ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শূন্য থেকে কোটিপতি বেলাল

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৯ মে ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম
শূন্য থেকে কোটিপতি বেলাল
নিজের প্রতিষ্ঠান সামি ডট কমে তরুণদের ফ্রিল্যান্সিং শেখাচ্ছেন বেলাল হোসাইন:

সবাই যেখানে স্থায়ী চাকরি বা ব্যবসাকে পেশা বেছে নিতে চান। সেখানে ব্যতিক্রম বরগুনার বেলাল। স্থায়ী চাকরি ছেড়ে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং। ১০ ডলার দিয়ে শুরু করা বেলালের এখন বছরে আয় ৩০ হাজার ডলার।

চাকরি করেও যেখানে সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত; সেখানে বর্তমানে তিনি কোটি টাকার মালিক। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় তরুণদেরও ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে বেকারত্ব থেকে মুক্তির দীক্ষা দিচ্ছেন তিনি।

বলছিলাম বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা মাদারতলী চরকখোল গ্রামের যুবক বেলাল হোসাইনের কথা। তার বাবা আলমগীর হোসাইন ছিলেন একজন দিনমুজর। মা আকলিমা বেগম একজন গৃহিণী। সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত। তিন সন্তানের লেখাপড়া ও ভরণ-পোষণ নিয়ে হিমশিম খেতে হতো বেলালের বাবা-মায়ের।

একদিকে নিজের লেখাপড়া, অন্যদিকে পরিবারের হাল ধরার কথা চিন্তা করে ২০০৪ সালে রাজধানীতে পাড়ি জমান বেলাল। সেখানে বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা করে ২০০৮ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি নেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবেও কাজ শুরু করেন। কিন্তু স্বাধীনচেতা কম্পিউটার অপারেটরের ছোট্ট গণ্ডিতে আটকে থাকেননি। ২০১৪ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং। প্রথমে ফাইভার নামে একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে ১০ ডলার আয় করেন তিনি। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ফাইভার, আপওয়ার্ক ও ফ্রিল্যান্সার ডট কমসহ বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করেন তিনি। গড়ে তুলেছিলেন সামি ডট কম নামের একটি আইটি প্রতিষ্ঠানও। সেখানে ৪০ জন তার অধীনে কাজ করছেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকারের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের হয়ে ফেনী জেলার প্রশিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

২০২০ সালে বাবা আলমগীর হোসাইনের মৃত্যুর পর ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন বেলাল। ফ্রিল্যান্সিং থেকে এক মাসে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ডলারসহ এখন তার বাৎসরিক আয় ৩০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩০ লাখ টাকারও বেশি। ফ্রিল্যান্সিংয়ের অর্থ দিয়েই বাড়ি বানিয়েছেন, কিনেছেন গাড়ি ও কৃষিজমি। দারিদ্র্যকে খুব কাছ থেকে দেখা বেলাল হোসাইন নিজেই শোনাচ্ছিলেন তার এ সফলতার গল্প।

বেলাল হোসাইন বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার পেছনে সরকারের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পটি আমার জন্য আশীর্বাদ ছিল। আমি স্বপ্ন দেখি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের হাজারো বেকার তরুণ স্বাবলম্বী হয়ে দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে আনবেন।’

বেলাল হোসাইনকে দেখে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বেলাল হোসেনও স্বপ্ন দেখছেন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তরুণ ও বেকারদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার। তাই নিজ বাড়িতেই আগ্রহী স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের শিখিয়ে চলেছেন ফ্রিল্যান্সিং।

বেলাল হোসাইনের কাছে ফ্রিল্যান্সিং শেখেন পাথরঘাটার জাহিদ হাসান অশ্রু ও রিফাত শেখ। কথা হলে তারা জানান, ফ্রিল্যান্সিং করে বেলাল হোসাইনের মতো তারাও স্বাবলম্বী হতে চান। তাই ভালোভাবে শিখতে ও কাজ পেতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন।

বরগুনা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, বেলাল হোসাইনের মতো দেশের হাজারো বেকার তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে একটি সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বন্যা আর কারফিউর প্রভাব অচল তাঁতের হাট

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৪ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৬ এএম
অচল তাঁতের হাট
সিরাজগঞ্জে বন্যা আর কারফিউতে অচল তাঁত কাপড়ের হাটগুলো। ছবিটি সম্প্রতি বেলকুচি উপজেলার সোহাগপুর হাট থেকে তোলা// খবরের কাগজ

বন্যা, বৃষ্টি আর কারফিউতে অচল হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সোহাগপুর, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরের তাঁত পণ্যের কাপড়ের হাটগুলো। গত তিন সপ্তাহ আগে যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে জেলার কয়েক শ তাঁতের কারখানা। ফলে গত এক মাস ধরে তাঁতে উৎপাদিত কাপড় বিক্রি করতে না পারায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁত মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তাঁত বোর্ড বলছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত শ্রমিক ও মালিকদের সহায়তা দেওয়া হবে এবং কারফিউ উঠে গেলে তাঁত পণ্যের বাজারজাত করার ব্যবস্থা করা হবে।  

জানা যায়, জেলার বেলকুচির ঐতিহ্যবাহী সোহাগপুর কাপড়ের হাটে প্রতি সোমবার ও মঙ্গলবারে পা ফেলার জায়গা থাকে না। ওই সময় ক্রেতা, বিক্রেতা আর পাইকারদের ভিড়ে সরগরম হয়ে ওঠে হাটের আশপাশের এলাকা। গত সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, হাটে চলছে সুনসান নীরবতা, বেচাকেনা নেই বললেই চলে।

একই অবস্থা বিরাজ করছে ঐতিহ্যবাহী শাহজাদপুর উপজেলার কাপড়ের হাটেও। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয় হাটের বেচাকেনা এবং এটি চলে বুধবার সারাদিন। কোটি কোটি টাকার বেচাকেনা হয় এই হাটে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কাপড় কিনতে পাইকার ও ব্যবসায়ীরা আসেন এই হাটে। তবে চলতি সপ্তাহে কারফিউ আর গত এক মাস ধরে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে দূর-দূরান্তের পাইকাররা আসতে পারছেন না। ফলে কোনো বেচাকেনা নেই হাটে। এর ফলে তাঁতশিল্পের উৎপাদিত কাপড় নিয়ে চরম বিপাকে তাঁত মালিকরা। চলতি বন্যায় তাঁতশিল্পে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটা পুরোপরি ঠিক হতে অনেক সময় লাগবে। সেই সঙ্গে দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের স্থবিরতা ও কারফিউতে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন তাঁত মালিকরা।

সোহাগপুর হাটে কাপড় বিক্রি করতে আসা তাঁত মালিক সোরহাব আলী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে এই হাটে কাপড় বিক্রি করে আসছি। কিন্তু এমন পরিস্থিতির মধ্যে কখনো পড়তে হয়নি। সকালে হাটে এসেছি কাপড় নিয়ে। কিন্তু কোনো পাইকার ও ব্যবসায়ীরা দাম বলছেন না। কাপড় নিয়ে বসে আছি। দুই হাজার টাকার কাপড় এক হাজার টাকাও দাম বলছেন না। ব্যবসারীরা বলছেন, কাপড় নিয়ে কী করব, দেশের পরিস্থিতি ভালো না।’

আরেক তাঁত মালিক রহমান শেখ বলেন, ‘তাঁতের পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু বেচাকেনা হচ্ছে না। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা না এলে তো কাপড় বিক্রি হবে না। আর কাপড় বিক্রি করতে না পারলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাও দিতে পারব না। এভাবে দেশ চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ করে পথে বসে যেতে হবে। তাই সরকারের কাছে এর একটা সমাধান চাই।’

এ ব্যাপারে তাঁত ব্যবসায়ী আলী আকবার বলেন, ‘একদিকে বন্যায় তাঁত কারখানাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরেও সরকার আবার কারফিউ জারি করেছে। মানুষ হাটে আসতে ভয় পাচ্ছে। এ কারণে আমাদের কাপড়ের ব্যবসায় ধস নেমে এসেছে। তাই এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’

