ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আতঙ্ক, সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
উপকূলে আতঙ্ক, সৈকতে পর্যটকদের ভিড়
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড়। ছবি : খবরের কাগজ

ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ফলে সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে জেলার বেশকিছু গ্রামে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূলীয় বাসিন্দাদের মাঝে। তবে তেমন আতঙ্ক দেখা যায়নি সৈকতে ভিড় জমানো পর্যটক ও স্থানীয়দের মাঝে। দেখে মনে হচ্ছে, অনেকে ঘূর্ণিঝড় দেখতেই হয়তো সমুদ্রসৈকতে এসেছেন। 

রবিবার (২৬ মে) সকাল থেকে কক্সবাজার উপকূলে ঝড়ো বাতাস বইতে থাকে। দুপুরে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলো ডুবে যায়। বিশেষ করে কক্সবাজার সদরের কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া, গোমাতলী, পোকখালী, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ জেলার অর্ধ-শতাধিক গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে গেছে। সন্ধ্যায় উপকূল এলাকায় ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

অন্যদিকে, সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। রিমালের প্রভাবে শনিবার রাতে সেন্টমার্টিনের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকেছে। দ্বীপের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জোয়ারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছিল। এখনো দমকা হাওয়া ও সাগরের পানির উচ্চতা বেশি মনে হচ্ছে। দ্বীপের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে যেতে মাইকিং করা হয়।’

সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। সৈকতে জেলা প্রশাসনের নিয়োজিত বিচকর্মী, ফায়ার সার্ভিস ও লাইফগার্ড কর্মীরা পর্যটকদের সতর্কতার বিষয়ে মাইকিং করছে। তারমধ্যেও অনেকেই সাগরে নামার চেষ্টা করছেন। 

সাগরজলে মেয়ে লুবনাকে নিয়ে নেমে পড়েছেন শরীয়তপুরের বাসিন্দা ইয়াছমিন আকতার। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমাল দেখতে সদ্য এসএসসি পাস করা মেয়েকে নিয়ে কক্সবাজার এসেছি। সাগর উত্তাল, দেখতে অনেক ভালো লাগছে। ছবি তুলছি, শামুক-ঝিনুক কুড়িয়েছি। আগে কক্সবাজার অনেক আসা হয়েছে। তবে এবার ঘূর্ণিঝড়ের সময় আসা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় কক্সবাজার সাগর কেমন হয় তা দেখতে পেলাম।’

শুধু ইয়াছমিন নন, একই সময় সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এসেছেন নোয়াখালীর আব্দুর রহিম। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৪ জন। সবাই নেমে পড়েন সাগরের নোনাজলে।

আব্দুর রহিম বলেন, ‘ঢেউ দেখে ভয় লাগছে। কিন্তু খুবই মজা পাচ্ছি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এত বড় বড় ঢেউ হতে পারে আগে জানতাম না।’

শুধু তারাই নয়, সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে ভিড় করেছে কয়েক হাজার পর্যটক। তবে সকাল সাড়ে ৮ টার পর কাউকে সাগরে নামতে দিচ্ছে না লাইফ গার্ড কর্মীরা।

সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত (সবশেষ তথ্য) দেখানো হয়েছে। তাই সাগর উত্তাল রয়েছে। সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। লাল পতাকা মানেই সতর্ক করা, যাতে কেউ সমুদ্রস্নানে না নামে। আমরা কাউকে সৈকতে সমুদ্রস্নানে নামতে দিচ্ছি না।’

অন্যদিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে সকাল থেকে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

এ ছাড়া কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গাছ ভেঙে পড়ায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরসহ উপকূল ও নিম্নাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কক্সবাজারে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করবে বিকেলে। এরই মধ্যে এর প্রভাব শুরু হয়েছে। জোয়ারের পানি ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্সবাজার জেলা অতিক্রম করবে।’

মুহিববুল্লাহ মুহিব/সালমান/

নওগাঁয় ভটভটি উল্টে ২ গরু ব্যবসায়ী নিহত

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
নওগাঁয় ভটভটি উল্টে ২ গরু ব্যবসায়ী নিহত
নওগাঁ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ভটভটি উল্টে দুই গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, উপজেলার দামকুড়া গ্রামের শরিফ উদ্দিন (৬২) এবং একই উপজেলার বনগাঁপাড়া গ্রামের শামীম রেজা (২৮)। 

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে জানান, নিহতরা দুপুরের দিকে ভটভটিতে চড়ে গরু কিনতে ছাতড়া গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। পথে  নিয়ামতপুর টিএলবি সড়কের সাংশইল ব্রিজ এলাকায় ভটভটিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। আহত হয় আরও ৫ জন।

ওসি জানান, মরদেহ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

শফিক ছোটন/অমিয়/

সাতকানিয়ায় ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
সাতকানিয়ায় ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৮ জুলাই) ভোর ৫টায় চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার মধ্যবর্তী এলাকা কালিয়াইশের বিওসি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আব্দুর রবের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৮) ও সুধারাম মডেল থানার মাছিমপুর এলাকার বাসিন্দা মো. ইউসুফের ছেলে মো. ইমন (১৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই মোটরসাইকেল আরোহী দ্রুতগতিতে কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে বিওসির মোড় এলাকায় এসে একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ট্রাকে পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল চালক ঘটনাস্থলে মারা যান। অপরজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মোহাম্মদ ইরফান জানান, ভোরে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

চট্টগ্রাম ব্যুরো/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

রায়পুরায় ট্রেনে কাটাপড়ে আরও একজনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
রায়পুরায় ট্রেনে কাটাপড়ে আরও একজনের মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

নরসিংদীর রায়পুরায় পাঁচজনের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেই পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটাপড়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি মারা গেছেন। 

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মেথিকান্দা রেলস্টেশনের পাশেই ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অজ্ঞাত এক পুরুষ ট্রেন আসার আগে রেল লাইনে শুয়ে পড়েন। পরে তার দেহ টুকরো টুকরো হয়ে যায়। 

রেলওয়ে পুলিশ খবরের কাগজকে জানায়, মরদেহের খণ্ডিত অংশ একত্রিত করে ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় সনাক্ত করা হবে।

শাওন খন্দকার/পপি/অমিয়/

জৈন্তাপুরে চিনির লাইনে ধরা পড়ল চেতনানাশক ওষুধ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
জৈন্তাপুরে চিনির লাইনে ধরা পড়ল চেতনানাশক ওষুধ
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

সিলেটের সব সীমান্ত এখন চোরাই চিনির লাইন হিসেবে পরিচিতি। এ পথে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাদকসহ নানা অবৈধ পণ্যও ধরা পড়ছে।

শনিবার (৬ জুলাই) মধ্যরাতে সীমান্ত উপজেলা জৈন্তাপুরে চোরাই চিনির বিরুদ্ধে অভিযানে ধরা পড়ছে আমদানিনিষিদ্ধ চেতনানাশক ওষুধ। 

তাছাড়া পৃথক আরেকটি অভিযানে ১০৫ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে জৈন্তাপুর থানার মিডিয়া সেল থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পৃথক দুটি অভিযানে ১০৫ বস্তা চোরাই চিনি, ১৩৮ বোতল চেতনাশক ওষুধ জব্দের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

মামলায় চিনির সঙ্গে আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাছাড়া, চোরাচালানে ব্যবহার করা একটি মোটরসাইকেল ও একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চোরাই চিনির লাইন হিসেবে পরিচিতি জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট মাহুতহাটি গ্রামের রাস্তা দিয়ে চোরাকারবারি চক্রের সদস্যরা টমটমে করে ভারতীয় ১৩৮ বোতল চেতনানাশক ওষুধ পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে দুটি কার্টনে ভারতীয় ১৩৮ বোতল চেতনানাশক ওষুধ জব্দ করে। এ সময় চোরাকারবারিরা তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে মোটরসাইকেলের মালিকানা সূত্র ধরে দুজনকে শনাক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় রবিবার (৭ জুলাই) উপজেলার লামনী গ্রামের কুতব উদ্দিন (৩২) ও ভিত্রিখেল কন্যাখাই গ্রামের তোফায়েল আহমেদের (২৫) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। 

এর পর রাত ১টায় জৈন্তাপুর থানার এসআই আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে পুলিশের আরেকটি দল ডুলটিরপাড় এলাকার সারী নদীর পূর্বপাড়ে অভিযান চালিয়ে ১০৫ বস্তা ভারতীয় চিনিবোঝাই নৌকা জব্দ করে। এ সময় কটাই মিয়া (৪৬), সিরাজ (৫১) ও আতিক (২১) নামের তিনজনকে আটক করে। তাদের বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলায়। তাদের সঙ্গে থাকা আরেকজন পালিয়ে যায়।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, চোরাই চিনির পথে এখন মাদকসহ নানা অবৈধ পণ্য আসছে। এর আগে আরও একটি অভিযানে চিনির সঙ্গে মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে পৃথক দুটি অভিযানে ১৩৮ বোতল ভারতীয় চেতনানাশক ওষুধ ও ১০৫ বস্তা চিনি জব্দের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। আটক তিনজনকে চিনি চোরাচালান মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চেতনানাশক ওষুধ চোরাচালানের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উজ্জ্বল মেহেদী/জোবাইদা/অমিয়/

সৌদিতে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
সৌদিতে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
মো. ফরিদ মিয়া

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে মো. ফরিদ মিয়া (২৮) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত ১১টায় রাজধানী দাম্মামের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

মো. ফরিদ মিয়া কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের খয়রত গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আবদুল কাদির। 

ফরিদের ছোট ভাই নয়ন মিয়া বলেন, ফরিদ গ্রামে কৃষিকাজের পাশাপাশি অটোরিকশা চালাতেন। আড়াই বছর আগে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে নির্মাণকাজে সুপারভাইজারের দায়িত্ব পান তিনি। গত বছর তাকেও তিনি সৌদিতে নিয়ে যান।

রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে ফরিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শোকে পরিবারের সবাই কাতর। 

লাশ কবে আসছে এই খবর জানার জন্য লোকজন বাড়িতে ভিড় জমায়। 

তার বাবা আব্দুল কাদির বলেন, ‘ফরিদ আমার বড় ছেলে। বাড়িতেও পরিশ্রমী ছিল। সংসারের আর্থিক সচ্ছলতা আনার জন্য বিদেশে গিয়েছিল। প্রথমে কষ্ট করলেও সেখানে পরে তার ভালো অবস্থান তৈরি হয়। মেজো ভাইটাকে তার কাছে নিয়ে যায়। ছোট ভাই সুজনকে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। আমার ছেলে নেই। সংসারই এখন এলোমেলো হয়ে গেল। আমি কী করে সব সামলাবে। আমার ছেলের লাশ দ্রুত দেশে নিয়ে আসতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করি।’

তাসলিমা মিতু/জোবাইদা/অমিয়/