ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিমুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এবার যশোরের ২ হত্যা মামলায় চার্জশিট

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০২:০৭ পিএম
আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
শিমুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এবার যশোরের ২ হত্যা মামলায় চার্জশিট
শিমুল ভূঁইয়া

দক্ষিণ জনপদের মূর্তিমান আতঙ্ক পেশাদার কিলার হিসেবে কুখ্যাত, দেশজুড়ে আলোচিত এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি চরমপন্থি শিমুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এবার যশোরের পৃথক দুটি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। সম্প্রতি যশোরের অভয়নগরে দুটি হত্যা মামলায় আলাদাভাবে চার্জশিট আদালতে দাখিল করে ডিবি পুলিশ। 

উপজেলার দামুখালী গ্রামের সুব্রত মণ্ডল ও দত্তগাতি গ্রামের খন্দকার রকিবুল ইসলাম হত্যা মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই শফি আহমেদ রিয়েল আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।

শফি আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০২২ সালের ১২ মে রাত সোয়া ৮টার দিকে খন্দকার রকিবুল ইসলাম তার বান্ধবী পিয়ারী বেগম ওরফে বর্ষাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতিতে গিয়েছিলেন পায়রা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সাইফুল আলম মোল্লার কাছ থেকে কবিরাজি ওষুধ আনতে। মূলত সাইফুল আলম মোল্লা ওষুধ দেওয়ার কথা বলে ফাঁদ পেতে খন্দকার রকিবুল ইসলামকে ডেকে আনেন। পরে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দত্তগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে তার বান্ধবী পিয়ারী বেগম ওরফে বর্ষাও আহত হন। এ ঘটনায় নিহতের মা রহিমা বেগম ১৩ মে অভয়নগর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই শফি আহমেদ রিয়েল আরও জানান, নিহত খন্দকার রকিবুল ইসলাম চরমপন্থি সংগঠনের সদস্য ছিলেন। তিনি ঘের মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন বলে অভিযোগ ছিল। তার জন্য প্রতিপক্ষ চরমপন্থিরা ওই এলাকায় সুবিধা করতে পারত না। এ কারণে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ফাঁদ পেতে ডেকে এনে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে প্রতিপক্ষ চরমপন্থিরা। মামলার তদন্তকালে এই হত্যার সঙ্গে শীর্ষ চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়াসহ ১১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এ কারণে এক সপ্তাহ আগে শিমুলসহ তাদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

খন্দকার রকিবুল ইসলাম হত্যা মামলার চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর এলাকার মৃত নাসিরউদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে শীর্ষ চরমপন্থি শিমুল ভূঁইয়া, জামিরা এলাকার মৃত পীর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে জিয়া মোল্লা, শফিকুল শেখের ছেলে মেহেদী হাসান সবুজ, শাহজাহান মোল্লার ছেলে সোলায়মান মোল্লা, কামরুল বিশ্বাসের ছেলে রাজু, মাহতাব বিশ্বাসের ছেলে হৃদয়, দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামের জয়নাল হাওলাদারের ছেলে জায়েদ হাওলাদার ওরফে জিহাদ হাওলাদার, যশোরের অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া, কাশেম মোল্লার ছেলে সাইফুল আলম মোল্লা, ওয়াছেক আলী মোল্লার ছেলে বুলবুল ও সরখোলা গ্রামের আনোয়ার মোল্লার ছেলে রাজিব মোল্লা।

অন্যদিকে ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে অভয়নগর উপজেলার দামুখালীতে মোটরসাইকেল আরোহী সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়ে হত্যা করে সুব্রত মণ্ডলকে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই অমৃত মণ্ডল ১৩ জানুয়ারি অভয়নগর থানায় মামলা করেন। এই মামলা তদন্তকালে ডিবি পুলিশের এসআই শফি আহমেদ রিয়েল চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়াসহ ১৫ জনের সম্পৃক্ততা পান। চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারা সুব্রত মণ্ডলকে হত্যা করেছিলেন বলে জানা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিমুলসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। 

