![ভোলায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, উপকূলে আতঙ্ক](uploads/2024/05/26/vola-1716718357.jpg)
ভোলায় সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ১০ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণার পর সবধরনের নৌযান চলাচলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জেলার চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে।
রবিবার (২৬ মে) সকাল থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ভোলা। বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ। উত্তাল হয়ে উঠছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী।
ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপ-পরিচালক আবদুর রশিদ জানান, দুপুরের দিকে ঝড়ের অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাত উপজেলায় সাতটি ও জেলা সদরে একটি কন্ট্রোল রুম খুলে পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র।
উদ্ধার কাজের জন্য সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টর প্রায় ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রচারণা ও উদ্ধার কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গম চর ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, মেঘনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে ভোলার সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের যোগাোযাগ বন্ধ রয়েছে। জেলা অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ। ঢাকা-ভোলা, ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও ভোলা-বরিশাল, ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
ইমতিয়াজ/পপি/অমিয়/