কাপড়ের পাইকারি ব্যবসায়ী শামীম হোসেন বলেন, ‘কাপড় কিনবো বিশ পেটি। কিন্তু কাপড় কিনছি মাত্র দুই পেটি। ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছি না। কাপড় কিনেই বা কী করব? দেশের পরিস্থিতি ভালো না।’

কাপড়ের আরেক পাইকার খলিল মিয়া বলেন, ‘অনেক কষ্টে কাপড় কিনতে হাটে আসছি। কিন্তু কাপড় না কিনে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি আবার ভালো হলে কাপড় কিনবো। এখন কিনলে বিক্রি করতে পারব না। এতে লোকসানে পড়তে হবে।’

হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ারলুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদিউজ্জামান মণ্ডল বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও কারফিউতে কাপড়ের হাটগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। পাইকার না আসায় বেচাকেনা নেই বললেই চলে। এভাবে আরও কয়েক সপ্তাহ চলতে থাকলে কাপড়ের ব্যবসায় পুরোপুরিভাবে ধস নেমে যাবে। তাঁতিরা একবারে পথে বসে যাবেন। কাপড়ের বেচাকেনা না হলে শ্রমিকদের বেতন দেওয়াও সম্ভব হবে না। সরকারের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’

বেলকুচি উপজেলার তাঁত বোর্ডের লিয়াজোঁ অফিসার তন্নি খাতুন বলেন, ‘বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে তাঁতশিল্পের। এখন আবার নতুন করে শুরু হয়েছে কারফিউ। তাঁত মালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাঁতমেলার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করা হবে।’

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, ‘তাঁতশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হবে। তাঁত বোর্ড ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। কারফিউ শিথিল হলে তাঁত পণ্য বাজারজাত করার ব্যবস্থা করা হবে।’

আম নিয়ে বিপাকে কৃষকরা, ১০ কোটি ক্ষতির শঙ্কা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১১ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
আম নিয়ে বিপাকে কৃষকরা, ১০ কোটি ক্ষতির শঙ্কা
ছবি : খবরের কাগজ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশব্যাপী সহিংসতা ও কারফিউয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম নিয়ে বিপাকে আমচাষি, বাগানমালিক ও ব্যবসায়ীয়রা। কয়েক দিন ধরে বাগান থেকে আম পাড়তে পারছেন না চাষিরা। গাছেই পেকে পচে যাচ্ছে। এতে ১০ কোটি টাকা ক্ষতির শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলোতে বিভিন্ন জাতের আম থোকায় থোকায় ঝুলছে। তবে সহিংসতা ও কারফিউর কারণে রাস্তায় যানবহনসংকট, বাজারে ভোক্তা না থাকায় গাছ থেকে আম তুলছেন না আমচাষি ও বাগানমালিকরা। এতে গাছেই আম পেকে পচে নষ্ট হচ্ছে।

আমচাষি মনজের আলম মানিক জানান, এবার আমের দাম ভালো পাচ্ছিলাম। কিন্তু সহিংসতা ও কারফিউর কারণে বাগানের আমগুলো তোলা যাচ্ছে না। গাছেই আম পেকে নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আম তুলতে না পারলে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হবে।’ 

আমচাষি বিপ্লব বলেন, ‘নাবি জাতের (আয়ানভোগ) আমগুলো গত এক মাস ধরে পাকা শুরু করেছে। এখন আম সম্পূর্ণ পেকে গেছে। গাছে থাকতে থাকতে আমগুলো পচে নষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় আম পাঠালেও রাস্তা থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এতে আমার ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত কারফিউ উঠিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।’ 

আম বাগানমালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গাছ থেকে আম পাড়তে না পারাই অর্ধেকের বেশি আম পেকে পড়ে গেছে। পাকা আমগুলো কোথাও পাঠাতে পারছি না। এতে আমরা বাগানমালিকরা চরম ক্ষতির মধ্যে পড়েছি।’

শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, ‘কারফিউর মধ্যে আমচাষিরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। ফজলি, বারি-৪ ও আম্রপালি আমগুলো এখন ওভার ম্যাচুয়েড হয়ে গেছে।
 
কারফিউর কারণে বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জের বাজারগুলো বন্ধ। অনলাইনে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, ‘কানসাট জেলার বড় আমের বাজার। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০০ ট্রাক আম দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায়। কিন্তু সহিংসতা ও কারফিউর কারণে এখন প্রতিদিন ৪ থেকে ৫০ ট্রাক আম যাচ্ছে। এতে আমচাষি, আমের আড়তদারদের ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার কারফিউ তুলে না নিলে আম ব্যবসায় ব্যাপক ধস নামবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ‘সীমিত পরিসরে আম বেচাকেনা হচ্ছে। তবে মণপ্রতি ৩০০-৪০০ টাকা কম দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে সাড়ে ৪ লাখ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।’

চাল-চিনি-আটা আগের দামেই

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৫ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
চাল-চিনি-আটা আগের দামেই
ছবি : সংগৃহীত

সিটি গ্রুপ, বসুন্ধরা, মেঘনাসহ অন্যান্য কোম্পানির অসংখ্য গাড়ি ঢাকায় এসেছে। সরবরাহ বেড়েছে আটা, চিনি, তেল, লবণের। নওগাঁ, দিনাজপুর, শেরপুরসহ অন্য জেলা থেকে বিভিন্ন কোম্পানির চালও বিভিন্ন বাজারে এসেছে। সারা দেশে কারফিউ জারি করা হলেও সহিংসতার আতঙ্ক কাটেনি ড্রাইভারদের। 

মালিক সমিতি দূরপাল্লার গাড়ি চলাচলে রাজি হওয়ায় ভয়ের মধ্যেই বিভিন্ন জেলা ও মিল থেকে ঢাকায় চাল, আটা, চিনিভর্তি ট্রাক আনছেন। এর ফলে সরবরাহ অনেক বেড়েছে। দাম বাড়েনি। আগের দামেই এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
 
মোহাম্মদপুর এলাকায় সাপ্তাহিক ছুটি বৃহস্পতিবার। তারপরও কৃষিমার্কেট বাজারে গতকাল দেখা গেছে বিভিন্ন দোকানে চালভর্তি ট্রাক আনলোড করা হচ্ছে। রাসেল এন্টারপ্রাইজের সুমন খবরের কাগজকে বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের নামে সহিংসতার পর সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। কারফিউ জারির ৬ দিন পর কৃষিমার্কেটে বৃহস্পতিবার প্রচুর চালের ট্রাক এসেছে। তাই দাম বাড়েনি। পাইকারি পর্যায়ে ৬৩-৬৫ টাকা কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু ট্রাক মালিকরা এখনো গাড়ি পোড়ার ভয়ে আতঙ্কে আছেন। এ জন্য ভাড়া বেশি নিচ্ছেন।’
 
অন্যান্য চাল ব্যবসায়ীও বলছেন, সারা দেশে সহিংসতা চলতে থাকায় কয়েক দিন কোনো চালের গাড়ি আসেনি। গতকাল অনেক গাড়ি আসে। সেই গাড়ির চাল আনলোড করা হচ্ছে। এ সময় শফিক নামে এক ট্রাক ড্রাইভার বলেন, ‘ভয়ে আতঙ্কের মধ্যেই শেরপুর থেকে চাল আনা হয়েছে। সকালে এসেছি। আজ এই মার্কেট বন্ধ। তাই আস্তে ধীরে ট্রাক আনলোড করা হচ্ছে।’ 

এই বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা সারোয়ার বলেন, ‘দাম বাড়েনি। আগের মতোই মিনিকেট ৭০ টাকা, আটাশ চাল ৫৫ টাকা ও মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’ 

সরবরাহ ও দামের ব্যাপারে মোহাম্মদপুরের টাউনহল বাজারের নোয়াখালী রাইস এজেন্সির মো. ইউসুফ বলেন, ‘সহিংসতার কারণে কয়েক দিন চাল না এলেও মজুত একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। চাল আসতে শুরু করেছে। সরবরাহ বেড়েছে। দাম বাড়েনি। আগের মতোই মিনিকেট ৭০ টাকা কেজি, আটাশ ৫৫ টাকা ও মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১২০-১৪০ টাকা কেজি।’ 

এই বাজারের বিসমিল্লাহ স্টোরের বিক্রয়কর্মী শামীম বলেন, ‘কয়েক দিন পর গতকাল সিটি গ্রুপ, বসুন্ধরা, মেঘনাসহ অন্যান্য কোম্পানির গাড়ি এসেছে। এসব গাড়িতে প্রচুর আটা, চিনি, তেল, লবণ এসেছে। কোনো জিনিসের দাম বড়েনি। আগের মতোই ২ কেজি আটা ১০০-১২০ টাকা, ১লিটার তেল ১৬৫ টাকা, ৫ লিটার ৮০০ টাকা, মসুর ডাল ১২০-১৪০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’ 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দেশে কারফিউ জারি করেছে। তবে কেনাকাটাসহ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে প্রতিদিন। এ সময় দোকান খোলা হচ্ছে। প্রথম দিন বিক্রির হিড়িক পড়লেও পরে বিক্রি কমে গেছে। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ বাজারে আসেন না। আগের মতো বিক্রি হয় না।’ 

এই বাজারে সোনালি ব্রয়লার হাউসের মালিক লিটন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আগের চেয়ে পরিস্থিতি ভালোর দিকে। বিভিন্ন জেলা থেকে মুরগি আসছে। এ জন্য আগের চেয়ে দামও কমেছে। ব্রয়লার ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’ অন্য বিক্রেতারাও কম দামে মুরগি বিক্রি করছেন। 

এদিকে চালের আরেক মোকাম বাদামতলিতেও চালের দাম বাড়েনি বলে বিক্রেতারা জানান। দামের ব্যাপারে এই বাজারের সলিমুল্লাহ বলেন, ‘গতকাল প্রচুর চালের ট্রাক এসেছে। এ জন্য দাম বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে নাবিল, এসিআই, আকিজ, মজুমদারের মিনিকেট ৬৩-৬৭ টাকা কেজি, আটাশ ৫২ টাকা ও মোটা চাল ৪৫ টাকা কেজি। অন্য চাল ব্যবসায়ীরাও বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর সরকার দূরপাল্লার গাড়ি চলাচলের সুযোগ করে দিলে গতকাল প্রচুর চালের ট্রাক বাজারে এসেছে।’ 

এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আগের চেয়ে রাজধানীতে ডিমের গাড়িও বেশি এসেছে বলে জানা গেছে। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আমানউল্লাহ বলেন, ‘আগের চেয়ে ডিমের সরবরাহ বেড়েছে। দামও কমেছে। গতকাল বিভিন্ন মোকাম থেকে ১৮-২০ লাখ পিস ডিম এসেছে। ১০০ ডিম বিক্রি করা হয়েছে ১১০০ টাকা বা ডজন ১৩২ টাকা। যা আগের চেয়ে কম।’ সেই ডিম টাউনহল বাজার ও কারওয়ান বাজারে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাতে সেই ডিম সরবরাহের অজুহাতে ১৬০-১৬৫ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে। 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, সাদেক খান বাজার, যাত্রাবাড়ীতে আগের চেয়ে বেশি করে সবজি আসছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। বিভিন্ন মোকাম থেকে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের সরবরাহ বেড়েছে বলে শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান। এসব পেঁয়াজ বিভিন্ন বাজারে খুচরা বিক্রেতারা ১১৫-১২০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, আদা ২৮০-৩০০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। 

সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৭ এএম
সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ছবি : সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয় ও ঋণের কিস্তির টাকা জমা করতে না পারায় হঠাৎ করেই তারল্যসংকটে পড়েছে দেশের অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংক। সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন শেষে তাই গ্রাহকের নগদ অর্থের চাহিদা পূরণ করতে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তারল্যসংকট পরিস্থিতি সামলাতে গতকাল বুধবার ব্যংকগুলোকে সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। 

