরিবারের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালাডোবার মানুষ। বন্যাকবলিতদের অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। তবে তাদের মাঝে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আরও দুই থেকে তিন দিন ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ কারণে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে। 

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বানভাসিদের মধ্যে শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। 

ফেনীতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। দুই উপজেলার এখনো অন্তত দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। এদিকে বসতবাড়ি থেকে পানি নামলেও তলিয়ে আছে ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট। অন্যদিকে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ফুটে উঠছে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য।

গতকাল বুধবার রাতে সিলোনিয়া নদীতে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন। এর আগে গত সোমবার রাতে ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর আটটি স্থান ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজীর ২৮ গ্রাম প্লাবিত হয়।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। পানি কমলে ভাঙনস্থলের মেরামতকাজ শুরু হবে।

গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

গাইবান্ধায় জেলার সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নদী-তীরবর্তী কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখঘাট পয়েন্ট, ঘাঘটের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্ট, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ও তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানিয়েছেন, নদ-নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বাড়লেও আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। 

সিরাজগঞ্জে ৪০টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ

সিরাজগঞ্জে যমুনা করতোয়া, হুরাসাগরসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এদিকে যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে কাজীপুর, জেলা সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে বন্যা-আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়া পানির তীব্র স্রোতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ও কৈজুরী দুটি ইউনিয়নে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ফলে নদীতীরের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, আরও কয়েক দিন যমুনা নদীর পানি বাড়বে। এতে করে ছোট থেকে মাঝারি বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

টাঙ্গাইলে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের নিচু এলাকা

টাঙ্গাইলের সব কয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তার মধ্যে ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে নদী-তীরবর্তী চরাঞ্চলের নিচু এলাকা। এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে কয়েকটি উপজেলায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

নেত্রকোনার শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন

১০ দিন পর পুনরায় বন্যার ঝুঁকিতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জ, বারহাট্টা, সদর ও খালিয়াজুরী উপজেলার মানুষ। এর ফলে এসব উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। কোথাও কোথাও সড়ক তলিয়ে গিয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান জানান, প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বেড়ে গেছে। 

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ জানান, শুকনো খাবার, ওষুধ বরাদ্দ করা হয়েছে। ৮৫টি মেডিকেল টিম দুর্গত এলাকায় কাজ করছে।

জামালপুরে পানিবন্দি ১০ হাজার 

জামালপুরে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিঞ্জিরামসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বন্যার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগও বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের ৩০ মিটার অংশ বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। এ ছাড়া একই উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কে একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ভেসে যাওয়ায় খোলাবাড়ি ও গাইবান্ধা জেলার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। 

এক মাসের মধ্যে মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়ছে না

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
এক মাসের মধ্যে মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়ছে না
ছবি : সংগৃহীত

মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে জানাবে কীভাবে মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ভ্যাট বসানো হবে। এতে করে আগামী এক মাসের মধ্যে ভাড়া বাড়ছে না মেট্রোরেলের। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বেলা আড়াইটায় সভা হয় এনবিআর ও ডিএমটিসিএলের মাঝে। জানা যায়, মূলত এই সভা ছিল মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ভ্যাট আরোপ কীভাবে করা হবে- তা নিয়ে। 

এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা আজ এনবিআরের সঙ্গে যে বৈঠক করেছি, তাতে মেট্রোরেলের ভাড়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এনবিআর ও মেট্রোরেল সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এক মাসের মধ্যে জানাবে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট কীভাবে ইনক্লুড করা যায়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সড়ক বিভাগ বা ডিএমটিসিএল কিন্তু কখনো বলিনি এনবিআরকে ভ্যাট দেব না। আমরা ভ্যাট দিতে চাই, তবে এ ভ্যাট ইনক্লুড করার পর যাত্রীসাধারণের ওপর যেন চাপ না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব বিষয় নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে আজ।’ 

