![আট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে পৌনে ৩ কোটি টাকা জরিমানা](uploads/2024/05/22/BSEC-1716364838.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে কারসাজির প্রমাণ মেলায় একটি প্রতিষ্ঠান ও ৭ ব্যক্তিকে পৌনে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি কারসাজির সঙ্গে জড়িত এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে। কারসাজি চক্রটি শেয়ারের দাম বাড়াতে আইন লঙ্ঘন করে সিরিজ লেনদেন করেছে বলে জানা গেছে।
কারসাজির প্রমাণ মেলায় এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া জরিমানা করার পাশাপাশি একজনকে ৩ বছরের জন্য পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কাজে নিযুক্ত থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএসইসি।
বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার নিয়ে কারসাজি
ওষুধ ও রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠান বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার নিয়ে ২০২১ সালের মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে কারসাজির ঘটনা ঘটে। এ কারসাজিতে জড়িত থাকায় আমজাদ হোসেন পাটোয়ারীকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসইসির তদন্তে উঠে এসেছে, আজাদ হোসেন পাটোয়ারী সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ১৭(ই)(ভি) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লঙ্ঘন করেন। তিনি সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের দাম বাড়াতে ভূমিকা রেখেছেন।
ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ
ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনা ঘটে ২০২১ সালের মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে। এই কারসাজিতে জড়িত থাকায় দুই ভাই সাইফ উল্লাহ এবং এ জি মাহমুদকে জরিমানা করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে সাইফ উল্লাহকে ৩০ লাখ টাকা এবং এ জি মাহমুদকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। এই দুই ভাইকে এর আগেও একাধিকবার শেয়ার কারসাজির জন্য জরিমানা করেছে সংস্থাটি।
সিটি ব্রোকারেজের বিনিয়োগকারী এ জি মাহমুদ ও সাইফ উল্লাহ। এ দুই ভাই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ১৭(ই)(ভি) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লঙ্ঘন করেছেন বলে বিএসইসির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তারা সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখেন।
নিটল ইন্স্যুরেন্স
নিটল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির জন্য একেএম মনিরুল হককে ২০ লাখ টাকা, সালওয়া তাবাসসুম হককে ২০ লাখ টাকা, ওয়াসিফা তাবাসসুম হককে ২০ লাখ টাকা এবং তাদের প্রতিষ্ঠান উখতানি এন্টারপ্রাইজকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া সিকিউরিটিজ আইন পরিপালনে ব্যর্থতা এবং পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী খালেদ সাইফুল্লাহকে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাজে নিযুক্ত থাকার ক্ষেত্রে ৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।