সুব্রত মণ্ডল হত্যা মামলার চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর এলাকার মৃত নাসিরউদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে শিমুল ভূঁইয়া, জামিরার শাহজাহান মোল্লার ছেলে সোলায়মান মোল্লা, দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামের জয়নাল হাওলাদারের ছেলে জায়েদ হাওলাদার ওরফে জিহাদ হাওলাদার, গোলাম মুন্সীর ছেলে ইসরাফিল মুন্সী ও আরমান মুন্সী, মৃত গাজী জাকির হোসেনের ছেলে গাজী আরাফাত হোসেন কাইফ, যশোরের অভয়নগর উপজেলার দামুখালী গ্রামের মৃত শৈলেন মণ্ডলের ছেলে শ্যামল মণ্ডল, স্বপন হালদারের ছেলে পিন্টু হালদার, চলিশিয়া গ্রামের আব্বাস মোল্লার ছেলে আমিনুর মোল্লা, সরখোলা গ্রামের ইয়াজিয়ার মোল্লা ওরফে ইয়াহিয়া মোল্লার ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ইয়াসিন সরদারের ছেলে শাকিল সরদার, আনোয়ার মোল্লার ছেলে রাজিব মোল্লা, উত্তর সরখোলা গ্রামের হান্নান মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা, বুইকারা হাসপাতাল এলাকার আনোয়ার হোসেন মোল্লার ছেলে রাব্বি হোসেন ও দত্তগাতি গ্রামের কাশেম মোল্লার ছেলে সাইফুল আলম মোল্লা।

দুর্ধর্ষ খুনি শিমুল ভূঁইয়া দক্ষিণ জনপদে একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছিলেন। ১৯৯১ সালে খুলনার ডুমুরিয়ায় একটি সশস্ত্র গ্রুপের নেতাকে হত্যার মাধ্যমে খুনোখুনির অপরাধ জগতে তার প্রবেশ ঘটে। পুলিশের খাতায় তার বিরুদ্ধে ৮টি খুন ও ২৫টি মামলায় সম্পৃক্ততা রয়েছে। এর মধ্যে যশোরের দুটি খুনের দায়ে দীর্ঘ সময় সাজা খেটেছেন শিমুল। কিন্তু জেলে থেকেও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। এর বাইরেও যশোর-ঝিনাইদহ-খুলনায় একাধিক হত্যায় তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। ১৯৯৬ সালে যশোর কারা বিদ্রোহে শিমুল সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। 

খুনের বাইরেও একাধিক হত্যাচেষ্টা, চরমপন্থি পার্টি চালানোর নামে উড়ো চিঠি দিয়ে ও টিঅ্যান্ডটিতে ফোন করে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, বাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি, লুটসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হন দক্ষিণ জনপদের শীর্ষ চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়া। তাকে গ্রেপ্তারের পর নৃশংসভাবে আনারকে হত্যা এবং লাশ গুমের ভয়ংকর পরিকল্পনার কথা জেনে শিউরে উঠেছেন দেশের সাধারণ মানুষসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।

পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, চরমপন্থি নেতা ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে মাহমুদ হাসান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্লাহ ১৯৭০ সালের ৪ মে খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এসএসসি পরীক্ষার সনদপত্রে নাম রয়েছে শিহাব মোহাম্মদ ভূঁইয়া। তার বাবা নাসিরউদ্দিন ভূঁইয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ক্লার্ক ছিলেন।

ঝিনাইদহে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
ঝিনাইদহে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
ফাইল ছবি

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে নিখোঁজের একদিন পর সিয়াম (১৪) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে উপজেলার শিতলী গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

সিয়াম কালীগঞ্জ উপজেলার পারখিদ্দি গ্রামের সায়িম রেজার ছেলে ও শিতলী রোকেয়া খাতুন নুরানী মাদ্রাসার ছাত্র।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সিয়ামসহ ৩ ছাত্র মাদ্রাসার পাশ্ববর্তী একটি পুকুরে গোসল করতে নামে। গোসল শেষে দুই ছাত্র ফিরে আসলেও সিয়াম আর ফিরে আসেনি। এরপর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে। 

শনিবার সকালে শিতলী গ্রামের ওই পুকুরে সিয়ামের মরদেহ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান সিয়ামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’

মাহফুজুর/ইসরাত চৈতী/

সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) গভীর রাতে আশুলিয়ার ডগরতলি এলাকার জলাশয় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নিহত রঞ্জিত চৌধুরী আশুলিয়ার ডগরতলি এলাকার প্রদীপ চৌধুরীর ছেলে। সে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। 

জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম খবরের কাগজকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার ডগরতলী এলাকায় গোসল করতে নেমে এক শিক্ষার্থী নিখোঁজের সংবাদ পাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল পানিতে প্রায় ৫ ঘন্টা সন্ধান চালিয়ে অবশেষে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

ইমতিয়াজ/ইসরাত চৈতী/

‘স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে’

