ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বাঁকখালীতে জোয়ারের পানিতে ভেসে এল নারীর মরদেহ

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০২:১০ পিএম
আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
বাঁকখালীতে জোয়ারের পানিতে ভেসে এল নারীর মরদেহ
ভেসে আসা নারীর মরদেহ। ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী ও সমুদ্র মোহনায় জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে এক নারীর মরদেহ। তবে এখনো তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। 

রবিবার (২৬ মে) দুপুর ১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন। 

পুলিশ ও স্পিডবোট চালকরা জানান, রবিবার এক স্পিডবোটচালক মহেশখালী থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে বাঁকখালী নদী ও সমুদ্রের পানি যেখানে গিয়ে মিশেছে, ঠিক সেই জায়গায় জোয়ারের পানিতে একজনের মরদেহ ভাসতে দেখে। তখন তিনি স্পিডবোটের লাইনম্যানকে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। 

কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন খবরের কাগজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মরদেহের পরিচয় জানা যায়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত
নুরুজ্জামান

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নুরুজ্জামান নামের এক সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে শ্যামনগর থেকে নূরনগরে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে গোপালপুর এলাকায় নির্মাণাধীন কালভার্টের গর্তে পড়ে নিহত হন তিনি।

নিহত নুরুজ্জামান স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরুজ্জামান রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্যামনগর থেকে নূরনগরগামী সড়কের গোপালপুর এলাকায় নির্মাণাধীন একটি কালভার্টের গর্তের মধ্যে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নাজমুল শাহাদাৎ/জোবাইদা/অমিয়/

ঝিনাইদহে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
ঝিনাইদহে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
ফাইল ছবি

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে নিখোঁজের একদিন পর সিয়াম (১৪) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে উপজেলার শিতলী গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

সিয়াম কালীগঞ্জ উপজেলার পারখিদ্দি গ্রামের সায়িম রেজার ছেলে ও শিতলী রোকেয়া খাতুন নুরানী মাদ্রাসার ছাত্র।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সিয়ামসহ ৩ ছাত্র মাদ্রাসার পাশ্ববর্তী একটি পুকুরে গোসল করতে নামে। গোসল শেষে দুই ছাত্র ফিরে আসলেও সিয়াম আর ফিরে আসেনি। এরপর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে। 

শনিবার সকালে শিতলী গ্রামের ওই পুকুরে সিয়ামের মরদেহ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান সিয়ামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’

মাহফুজুর/ইসরাত চৈতী/

সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

সাভারে গোসলে নেমে নিখোঁজ সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) গভীর রাতে আশুলিয়ার ডগরতলি এলাকার জলাশয় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নিহত রঞ্জিত চৌধুরী আশুলিয়ার ডগরতলি এলাকার প্রদীপ চৌধুরীর ছেলে। সে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। 

জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম খবরের কাগজকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার ডগরতলী এলাকায় গোসল করতে নেমে এক শিক্ষার্থী নিখোঁজের সংবাদ পাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল পানিতে প্রায় ৫ ঘন্টা সন্ধান চালিয়ে অবশেষে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

ইমতিয়াজ/ইসরাত চৈতী/

‘স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে’

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
‘স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে’
নিহত আব্দুল গণি। ছবি: খবরের কাগজ

‘আমার স্বামী গুলশান-২ এলাকার আবাসিক হোটেল সিক্সসিজনে কাজ করতেন। তিনি কোনো রাজনীতি করতেন না। তিনি মারা যাওয়ায় আমি দুটি সন্তান নিয়ে এখন মাঝ সমুদ্রে পড়েছি। এলাকায় এনজিও থেকে ঋণ নেওয়া আছে। এখন কিস্তি দেব কী করে, খেয়ে বাঁচব কীভাবে? আর আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাইব কার কাছে।’

রাজধানীর গুলশানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া আব্দুল গণির (৪৫) স্ত্রী লাকী আক্তার শুক্রবার (২৭ জুলাই) এসব কথা বলেন। কথাগুলো বলতে গিয়ে তিনি বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। আব্দুল গণি রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মজিদ শেখের ছেলে। তবে কিছুদিন আগে আব্দুল গণি সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় বাড়ি করেছেন। গতকাল শুক্রবার রহিমপুরের বাড়িতে আব্দুল গণির আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

লাকী আক্তার আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ২০ বছর ধরে ঢাকায় চাকরি করেন। আগে আমিও ঢাকায় ছিলাম। চার বছর আগে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। এরপর সন্তানদের নিয়ে আমি গ্রামে চলে আসি। গত ১৯ জুলাই সকাল ৯টার দিকে আব্দুল গণি উত্তর বাড্ডার বাসা থেকে বের হয়ে গুলশানে তার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। গুলশানের শাহজাদপুর-বাঁশতলায় গেলে তিনি কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে পড়ে যান। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। ১০টার দিকে আমার শ্বশুর ফোন করে জানান, গনির মাথায় গুলি লাগছে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছে।’

আব্দুল গণির ছেলে আলামিন শেখ বলেন, ‘এসএসসি পাসের পর বাবা আমাকে ঢাকায় নিয়ে যান। আমি শেফের কাজ শিখছি। বাবার সঙ্গে একই বাসায় থাকতাম। আমার ওই দিন নাইট ছিল। সকালে এসে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকাল ১০টার দিকে মা ফোন দিয়ে বলে তোর বাবার খবর নে। মাথায় গুলি লেগেছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে লাশ পেয়েছি বাবার। আমি এখনো বেকার। বাড়িতে মা আর চার বছরের বোন জান্নাত থাকে। বাবাকে হারিয়ে আমরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছি।’

আব্দুল গণির বড় ভাই আব্দুল রাজ্জাক শেখ বলেন, ‘গত ২১ জুলাই বিকেলে ভাইয়ের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।’

চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহত ফারুকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:২৬ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহত ফারুকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা
চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ফারুকের স্ত্রীর আহাজারি। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মুরাদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ফারুকের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় চসিকের জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় ফারুকের সন্তানের লেখাপড়ায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন মেয়র।

তিনি জানান, শুক্রবার সকালে মেয়রের বাসভবনে দেখা করতে যান নিহত ফারুকের পরিবার। তখন মেয়র অর্থ সহায়তার পাশাপাশি ফারুকের সন্তানদের লেখাপড়ায় ও বিপদে-আপদে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। 

গেল ১৬ জুলাই দুপুরে নগরের মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ফারুকসহ তিনজন নিহত হয়। ফারুকের বাড়ি নোয়াখালীতে।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/