![ভর্তায় ভরপুর](uploads/2024/06/29/Untitled-1-1719664242.jpg)
কোরবানির ঈদে মাংস খেতে খেতে একঘেয়েমি লাগে। খাবারে একঘেয়েমি কাটাতে তৈরি করতে পারেন নানা পদের ভর্তা। যা দিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়া যাবে। এবার কয়েকটি ভর্তার রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজমুন নাহার লিনা
কাঁঠাল বিচির ভর্তা
উপকরণ
কাঁঠালের বিচি ২০টি, শুকনো মরিচ ৫টি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, লেবু রস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি
কাঁঠালের বিচিগুলোর খোসা ছাড়িয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর বিচিগুলো ঘসে ঘসে পরিষ্কার করে নিন। একটি পাত্রে এক কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে বিচিগুলো সেদ্ধ করতে দিন। মিনিট দশেক পরে পানি শুকিয়ে এলে চুলা থেকে বিচিগুলো নামান। শুকনো পাত্র গরম হলে তাতে শুকনো মরিচগুলো ঢেলে নিন। এবার পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচিগুলো ভেজে নিন। শিলপাটা বা বাটনায় আগে শুকনো মরিচগুলো লবণ দিয়ে পিষে নিন এবার কাঁঠাল বীজগুলো দিয়ে পিষে নিন। শেষে ভাজা পেঁয়াজ ও তেল দিয়ে খুব ভালো ভাবে মাখুন। লেবুর রস দিন। অসাধারণ স্বাদের পুষ্টিগুণে ভরপুর ভর্তা কাঁঠাল পাতায় পরিবেশন করুন। এতে আপনার খাবার টেবিলের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে।
পটোল খোসায় কুচো চিংড়ি ভর্তা
উপকরণ
পটোলের খোসা ১০টি, কুচো চিংড়ি ১২৫ গ্রাম, লাল পাকা মরিচ ৮টি, রসুন কোয়া বড় ১০টি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, লবণ পরিমাণমতো, পানি দেড় কাপ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
একটি ফ্রাইং প্যানে ধোয়া পটলের খোসা, ৬টি লাল মরিচ, রসুন পানি দিয়ে চুলায় দিন। পানি শুকিয়ে এলে ১ টেবিল চামচ তেল, পেঁয়াজ ও চিংড়িগুলো দিন। চুলার আঁচ মাঝারি রাখুন। ধীরে ধীরে নেড়ে ভাজতে থাকুন। লবণ দিন। ভাজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার শীল পাটা ধুয়ে মুছে নিন। মসৃণ করে ভাজা উপকরণ পিষে নিন। বাকি ১ চামচ তেল দিন। স্বাদ বুঝে লবণ দিন। সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু ভর্তা।
মাংসের ঝুরি ভর্তা
উপকরণ
মাংস টুকরো ২/২ ইঞ্চি করে কাটা ১০ টুকরো, হলুদ দেড় চা চামচ, আদা রসুন পেস্ট ১ চা চামচ, রসুনের কোয়া ৫টি বড়, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ জিরা ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ লবণ পরিমাণমতো সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজ মোটা করে কাটা ১ কাপ, শুকনো মরিচ ৫টি, ধনিয়া পাতা দেড় কাপ, লেবুর পাতা ৫-৬টি।
প্রণালি
পাত্র গরম হলে এক চামচ তেল দিন। মাংসগুলোকে ধুয়ে পাত্রে ঢেলে দিন। তারপর এতে ধনিয়া-জিরা গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া, লবণ, আদা রসুনের পেস্ট ও গোটা রসুনের কোয়া দিন। পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে দিন। পানি শুকিয়ে এলে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিন এরপর মাংসে তেল উঠে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। একটি শুকনো পাত্র গরম হতে দিন। এতে শুকনো মরিচ ৫টি ঢেলে নিন। পাত্রের এক সাইডে শুকনো মরিচগুলো রেখে তাতে মোটা করে কাটা পেঁয়াজগুলো দিন। হালকা আঁচে ধীরে ধীরে পেঁয়াজগুলো ভেজে নিন। কোনো তেল ব্যবহার করবেন না। পেঁয়াজের গায়ের পানিগুলো শুকিয়ে গেলে চুলা বন্ধ করুন। ব্লেন্ডার বা শিল পাটায় আগে শুকনো মরিচগুলো ব্লেন্ড করুন। মাংসগুলো দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ ব্লেন্ড করে নিন যাতে ঝুরি ঝুরি হয়। ব্লান্ডার থেকে পাত্রে নামিয়ে ভাজা পেঁয়াজ তেল, ধনেপাতা, লেবু পাতা কুচি দিয়ে হালকা হাতে মাখুন। লেবু পাতার সুগন্ধ অন্য রকম একটা স্বাদ দেবে গরম ভাতে।
টাকি পোড়া ভর্তা
উপকরণ
টাকি মাছ ২৫০ গ্রাম, রসুন কোয়া বড় ১২টি, শুকনো মরিচ ৬টি, হলুদ ১ চিমটি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি দেড় কাপ, সরিষার তেল দেড় কাপ, লবণ স্বাদমতো, শিক ২টি।
প্রণালি
মাছ ভালো করে কেটে ধুয়ে নিন। মাছে এবং রসুন কোয়ায় লবণ হলুদ ও সামান্য মেখে শিকে গেঁথে নিন। লাকড়ির উনুনে রান্না হওয়ার পর কাঠ কয়লার আগুনে এই শিক দিন। একপাশ হয়ে এলে শিক ঘুরিয়ে দিন। মাছ পোড়া পোড়া হবে এবং তেল বের হলে বুঝবেন হয়ে গেছে। এবার কয়লার আঁচে শুকনো মরিচ পুড়িয়ে নিন। মাছ ঠাণ্ডা হলে শিক থেকে খুলে কাঁটা বাছুন। মাটির বাটনায় লবণ দিয়ে পোড়া মরিচগুলো পিষে নিন এবার মাছগুলো রসুনসহ পিষুন। বাকি তেল ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালোভাবে সাবধানে মাখুন। পছন্দমতো পাত্রে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
কলি