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
‘স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে’
নিহত আব্দুল গণি। ছবি: খবরের কাগজ

‘আমার স্বামী গুলশান-২ এলাকার আবাসিক হোটেল সিক্সসিজনে কাজ করতেন। তিনি কোনো রাজনীতি করতেন না। তিনি মারা যাওয়ায় আমি দুটি সন্তান নিয়ে এখন মাঝ সমুদ্রে পড়েছি। এলাকায় এনজিও থেকে ঋণ নেওয়া আছে। এখন কিস্তি দেব কী করে, খেয়ে বাঁচব কীভাবে? আর আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে।’

রাজধানীর গুলশানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া আব্দুল গণির (৪৫) স্ত্রী লাকী আক্তার শুক্রবার (২৭ জুলাই) এসব কথা বলেন। কথাগুলো বলতে গিয়ে তিনি বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। আব্দুল গণি রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মজিদ শেখের ছেলে। তবে কিছুদিন আগে আব্দুল গণি সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় বাড়ি করেছেন। গতকাল শুক্রবার রহিমপুরের বাড়িতে আব্দুল গণির আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

লাকী আক্তার আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ২০ বছর ধরে ঢাকায় চাকরি করেন। আগে আমিও ঢাকায় ছিলাম। চার বছর আগে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। এরপর সন্তানদের নিয়ে আমি গ্রামে চলে আসি। গত ১৯ জুলাই সকাল ৯টার দিকে আব্দুল গণি উত্তর বাড্ডার বাসা থেকে বের হয়ে গুলশানে তার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। গুলশানের শাহজাদপুর-বাঁশতলায় গেলে তিনি কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে পড়ে যান। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। ১০টার দিকে আমার শ্বশুর ফোন করে জানান, গনির মাথায় গুলি লাগছে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছে।’

আব্দুল গণির ছেলে আলামিন শেখ বলেন, ‘এসএসসি পাসের পর বাবা আমাকে ঢাকায় নিয়ে যান। আমি শেফের কাজ শিখছি। বাবার সঙ্গে একই বাসায় থাকতাম। আমার ওই দিন নাইট ছিল। সকালে এসে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকাল ১০টার দিকে মা ফোন দিয়ে বলে তোর বাবার খবর নে। মাথায় গুলি লেগেছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে লাশ পেয়েছি বাবার। আমি এখনো বেকার। বাড়িতে মা আর চার বছরের বোন জান্নাত থাকে। বাবাকে হারিয়ে আমরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছি।’

আব্দুল গণির বড় ভাই আব্দুল রাজ্জাক শেখ বলেন, ‘গত ২১ জুলাই বিকেলে ভাইয়ের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।’

চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহত ফারুকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:২৬ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহত ফারুকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা
চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ফারুকের স্ত্রীর আহাজারি। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মুরাদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ফারুকের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় চসিকের জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় ফারুকের সন্তানের লেখাপড়ায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন মেয়র।

তিনি জানান, শুক্রবার সকালে মেয়রের বাসভবনে দেখা করতে যান নিহত ফারুকের পরিবার। তখন মেয়র অর্থ সহায়তার পাশাপাশি ফারুকের সন্তানদের লেখাপড়ায় ও বিপদে-আপদে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। 

গেল ১৬ জুলাই দুপুরে নগরের মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ফারুকসহ তিনজন নিহত হয়। ফারুকের বাড়ি নোয়াখালীতে।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

কক্সবাজার উপকূলে নিখোঁজ ২ লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:১৩ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২৯ পিএম
কক্সবাজার উপকূলে নিখোঁজ ২ লাশ উদ্ধার

টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে গত বুধবারের ট্রলারডুবির ঘটনায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপকূলে নিখোঁজ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ দুজন পুরুষের লাশ টেকনাফ উপকূলে ভেসে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

মৃত দুজন হলেন, সেন্ট মার্টিনের মৃত আজম আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (২৮) এবং মৃত আবদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ (৩০)। ইসমাইল ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী। আর ফাহাদ স্পিডবোট নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারে নিখোঁজদের খুঁজতে গিয়েছিলেন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ট্রলারের যাত্রী নুর মোহাম্মদ সৈকত (২৭)। তারা সবাই সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানান, গত বুধবার টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে শাহপরীর দ্বীপের অদূরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কিছু লোক ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে তাদের উদ্ধার করতে যান। ওই সময় তীব্র ঢেউয়ের কারণে একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। এ ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দুজনের লাশ টেকনাফ উপকূলে ভেসে এলেও একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে