ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

পঞ্চগড়ে ভারতীয় নারী আটক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম
পঞ্চগড়ে ভারতীয় নারী আটক
ছবি: খবরের কাগজ

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে ঢোকার দায়ে এক ভারতীয় নারীকে (৪২) আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ভারতীয় নারী হিন্দিতে কথা বলছিলেন। নিজের নাম  কখনো শান্তি আবার কখনও বাসন্তী এবং ঠিকানা দিল্লী ও শ্বশুর বাড়ি বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় বলে জানান। তবে তার আচার-আচরণ মানসিক ভারসম্যহীনের মত বলে জানিয়েছে বিজিবি।

শনিবার সন্ধ্যায় নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬০ এর ৬০ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে ওই নারীকে বাংলাদেশের ১৫০ গজ ভিতরে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের টহল দল বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে। পরে বিজিবি বিষয়টি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৯৩ ব্যাটালিয়নের শ্যাম ক্যাম্পের কমান্ডারকে জানায়। এর পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএস ওই নারী ভারতীয় মর্মে নিশ্চিত হয়ে ফেরত নিতে চায়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিএসএফের কাছে ওই ভারতীয় নারীকে হস্তান্তর করে বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা। 

ভারতীয় নাগরিককে ফেরত দেওয়ায় বিজিবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় বিএসএফ।

বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় এক নারীকে বাংলাদেশে ঢোকার পর আমাদের টহল দল আটক করে। নারীকে মানসিক ভারসমস্যহীন বলে মনে হয়েছে। পরে আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। এরই প্রেক্ষিতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তারা পতাকা বৈঠকে এসে ভারতীয় নাগরিক নিশ্চিত করেন। পরে তাকে ফেরত নিতে চাইলে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করেছি।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, বিজিবি সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সদা তৎপর। বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শবর্তী দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। যে কোন মূল্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ৫৬ বিজিবি কঠোর নজরদারি নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুপ্রবেশ বন্ধে সদা প্রস্তুত।

রনি/মেহেদী/

দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ছবি : খবরের কাগজ

ভারতে দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটি কারণে আজ বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
 
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন থেকে পত্র দিয়ে জানিয়েছে ভারতে দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আজ আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রবিবার পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।

ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উৎসবটি ‘হোলি’ নামে পরিচিত। অশুভ শক্তির বিনাশ হিসাবে ‘হোলি উৎসব’ হয়ে থাকে। এই উৎসবের কারণে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঅ্যান্ডএফ মালিক, কর্মচারী, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান। ফলে আজ এ বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া ও বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নজরুল ইসলাম/জোবাইদা/

পিরোজপুরে পাওনা টাকা না পেয়ে ছেলেকে অপহরণ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১৩ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ এএম
পিরোজপুরে পাওনা টাকা না পেয়ে ছেলেকে অপহরণ
পিরোজপুর

পিরোজপুরের সদর উপজেলা শারিকতলা গ্রামের পূর্ব হরিণা গাজীপুর এলাকায় বাবার কাছে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত ফয়সাল হাওলাদার ওই এলাকার মিজান হাওলাদারের ছেলে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে হরিণা স্লুইসগেট এলাকার সামনে থেকে আলিমসহ ৩/৪ জন ফয়সালকে ধরে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।

অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবাহান।

জানা যায়, দক্ষিণ গাজীপুর এলাকার বাসিন্দা আলিম খান ফয়সালের বাবা মিজান হাওলাদারের কাছে টাকা পেত। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মিজান হাওলাদারের ছেলে ফয়সালকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মারধর করে। 

ফয়সাল হাওলাদারের ভাই কাওসার হাওলাদার জানান, শুক্রবার সকালে আলিমসহ ৩/৪ জন ফয়সালকে ধরে তুলে নিয়ে যায়। এর পর আমার ভাই (ফয়সাল) বাবাকে ফোন দিয়ে জানায় আলিমকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে দিতে। এ সময় ফয়সাল আরও জানায় আলীম তাকে মারধর করছে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে। বিষয়টি পুলিশকে জানাই ও স্থানীয় বিভিন্ন লোকজনকেও জানানো হয়। অপহরণের বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পাড়েরহাট এলাকার নাসির উদ্দিন মল্লিকের বাড়ির কাছে ফয়সাল ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ফয়সালকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসি আব্দুস সোবাহান জানান, দেনাপাওনার একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ফয়সাল হাওলাদার নামে একজনকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ফয়সালকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে রাতেই মামলা হয়।

হাসিবুল হাসান/জোবাইদা/

কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১১ এএম
কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে সিএনজচালিত অটোরিকশা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের নামাশুলাই এলাকায় ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকসহ এক নারী ও এক বৃদ্ধ রয়েছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা থেকে অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে কালিয়াকৈরের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে নামাশুলাই এলাকায় পৌঁছালে কালিয়াকৈর থেকে আসা ইটভর্তি একটি ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চালক ওবায়দুল (৩৫), অজ্ঞাত এক নারী (৫৬) এবং অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ (৭০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও একজনকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাকচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।

কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং ঘাতক চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পলাশ/তাওফিক/

সুনামগঞ্জে মাদরাসার ভিতরে ৯ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৭ এএম
সুনামগঞ্জে মাদরাসার ভিতরে ৯ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর
ছবি : সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের ছাতকে ৯ বছরের ছাত্রীকে মাদরাসার ভিতরে একা পেয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের যুবক সাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে। খবর শুনে অভিযুক্ত জহিরপুর তোঁতানগরের ছমরু মিয়ার ছেলে সাবুল মিয়া (৩৫) বাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকাল ৮টায় মাদরাসায় একটু আগে চলে যায় ভুক্তভোগী শিশু। এ সময় মাদরাসার পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে বারান্দায় একা দেখে ভিতরে ঢুকে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সাবুল মিয়া। পরে শিশুটি তার বাবাকে গিয়ে জানালে বাবা গ্রামের মাতব্বরদের বিষয়টি জানানোর পর রাতে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়। রাতে সালিশ বসার আগেই স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে খবর জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করে। পরে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণচেষ্টা মামলা করেন। 

এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ভাঙচুর করেছে জামেয়া মাদানিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, স্থানীয় যুবসমাজ ধর্ষকের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। 

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, 'সকালের ঘটনা রাতে মাতব্বররা সালিশে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সালিশ বসার আগে গ্রামবাসী ঘটনা জেনে যাওয়ায় অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ এই ঘটনার খবর পায়। এর আগে কেউ পুলিশকে কিছু জানায়নি। রাতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।' 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় সচেতন নাগরিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দিরাই উপজেলায় অটোরিকশায় এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে, মেয়েটি চলতি অটোরিকশা থেকে প্রাণে বাঁচতে লাফ দিলে গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে মেয়েটি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অভিযুক্ত দুইজনকে দিরাই থানা পুলিশ রাতেই আটক করেছে। একইভাবে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

দেওয়ান গিয়াস/জোবাইদা/

রংপুরে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা জানে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৯ এএম
রংপুরে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা জানে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী
রংপুর নগরীর কেন্দ্রে অবস্থিত বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। ছবি: খবরের কাগজ

রংপুর নগরীর কেন্দ্রে অবস্থিত বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। নামসর্বস্ব সাইনবোর্ড আর পরিত্যক্ত ভবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ চিকিৎসাসেবা। প্রচারবিমুখ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসে হাতেগোনা কয়েক শিক্ষার্থী। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি বিদ্যালয় কলেজ থাকলেও বেশির ভাগ শিক্ষার্থী জানে না এই বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে।

স্বাস্থ্যসেবা শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ১৯৭৩ সালে প্রায় ৩৭ শতক জমির ওপর রংপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। দেশে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে ২৩টি। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে রয়েছে তিনটি। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা কর্মকর্তারা প্রতি মাসে ১০-১২টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করার কথা থাকলেও তারা এক বা দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে ২ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছে ২৩১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮৫, মার্চে ১৯৯, এপ্রিলে ১৬০, মে মাসে ২৬৮, জুনে ১৮১, জুলাইয়ে ১১৯, আগস্টে ১৯০, সেপ্টেম্বরে ২৮৩, অক্টোবরে ৩৪৯, নভেম্বরে ৪১৯ ও ডিসেম্বরে ২৬৪ জন চিকিৎসা নেয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছে ২১৯ শিক্ষার্থী। ফেব্রুয়ারিতে ১৮৩ জন চিকিৎসা নিয়েছে।

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, প্রতি মাসে যে পরিমাণ বরাদ্দ আসে, তাতে ওষুধ ছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো কিছু দেওয়া সম্ভব হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। ফলে চাইলেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাওয়া সম্ভব হয় না। ৩০ ধরনের ওষুধ থাকলেও আরও কিছু ওষুধ পাশাপাশি বেশি করে ন্যাপকিন বরাদ্দের দাবি জানান।

রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর রায়হান হোসেন বলে, ‘আগে কিছুই জানতাম না। শুধু আমি না, আমাদের স্কুলের অনেকেই জানে না। হঠাৎ এক বন্ধুর কাছে শুনে চিকিৎসা নিতে এলাম।’ অন্য শিক্ষার্থী হাসানুর রহমান বলে, ‘দীর্ঘদিন ধরে চর্মরোগ হয়েছে। আমার স্কুলের বন্ধুরা এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানে না। একটু প্রচার-প্রচারণা করলে সবাই জানতে পারত। বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলে সবাই উপকৃত হতো।’

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. সকিনা বলেন, ‘আমাদের অনেক সংকট রয়েছে, তারপরও চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিশেষ করে এখানে কোনো ধরনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। নিজের খরচে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যাওয়া-আসা করতে হয়। সব মিলিয়ে এ চিকিৎসাকেন্দ্রটিকে অত্যাধুনিক করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে রংপুর সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা বলেন, ‘আমি জানি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। নতুন এসেছি। পরিদর্শন করে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’