![মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি](uploads/2024/05/26/Mongla-1716711274.jpg)
গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এপ্রিল পর্যন্ত মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বন্দর দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে রাজস্ব আদায়। মোংলা বন্দরে চলতি বছর এপ্রিলে জাহাজ এসেছে ৬৩টি। গত বছরের এপ্রিলে মোংলা বন্দরে জাহাজ এসেছিল ৫২টি। গত বছর এপ্রিল মাসের তুলনায় এবার মোংলা বন্দরে ১১টি জাহাজ বেশি এসেছে।
গত বছরের এপ্রিলে বন্দরে ৪ দশমিক ৬৭ লাখ টন কার্গো হ্যান্ডলিং, ১ হাজার ৮২২ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও ২০ কোটি ১২ লাখ ৬১ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। এ বছর একই মাসে বন্দরে ৬ দশমিক ৩৭ লাখ টন কার্গো হ্যান্ডলিং, ২ হাজার ১৮৯ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও প্রায় ২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
বন্দরের হিসাব অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে এপ্রিলে জাহাজ বেশি এসেছে ১১টি, কার্গো হ্যান্ডলিং ১ দশমিক ৭০ লাখ টন কার্গো বেশি, কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৩৬৭ টিইইউজ কনটেইনার বেশি ও প্রায় ৪ কোটি ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, চলতি বছরের এপ্রিলে বন্দরে আটটি কনটেইনার জাহাজ এসেছে, যা মোংলা বন্দরের ইতিহাসে অনন্য রেকর্ড। জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে (জুলাই-এপ্রিল) প্রথম ১০ মাসে বন্দরে ৭২৬টি জাহাজ আসে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে একই সময়ে জাহাজ আসে ৭০৮টি। গত অর্থবছরের তুলনায় এবার এপ্রিল পর্যন্ত জাহাজ বেশি এসেছে ১৮টি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোংলা বন্দরে সবকটি সূচকে সন্তোষজনক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে বন্দরের দূরত্ব কমেছে। বন্দরের পণ্য লোড-আনলোডে আধুনিক যন্ত্রপাতি, নিয়মিত ড্রেজিংয়ে চ্যানেলে নাব্য ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে মোংলা বন্দর।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেব্রিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই সাইকেলপার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিশ, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিশ, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়।
বর্তমানে বন্দর জেটিতে প্রতি সপ্তাহে গড়ে দুটি করে কনটেইনার জাহাজ আসছে। বন্দরে আধুনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে কনটেইনার খালাস ও বোঝাই সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কনটেইনারবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি অর্থ বছরের সবকটি সূচকে এখন পর্যন্ত মোংলা বন্দরে সন্তোষজনক বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে।