ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৯:৫৭ এএম
আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ০৯:৫৭ এএম
ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মাইঝকান্দিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা/ গত শুক্রবার তোলা// খবরের কাগজ

এক সময় গ্রামের মানুষের চিত্তবিনোদনের সুযোগ করে দিত ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। কিন্তু শহরের হাওয়া গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। তাই এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। নির্মল চিত্তবিনোদন ভাগাভাগি করতে সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মাইঝকান্দিতে গ্রামবাসী এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ঘোড়দৌড় দেখতে ভিড় করে হাজারো মানুষ। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নগদ অর্থ।

মাইঝকান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের বিনোদন দিতে গত শুক্রবার বিকেলে জেলার সদর উপজেলার মাঠে আয়োজন করা হয় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। এতে নড়াইল, মাদারীপুর, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ থেকে সাতটি ঘোড়া অংশ নেয়। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ঘোড়াগুলো। দৌড় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠের চারদিকে হাজারো দর্শকের উচ্ছ্বসিত আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। তারা করতালি দিয়ে এ প্রতিযোগিতার অনাবিল আনন্দ উপভোগ করেন। এ যেন চিরায়ত বাঙালির চিরচেনা মিলনমেলা।

এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে তীব্র গরম উপেক্ষা করে দুপুর থেকেই মাঠে ভিড় করেন নানান বয়সের দর্শনার্থীরা। জেলার আশপাশের এলাকার শিশু ও নারীসহ হাজার হাজার দর্শনার্থী পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন মাঠে। উপভোগ করেন ঘোড়ার দৌড়। এ ছাড়াও এ মাঠে আয়োজন করা হয় গ্রামীণ মেলা। মেলায় নানা ধরনের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা।

এর আগে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার সদর উপজেলার নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান শিপন বিশ্বাস সুশীল। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সব ঘোড়ার মালিকের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।

ঘোড়াদৌড়ে অংশ নেওয়া দিবাকর ভৌমিক বলেন, ‘ঘোড়দৌড় হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতা। দর্শকদের আনন্দ দিতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে নিজের ঘোড়া নিয়ে প্রতিযোগিতায় এসেছি। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া হাফিজ মিয়া বলেন ‘বংশপরম্পরায় আমি ঘোড়দৌড়ে অংশ নেই। আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া এলাকার মানুষও আনন্দ পাচ্ছে। পুরস্কার পাওয়ার জন্য নয় বরং মানুষকে আনন্দ দিতেই আমি এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেই।

ঘোড়দৌড় দেখতে আসা স্বপন বিশ্বাস (৬০) বলেন, ‘আগের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ছিল দেখার মতো। এখন আর আগের মতো হয় না। তারপরেও এখানে ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, দেখে খুব ভালো লাগল।’

স্কুলছাত্রী রুপা বলেন, ‘এখানে অনুষ্ঠিত হবে শুনে এবারই প্রথম ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে আসলাম। মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এসেছি। ঘোড়দৌড় দেখে খুব ভালো লাগছে। আগামীতেও এমন আয়োজন দেখতে চাই।’

দর্শনার্থী গোবিন্দচন্দ্র বলেন, ‘ঘোড়দৌড় বাংলার একটি ঐতিহ্য, এটা ধরে রাখা দরকার। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি চাই, প্রতিবছর যেন এখানে ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।’ 

স্থানীয় অশোক পোদ্দার বলেন, ‘এমন আয়োজন করায় আমি আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই। এখন এসব প্রতিযোগিতা হারিয়ে যাচ্ছে। আশা করি আগামীতেও এমন আয়োজন করা হবে।’ 

সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শিপন বিশ্বাস বলেন, ‘কালক্রমে আমাদের দেশ থেকে ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। মনের শান্তি ও প্রশান্তির জন্য এসব খেলাগুলো ধরে রাখা উচিত। আমরা চাই গ্রাম বাংলায় এসব ঐতিহ্য আবারও ফিরে আসুক। আমাদের ঐহিত্য ধরে রাখতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতে গ্রাম বাংলার এসব ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো ধরে রাখতে আমার পক্ষ থেকে সব সময় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

ঝিনাইদহে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
ঝিনাইদহে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
ফাইল ছবি

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে নিখোঁজের একদিন পর সিয়াম (১৪) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে উপজেলার শিতলী গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

সিয়াম কালীগঞ্জ উপজেলার পারখিদ্দি গ্রামের সায়িম রেজার ছেলে ও শিতলী রোকেয়া খাতুন নুরানী মাদ্রাসার ছাত্র।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সিয়ামসহ ৩ ছাত্র মাদ্রাসার পাশ্ববর্তী একটি পুকুরে গোসল করতে নামে। গোসল শেষে দুই ছাত্র ফিরে আসলেও সিয়াম আর ফিরে আসেনি। এরপর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে। 

শনিবার সকালে শিতলী গ্রামের ওই পুকুরে সিয়ামের মরদেহ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান সিয়ামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’

মাহফুজুর/ইসরাত চৈতী/

গোপালগঞ্জে কন্দাল চাষে আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
গোপালগঞ্জে কন্দাল চাষে আগ্রহ বাড়ছে
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি কন্দাল গাছ। ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে কন্দাল জাতীয় ফসল চাষাবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। চলতি বছর সদর উপজেলায় প্রায় ২০৬ হেক্টর জমিতে এসব ফসলের আবাদ হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব ফসল চাষে কীটনাশক ব্যবহার হয় না। এ ছাড়া এসবে প্রচুর পরিমাণ খনিজ ও ভিটামিনের উপাদান রয়েছে। খাবার হিসেবে ফসলগুলো মানবদেহের জন্য অন্তত নিরাপদ। কন্দাল জাতীয় ফসলগুলোর মধ্যে রয়েছে, গোল আলু, মিষ্টি আলু, পানিকচু, লতিকচু, ওলকচু, মুখিকচু ও গাছ আলু। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজ আক্তার বলেন, ‘২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সদর উপজেলায় ৯০ হেক্টরে গোলা আলু, ১১ হেক্টরে মিষ্টি আলু, ৯২ হেক্টরে পানিকচু ও লতিকচু, দুই হেক্টরে মাদ্রাজি ওলকচু, ৮ হেক্টরে বিলাসী মুখিকচু, তিন হেক্টরে স্থানীয় জাতের গাছ আলুর আবাদ হয়েছে। সব মিলিয়ে এই উপজেলায় মোট ২০৬ হেক্টর জমিতে এসব ফসলের আবাদ হয়ছে।’

গোল আলু হেক্টরে ২২ দশমিক ৬৯ টন ফলন হয়েছে। ৯০ হেক্টরে এই আলু ২ হাজার ৪২ টন ১০ কেজি ফলন দিয়েছিল। ১ হেক্টরে উৎপাদিত আলু বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ টাকা। আলু উৎপাদনে হেক্টরপ্রতি ৩ লাখ ৩ হাজার ৮০০ টাকা খরচ হয়েছে। এতে কৃষকের প্রতি হেক্টরে লাভ হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মিষ্টি আলু প্রতি হেক্টরে ২৯ টন ৭৫ কেজি ফলেছে। ওই হিসাবে ১১ হেক্টরে ৩২৭ টন ২৫ কেজি মিষ্টি আলু ফলন হয়েছে। যার মূল্য ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা। চাষে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা। কৃষকের ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। পানিকচু ও লতিকচু হেক্টরে ৪২ টন ২৫ কেজি ফলন হয়েছে। ৯২ হেক্টরে ৩ হাজার ৮৮৭ টন কচু উৎপাদন হয়েছে। বিক্রি হয়েছে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ২০০ টাকা। উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ৮ লাখ ৫৬ হাজার ২০০ টাকা। লাভ হয়েছে ২ লাখ টাকা। ওলকচু প্রতি হেক্টরে ৩৫ টন ২ কেজি ফলন হয়েছে। ২ হেক্টরে ওলকচু ফলেছে ৭০ টন ৪০ কেজি। ১ হেক্টরে উৎপাদিত ওলকচু বিক্রি হয়েছে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা। খরচ হয়েছে ৯ লাখ ১৬ হাজার ৪০০ টাকা। কৃষক লাভ করেছেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। মুখিকচু হেক্টরে ২২ টন ফলন হয়েছে। ৮ হেক্টরে কচু ফলেছে ১৭৬ টন। প্রতি হেক্টর চাষে ব্যয় হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বিক্রি হয়েছে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। খরচ বাদে লাভ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গাছ আলু প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ২০ টন। ৩ হেক্টরে ৬০ টন ফলন হয়েছে। ১ হেক্টরে উৎপাদিত আলু ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। এতে লাভ হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ‘কন্দাল জাতীয় ফসল আবাদে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার খুবই কম। যেকোনো ফসলের তুলনায় কন্দাল ফসল চাষে বেশি লাভ হয়।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজ আক্তার বলেন, ‘কন্দাল জাতীয় ফসলে প্রচুর পরিমাণ খনিজ ও ভিটামিন উপাদান রয়েছে। এসব চাষে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। কন্দাল ফসল মানবদেহের জন্য নিরাপদ। এতে উৎপাদন খরচ কম, কিন্তু লাভ বেশি হয়। এ কারণে প্রতিবছর সদর উপজেলায় এ জাতীয় ফসলের আবাদ বাড়ছে। এতে কৃষক অনেক টাকা আয় করছেন।’

সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) গভীর রাতে আশুলিয়ার ডগরতলি এলাকার জলাশয় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নিহত রঞ্জিত চৌধুরী আশুলিয়ার ডগরতলি এলাকার প্রদীপ চৌধুরীর ছেলে। সে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। 

জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম খবরের কাগজকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার ডগরতলী এলাকায় গোসল করতে নেমে এক শিক্ষার্থী নিখোঁজের সংবাদ পাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল পানিতে প্রায় ৫ ঘন্টা সন্ধান চালিয়ে অবশেষে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

ইমতিয়াজ/ইসরাত চৈতী/

‘স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে’

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
‘স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে’
নিহত আব্দুল গণি। ছবি: খবরের কাগজ

‘আমার স্বামী গুলশান-২ এলাকার আবাসিক হোটেল সিক্সসিজনে কাজ করতেন। তিনি কোনো রাজনীতি করতেন না। তিনি মারা যাওয়ায় আমি দুটি সন্তান নিয়ে এখন মাঝ সমুদ্রে পড়েছি। এলাকায় এনজিও থেকে ঋণ নেওয়া আছে। এখন কিস্তি দেব কী করে, খেয়ে বাঁচব কীভাবে? আর আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে।’

রাজধানীর গুলশানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া আব্দুল গণির (৪৫) স্ত্রী লাকী আক্তার শুক্রবার (২৭ জুলাই) এসব কথা বলেন। কথাগুলো বলতে গিয়ে তিনি বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। আব্দুল গণি রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মজিদ শেখের ছেলে। তবে কিছুদিন আগে আব্দুল গণি সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় বাড়ি করেছেন। গতকাল শুক্রবার রহিমপুরের বাড়িতে আব্দুল গণির আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

লাকী আক্তার আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ২০ বছর ধরে ঢাকায় চাকরি করেন। আগে আমিও ঢাকায় ছিলাম। চার বছর আগে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। এরপর সন্তানদের নিয়ে আমি গ্রামে চলে আসি। গত ১৯ জুলাই সকাল ৯টার দিকে আব্দুল গণি উত্তর বাড্ডার বাসা থেকে বের হয়ে গুলশানে তার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। গুলশানের শাহজাদপুর-বাঁশতলায় গেলে তিনি কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে পড়ে যান। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। ১০টার দিকে আমার শ্বশুর ফোন করে জানান, গনির মাথায় গুলি লাগছে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছে।’

আব্দুল গণির ছেলে আলামিন শেখ বলেন, ‘এসএসসি পাসের পর বাবা আমাকে ঢাকায় নিয়ে যান। আমি শেফের কাজ শিখছি। বাবার সঙ্গে একই বাসায় থাকতাম। আমার ওই দিন নাইট ছিল। সকালে এসে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকাল ১০টার দিকে মা ফোন দিয়ে বলে তোর বাবার খবর নে। মাথায় গুলি লেগেছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে লাশ পেয়েছি বাবার। আমি এখনো বেকার। বাড়িতে মা আর চার বছরের বোন জান্নাত থাকে। বাবাকে হারিয়ে আমরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছি।’

আব্দুল গণির বড় ভাই আব্দুল রাজ্জাক শেখ বলেন, ‘গত ২১ জুলাই বিকেলে ভাইয়ের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।’

চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহত ফারুকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:২৬ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহত ফারুকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা
চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ফারুকের স্ত্রীর আহাজারি। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মুরাদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ফারুকের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় চসিকের জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় ফারুকের সন্তানের লেখাপড়ায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন মেয়র।

তিনি জানান, শুক্রবার সকালে মেয়রের বাসভবনে দেখা করতে যান নিহত ফারুকের পরিবার। তখন মেয়র অর্থ সহায়তার পাশাপাশি ফারুকের সন্তানদের লেখাপড়ায় ও বিপদে-আপদে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। 

গেল ১৬ জুলাই দুপুরে নগরের মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ফারুকসহ তিনজন নিহত হয়। ফারুকের বাড়ি নোয়াখালীতে।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/