এর আগে সোমবার থেকেই মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট যুক্ত হয়েছে। সেই অনুযায়ী সেদিন থেকেই মেট্রোরেলের টিকিটের মূল্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ অর্থ দেওয়ার কথা যাত্রীদের। তবে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল এনবিআর চিঠি দিয়ে ডিএমটিসিএলকে জানায়, জুলাই থেকে মেট্রোরেলের সেবা ও টিকিটে মূসক পরিশোধ করতে হবে। এরপর ডিএমটিসিএলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন মেট্রোরেলে ভ্যাট না বসানোর অনুরোধ করে। মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট মওকুফের সময়সীমা ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ওই সুবিধা দিচ্ছে এনবিআর। 

মূলত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ট্রেনের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ আছে। একইভাবে মেট্রোরেলের ভাড়া থেকেও ভ্যাট আদায় করতে কঠোর অবস্থানে আছে এনবিআর। যাত্রীদের বিদ্যমান ভাড়া থেকেই ভ্যাট পরিশোধ করতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। ভ্যাট পরিশোধের পর বাকি টাকা পাবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বর্তমান ভাড়ার সঙ্গে ভ্যাট যোগ করে এখনই ভাড়া বাড়াতে রাজি না ডিএমটিসিএল। এ ক্ষেত্রে তারা ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ আরও বাড়িয়ে যা ভাড়া আছে তাই রাখতে আগ্রহী। 

এদিকে মেট্রোরেলের টিকিটের বর্তমান ভাড়া থেকে ভ্যাট হিসেবে টাকা কেটে সেটা এনবিআরকে দিলে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের আয় কমে যাবে বলে এ সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের একাধিক কর্মকর্তা। হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান ভাড়ার সঙ্গে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট যোগ করা হলে যাত্রীদের ১০০ টাকার টিকিটের দাম বেড়ে হবে ১১৫ টাকা। অন্যদিকে ভ্যাটের টাকা যাত্রীর বর্তমান ভাড়া থেকে কেটে নেওয়ারও আইনি সুযোগ আছে। ১০০ টাকার টিকিট থেকে ১৫ টাকা এনবিআরকে দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে ভাড়া না বাড়লেও মেট্রোরেলের আয় কমবে।

সপ্তাহে দুই দিন ঢাকায়, বাকি সময় সারা দেশ ঘুরবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
সপ্তাহে দুই দিন ঢাকায়, বাকি সময় সারা দেশ ঘুরবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন নিজের কাজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার ঢাকা থাকব আর বাকি দিনগুলো সারা দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা পরিদর্শন করব। জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে উন্নত করতে পারলে এবং সেখানে রোগীর যথাযথ চিকিৎসা হলে ঢাকা শহরে রোগীদের ভিড় হবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। শৈশব থেকেই যদি আমরা তাদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে পারি, নিঃসন্দেহে তারা ভবিষ্যতে দেশের কাণ্ডারি হবে।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সাসাকাওয়া অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. বেগম রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে আইসিডিডিআরবির কাজ প্রশংসনীয়। শিশুরা যে পরিবেশে বেড়ে উঠছে তা বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

আইসিডিডিআরবির মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের (এমসিএইচডি) ইমেরিটাস বিজ্ঞানী ড. জেনা দেরাখশানি হামাদানি বলেন, ‘সরকার আইসিডিডিআরবির সঙ্গে অংশীদারত্বে ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার অধীনে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শৈশব বিকাশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর উদ্দেশ্য অভিভাবকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানো এবং শিশুর সামগ্রিক বিকাশ সম্পর্কে প্রচার করা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় আশা করি, আমরা দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিকে কার্যক্রমটি কার্যকরভাবে সম্প্রসারণ করতে পারব এবং একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করতে পারব।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিশেষ করে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের নিচের প্রায় ২৫ কোটি শিশু দারিদ্র্য, পুষ্টিহীনতা এবং অপর্যাপ্ত অভিভাবকত্ব দক্ষতার কারণে তাদের সম্পূর্ণ বিকাশের সম্ভাবনা অর্জনে ব্যর্থ হয়। শিশুদের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি প্রাথমিক শৈশব উদ্দীপনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রচার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ডিজিএইচএসের বিভিন্ন লাইন ডিরেক্টর, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং শিশু বিকাশ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ অনেকে।

ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা দুদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা দুদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে: প্রধানমন্ত্রী
ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, ‘তারা উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। উভয় দেশের অর্থনীতিই এই শ্রমশক্তির দ্বারা উপকৃত হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আল-বুলুশি বলেন, ‘প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি জনশক্তি আমাদের শ্রমবাজারে কাজ করছে। আমরা শ্রমের চাহিদা পূরণের জন্য পর্যায়ক্রমে শ্রমবাজার পর্যালোচনা করি। সেই পর্যালোচনার ভিত্তিতে কখনো কখনো আমরা দেশগুলোতে স্থগিতাদেশ দিয়ে থাকি। বিধিনিষেধের উপায় দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের ওপর ব্যাপক ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আসলে কিন্তু তেমন নয়। জনশক্তি ভিসা ছাড়া বাকি সব ভিসা যেমন ফ্যামিলি ও ট্যুরিস্ট ভিসা খোলা আছে। বাংলাদেশিদের জন্য ওমানের ১০টি ক্যাটাগরির ভিসা এখন উন্মুক্ত।’ 

সার আমদানির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, তার সরকার ব্যবস্থাটি জি-টু-জি ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখবে।’

এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার সরকারের কাছে একটি অনুরোধপত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা বাড়াতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিস্তিয়াগা ওচোয়া ডি চিনচেত্রু সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্প্যানিশ বিনিয়োগকারীদের সেখানে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে স্পেনের সমর্থন চান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান বলেন, বৈঠকে জানানো হয় যে, দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব চুক্তির জন্য আলোচনা হবে, যা আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হবে। স্পেনে বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করে। প্রধানমন্ত্রী স্পেনের প্রতি বিশেষ করে আইটি খাত থেকে আরও বেশি বাংলাদেশি নেওয়ার আহ্বান জানান।

স্পেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বর্তমানে তার দেশ বাংলাদেশ থেকে শুধু তৈরি পোশাক (আরএমজি) আমদানি করে এবং বাংলাদেশের সিমেন্ট খাতে স্পেনের বিনিয়োগ রয়েছে। তিনি চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সরকার শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীকে গুরুত্ব দিয়েছে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে আপনার বর্ধিত আগ্রহ ও বরাদ্দ আমাদের দেশের সঙ্গেও মিলেছে।’ 

রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তাকে স্পেন সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পেনের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বাসস

অধ্যক্ষের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় যেতে চাঁদা চেয়ে নোটিশ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম
অধ্যক্ষের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় যেতে চাঁদা চেয়ে নোটিশ
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মোহসীন কবীরের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলক চাঁদা চেয়ে নোটিশ দিয়েছেন কলেজের প্রধান সহকারী।

এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ এখন ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 

শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর বেইলী রোডের অফিসার্স ক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কলেজটির কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলক ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

২৪ জুনের ওই নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী ১২ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর বেইলী রোডস্থ অফিসার্স ক্লাবে মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয়ের পুত্রের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত আয়োজনে আপনি নিমন্ত্রিত। এ উপলক্ষ্যে সকল কর্মচারীকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে ৫০০ টাকা কলেজের ক্যাশ সরকার মো. আবুল হোসেনের নিকট আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে জমাদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।

এবিষয়ে প্রধান সহকারী মামুনকে কল দেওয়া হলে তিনি খবরের কাগজ প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেননি। 

এবিষয়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মোহসীন কবীর খবরের কাগজেকে বলেন, আপনার কী মনে হয় কেউ কাউকে দাওয়াত দিয়ে উপহায় চায়। সে এটা কেন করেছে জানিনা। আমি তাদের বলেছি আপনারা এমনি আসবেন আনন্দ করবেন, কোন উপহার আনবেন না। তাকে আমি চার্জ করার পর তিনি জানালেন, তারা কারো বিয়েতে গেলে এভাবে উপহার নিয়ে যায়, এর আগেও করেছে। এখন আমি বিব্রত, মানুষের উপহাস দেখা ছাড়া আর কী করবো।