অ্যাশিওরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও ইসলামী ব্যাংক লিকুইডিটি সাপোর্ট (আইবিএলএস)-এর আওতায় প্রথাগত বাণিজ্যিক ব্যাংক (কনভেনশনাল কমার্শিয়াল ব্যাংক) ও ইসলামী ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত নীতি সুদহারে (পলিসি রেট বা রেপো রেট) এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নীতি সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক খবরের কাগজকে বলেন, ‘ব্যাংক খোলা থাকলে একটা নিয়মিত অর্থপ্রবাহ থাকে। যেমন গ্রাহক তার সঞ্চয় ও ঋণের কিস্তির টাকা জমা দেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে সাধারণ ছুটি থাকায় প্রায় এক সপ্তাহব্যাপী লেনদেন হয়নি ব্যাংকে। তাই ব্যাংকে নগদ টাকা জমা পড়েনি। এখন যে তারল্যসংকট তা সাময়িক।’ 

তিনি বলেন, ‘তার পরও ব্যাংকে নগদ অর্থের চাহিদার চাপ আমাদের ধারণার চেয়ে কম হয়েছে। এখনো ব্যাংকের সেবা সীমিত পর্যায়ে আছে। ব্যাংকগুলো পূর্ণ মাত্রায় চালু হলে এ-সংকট থাকবে না।’

উল্লেখ্য, এএলএস ও আইবিএলএস-এর মাধ্যমে এক সপ্তাহ আগে গত ১৮ জুলাই ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা ধার নিয়েছিল। এক সপ্তাহ পর ২৪ জুলাই ব্যাংকগুলো মোট ২০৪টি আবেদনের বিপরীতে ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার নেয়।

হিসাব অনুযায়ী ১৮ জুলাইয়ের তুলনায় ২৪ জুলাইয়ে দেওয়া ধারের পরিমাণ ৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা বা ৩৪.২৯ শতাংশ বেশি।

এক দিনের ব্যবধানে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:১২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:১২ পিএম
এক দিনের ব্যবধানে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার

এক দিনের ব্যবধানে ঘুরে দাঁড়াল দেশের পুঁজিবাজার। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সূচকের বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৯৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। তবে আগের কর্মদিবসে এ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি টাকার নিচে। অপরদিকে আজ সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ কোটি ৫১ লাখ টাকার।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার ঘোষিত তিন দিনের সাধারণ ছুটি শেষে গতকাল বুধবার দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। ওই দিন উভয় পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়। লেনদেন নেমে আসে তলানিতে। তবে এক দিনের ব্যবধানে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার।

এদিকে আগের কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবারও কাজ করেনি মোবাইল অ্যাপ। ফলে ডিএসই মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারেননি। একই সঙ্গে ইন্টারনেটের গতিও ছিল কম। অবশ্য সবগুলো ব্রোকারেজ হাউস নির্ধারিত সময়ে লগইন করে লেনদেনে অংশ নিতে পেরেছে। তাদের লেনদেনেও সমস্যা হয়নি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও গতকাল বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। সীমিত পরিসরে চলছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। ব্যাংক খোলায় পুঁজিবাজারেও লেনদেন শুরু হয়। তবে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত।

গতকাল নির্ধারিত সময় বেলা ১১টায় পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। তবে কিছু কিছু জায়গায় ইন্টারনেটে সমস্যা হওয়ায় লেনদেনে তার প্রভাব পড়ে। একই সঙ্গে অকেজো হয়ে পড়ে মোবাইল অ্যাপ। ফলে ডিএসইতে লেনদেন কমে ২০০ কোটি টাকার নিচে নেমে যায়। একই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় স্থান পায় সিংহভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে সূচকের বড় পতন হয়।

তবে বৃহস্পতিবার মোবাইল অ্যাপ কাজ না করলেও বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হন। এতে বেড়ে যায় ক্রেতার সংখ্যা। এর ফলে ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার। এদিন দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। পাশাপাশি মূল্যসূচকেরও বড় উত্থান হয়।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৮৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৬ প্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দাম। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৯২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ ছাড়া বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৩২ পয়েন্টে উঠে এসেছে।

সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের গতিও। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৯৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৫৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৩৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

ডিএসইর এক সদস্য বলেন, ইন্টারনেটের গতিও কিছুটা কম ছিল। তবে এদিন বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ভালো ছিল। যার ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়েছে।

অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৯টির। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৯টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির। এদিন লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ কোটি ৫১ লাখ টাকা।